স্পর্শের বাহিরে তুমি-পার্ট ১

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

কোনো ইন্ট্রো হবে না আজ,শুধু হবে শিহরণ জাগানো গল্প।আগেই বলে রাখি,কাহিনিটা বাস্তব তবে নামগুলো কাল্পনিক।

সো শুরু করিঃ

man-2933991_640.jpg
Link
কেমিস্ট্রি প্রাইভেটে দুইটা ব্যাচ ছিল।একটা ছেলেদের আরেকটা মেয়েদের। সংখ্যায় ছেলেরাই বেশি ছিলো।জানা ছিল মেয়েরাও পরে।কতজন পরে আর কারা কারা পড়ে তা কোনো ছেলেই জানতো না।নিজ গতিতেই সব চলছিল।যেকোনো কারণে ছেলে মেয়ে দুই ব্যাচ এক করারা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাই করাও হয়েছিল।
ব্যাচ এক করার পর প্রথম দিন।দেখা গেলো ছেলে ছিল প্রায় ১৪ জন যেখানে মেয়েদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ জন।তিনজন তো, তাই এক বেঞ্চেই বসেছিল।তাও সবার সামনের বেঞ্চে।সেজন্য নজরে পরেছিলনা বোধয়, না দেখার আর একটি কারণ হতে পারে যে ওরা তিনজনই বোরকা করা ছিল ।দ্বিতীয় দিনও তাই মানে সামনেই বসেছিল।তৃতীয় দিন দেখা গিয়েছিল ছেলেদের আগে ওই মেয়ে তিনজন গিয়েই সুবিধাজনক একটি জায়গায় বসেছে।এনামুল আবার সেই বেঞ্চেই বসতো প্রতিদিন।তৃতীয় দিনও সেখানে বসতে গিয়েছিল আর হঠাৎ করে দেখে সেখানে মেয়েরা বসেছে।তখনই চোখে চোখ পরেছিল রাজিয়ার সাথে।আচমকাই দেখা তাই কোনো রিয়েকশন হইছিল না বোধয়।পড়া শেষে আবার বের হওয়ার সময় ওই দুই চোখের দিকে তাকিয়েছিল এনামুল।সেবার একটু একটু রিয়েকশন হইছিল মনে হয়।বাসায় এসেও সেই দুই চোখের জল্পনা-কল্পনা।তবে খুব বেশি গায়ে না লাগানোয় আর পূর্বের অভিজ্ঞতা না থাকায় এনামুল বেশি আগায়নি।কিন্তু ভালো লাগা কি ওসব বোঝে।প্রতিদিন ওই দুই চোখের মায়া খেলা দেখা যেন নেশা হয়ে উঠেছিল।এদিকে এনামুলের দুই একটা ফ্রেন্ড সেটা বুঝতেও পেরেছিল।বন্ধু বলে কথা,খেপানো তো আর বাকি থাকেনা।চোখের বাহিরে বেরই হতে পারলো না আর ওদিকে প্রচার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল।কিছুদিন ওমনই চললো।ধীরে ধীরে এনামুলের কাছে খবর আসতে শুরু করেছিল।মানে রাজিয়া কখন কোথায় পড়ে এসবের আরকি।কিছুদিন পর এনামুল মেয়ের বাড়ির খোজ নিয়েছিল।মেয়ের বাড়িও ছিল এনামুলের বাড়ি থেকে মিনিট বিশেকের দূরত্বে।মাস কেটে গেলো।ততদিন পর্যন্ত এনামুল মেয়ের মুখ দেখেনি জাস্ট মায়াবী ওই দুই চোখ ছাড়া।জানতো বাড়ির এড্রেস আর বাবা মার হাল্কা পরিচয়।
heart-762564_640.jpg
Link
কেমিস্ট্রি প্রাইভেটের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ ছিল,যেখানে প্রাইভেটের বিষয়ে আলোচনা হতো।।সেটাও ছেলে মেয়েদের আলাদা আলাদা ছিল।প্রাইভেট চলাকালীন একদিন স্যার খাতায় সবার বাবা মার নাম্বার আর যে আইডি দিয়ে গ্রুপে এড আছে সেই ফেসবুক আইডি লিখে নিচ্ছিলেন, কারণ অনেকেই বেতন না দিয়ে হারাতো।সেই খাতা থেকেই এনামুল সবগুলো মেয়ের ফেসবুক আইডি পেয়েছিল।প্রথমে কি যেন ভেবে সেই আইডিগুলো এনামুল টুকে নিয়েছিল না।পরের দিন আর ছাড়েনি।সবার আগে প্রাইভেটে ঢুকে খাতাটা নিয়ে সব আইডি টুকে নিয়েছিল।তখনো জানতো না রাজিয়ার আইডি কোনটা।বাসায় গিয়ে এক এক করে সব আইডি তেই রিকোয়েস্ট দিয়েছিল। কিন্তু কোনো আইডিই রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করেছিল না।বারবার ক্যান্সেল করা আর রিকোয়েস্ট দেয়াই কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছিল।এই কাজে বিরক্ত হয়েই বোধয় তিন আইডির ভেতর এক আইডির মালিক এনামুলের রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করেছিল।

আর নয়,,,,আগামী পর্বে কথা হবে।

Cc.@farhantanvir
Date.20/10/21

Sort:  
 3 years ago 

গল্পটি সুন্দর এগিয়ে চলেছে। কিন্তু প্রথমেই একটি ভুল করেছেন।

স্পর্ষের

আরো কয়েকটি বানান ভুল আছে। বানানগুলো ঠিক করে নিন। আপনার গল্পের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

এমনভাবেই পাশে থাকবেন আশা করি।অনেক অনেক ধন্যবাদ🥰

 3 years ago (edited)

এইবার দেখার বিষয় রাজিয়াই এক্সেপ্ট করেছে কিনা।
আশা করি গল্পটি সামনে ইন্টারস্টিং হবে, দেখা যাক কি হয়।
গল্প পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে।

 3 years ago 

রাজিয়াই করেছে?নাকি অন্য দুজনের কেউ?দেখি তো আগামীকাল কি হয়🧐

গল্পটি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া আমি পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম♥️

 3 years ago 

ইনশাল্লাহ আগামীকালই পাবেন😊

 3 years ago 

আপনার কেমিস্ট্রি ব্যাচের এই গল্পটি জাস্ট মন ছুয়ে যাওয়ার মত। প্রথমে যে টাইটেল দিয়েছেন এই টাইটেল দেখেই কেমন মনের ভিতর আকাঙ্ক্ষা কাজ করছিল। সৃজনশীলতার নমুনা দেখলাম ভাই, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

আমি তো সেন্টি খেয়ে গেলাম ভাই🙂,,,ভালোবাসা নিয়েন🥰

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 66794.56
ETH 3501.55
USDT 1.00
SBD 2.71