আমাদের জাতিটা এমন কেন?(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই কুশল আছেন।হুম,আমি ভালো আছি তবে একটু ভাবুক হয়ে আছি,এই আর কি।

কি বিষয় নিয়ে ভাবছি,ক্যাপশন দেখে তা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন।কথা শুরুর আগে আমি একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই।জাতি হিসেবে আমরা এতোটা লো-মেন্টালিটির কেন?

desert-g9ec7d8e44_1920.jpg
Source
পদ্মা সেতু,বিষয়টাকে নিয়ে কি আপনিও মিমিক্রি করছেন?এটা কিন্তু আমাদের জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি,অনেক বড় একটা গর্বের বিষয়।
তাও কেন জানি এটা আমাদের মিমিক্রির একটা বিষয় হয়ে গেছে।মানে,কতটা চুলকানি উঠলে একটা মানুষ গর্ব করে বলতে পারে- আমি সর্বপ্রথম পদ্মা সেতুর উপর মূ* বিসর্জন করেছি।বাপরে বাপরে বাপ!কত বড় হ্যাডোমের কাজটাই না করে দেখাইছে।
আবার এক আন্টি,স্লো মোশনে হাত-পা দুলিয়ে দুলিয়ে ক্যামেরার দিকে আসছে।মানে,আমি বুঝিনা- এনারা কি সেতু পাওয়ার সেলিব্রেশন করছিলেন এভাবে?
সেতু উদ্বোধনের পরের দিন,ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে দেখলাম, সেতুর উপর প্রথম বমি করেছে বরিশালের সাদিয়া-এদিকে শফিকুলের দাবি তিনিই প্রথম বমি করেছেন।
এই নিউজটা যখন পড়লাম,তারপর কিছুক্ষন আমি প্রায় মিনিট দুয়েক প্রচন্ড হেসেছিলাম।অতঃপর এই ভাবনাটা আমার মাথায় এলো, আচ্ছা একটা বিষয় নিয়ে কতটা কিউরিওসিটি থাকলে মানুষ এসব নিয়ে দাবি করে!এটা ঠিক যে,দেশে এতো বড় একটা অর্জন হলো সেই হিসাবে মানুষের কিউরিওসিটি থাকবেই।বাট তাই বলে এসব?মস্তিষ্ক আদৌ সুস্থ আমাদের?
owl-g85cbe02ca_1920.jpg
Source
আরেকটা ঘটনা বলি।এটা অবশ্য আমার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলেও শেয়ার দিয়েছি।একজন বয়স্ক লোক তার মাথার চুল কেটেছেন নৌকার মতো ডিজাইন করে।তো উনি এটা সাংবাদিকের সামনে দেখাচ্ছেন আর এমন বলছেন যে,২০০৬ সাল থেকে তিনি এমন করেই চুল কাটেন।তার ছোট্ট নাতিটাকেও ওভাবেই কেটে দেন,যেন তিনি মারা গেলে তার সিলসিলা হিসেবে তার নাতি থাকে।
ভাইরে ভাই- কি পরিমাণ তেলবাজ হলে এসব করা সম্ভব!যাইহোক,এসব বিষয়ে ওতো তলানিতে না যাই।
সেতুর হিসাব বাদই দেন।কিউরিওসিটি কন্ট্রোল করতে আমরা জানিনা,তাই নাহয় ওসব স্লো ড্যান্স,মূ* বিসর্জন,বমি করা,নাট খোলা এসব সুউচ্চ কাজগলো করেছি।
কিন্তু,স্ট্যাম্প দিয়ে টিচারের মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলা!! এটা কি ভাই?এমন ঘটনা শোনার পর নিশ্চয় অন্য কোনো জাতি বলবেনা,বাঙ্গালির মস্তিষ্ক সুস্থ।একজন টিচার-যেমনই হোক না কেন,যেমনই পড়াক না কেন-উনি তো দিনশেষে টিচার।সমাজে ওনার ডিগনিটি কতটা থাকা উচিৎ তা নিশ্চয় জানার কথা সবার।বাট সেটা কই?একজন টিচার হিসেবে স্ট্যাম্পের আঘাতে মৃত্যুকে বরণ করা কি তার প্রাপ্য?
এমন ঘটনার উদাহরণ দিতে গেলে কয়েকশো ব্লগ লেখা যাবে।কোনো ব্যাপারই না।দৈনিক কোনো না কোনো খবর তৈরি হচ্ছেই।আপনারা আরো ভালো জানেন এসব।
mountains-g7aa204873_1920.jpg
Source
সব ঘটনা আবার একসাথে করে একটু ভাবলাম আবার।দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।এমন মানসিকতা কেন আমাদের?শিক্ষা কি আমাদের ভেতরের চোখ খুলে দিতে পারেনি তবে?যতই ভাবছি ততই প্রশ্ন পাচ্ছি কিন্তু উত্তর হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট দিক খুজে পাচ্ছিনা।ভাইরাল আর ফেমাস-দুটোর মাঝে পার্থক্যটা আমাদের বোঝা দরকার।

আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই,আমার একার ভাবনায় এসব পরিবর্তনের নয়।হয়তো আজকের লেখায় অনেক কিছুই বলে ফেলেছি,যদি কারো ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত লেগে থাকে-তার জন্য আমি একান্ত দুঃখিত।কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে আমি এসব লিখিনি,কেবোলমাত্র আমার চিন্তা-ধারাই ব্যক্ত করেছি।

Cc.@farhantanvir
Date.01/07/22

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61297.02
ETH 2687.45
USDT 1.00
SBD 2.59