বোধয় রোবট সমাজে ঢুকে পড়েছিলাম(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামুয়ালাইকুম,আশা করি সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
সেদিন গিয়েছিলাম বিয়ের দাওয়াতে।বিয়েটা অবশ্য ছিল আমার ভাগ্নীর।ভাবতেই কেমন লাগছে,মামা কেবল কলেজে উঠলো আর ভাগ্নীর বিয়ে হলো🙂।বুকটা ফেটে যাচ্ছে গো💔।হোক,কষ্টের কথা আর না বলি😌।
ঘটনা গত শুক্রবারের।জুম্মার নামাজ পরে বাসায় এসে ওই আড়াইটার ওদিকে গিয়েছিলাম দাওয়াতে।যেকোনো বিয়ের দাওয়াতেই সাধারনত ওই সময়েই যাই।বাবা নিজ কাজের জন্য গ্রামের বাড়ি গিয়েছিল আর আম্মু এসব অনুষ্ঠানে খুব একটা বেশি যায়না।তাই একাই গিয়েছিলাম।আগেরদিন অবশ্য বাবা গিফট কিনে দিয়ে গিয়েছিলো।
বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে।কনভেনশন সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় বর-বউ বসার জায়গা আর তৃতীয় তলায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল।দুই তলায় গিয়ে দেখি বর-বউ এর আসনে দুজন ক্যামেরাম্যান বসে আর সামনে সব চেয়ার ফাকা🙂।বুঝলাম যে,আমিই ফার্স্ট।কিছুক্ষন ওখানেই বসেছিলাম।তারপর ভাবলাম বোধয় উপরে লোকজন এসেছে,খেতে দেবে😋।গেলাম উপরে।গিয়ে দেখি একটা টেবিল অবশ্য পুরো ভরা ছিল।তবে তারা ছিল বাবুর্চি আর ওয়েটার 😒।দাওয়াতের একটা লোকও নাই🙂।কি আর করার,কোনার একটা টেবিলে গিয়ে বসেছিলাম।এক ঘন্টা গেল,দুই ঘন্টা গেল কোনো লোকের দেখা নেই🙂💔।সব টেবিল ফাকা,গড়ের মাঠ।
ক্ষুধায় পেট পচে যেতে ধরেছিল🙂,তখন সময় ছিল বিকাল ৪ঃ৩০ এর মতো।খাওয়া দাওয়া যারা করাবে তারাও বিরক্ত হয়ে উঠেছিল।বসে বসে নিজের মনে হচ্ছিল যে দাওয়াতের সবাই রোবট,যাদের খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন হয়না আর আমি একাই মানুষ।হেডফোনও নিয়ে যাইনি যে গান শুনে সময় কাটাবো।সেলফি টাইমার অন করে এদিক সেদিক থেকে নিজেই নিজের ছবি তুলছিলাম🤣😂।প্রায় ৫ টার একটু আগে বর আসার পর আমার কপাল খুলেছিল🙂।বর যাত্রি যারা এসেছিল,তাদের সাথেই খেতে বসেছিলাম।এতোক্ষন ধরে বসে থাকার কষ্টটা অবশ্য স্বার্থক হয়েছিল খাবারের স্বাদেই😁।
খাওয়া শেষে গিফটটা বুঝে দিয়ে রোবটের আসর ছেড়ে চলে এসেছিলাম।তবে অভিজ্ঞতা ভালোই হয়েছিল🥴।
আমি @farhantanvir
Cc. @farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.07/01/22