মুহুর্তটা ছিল ১৬ ডিসেম্বরের (১০% টু শাই-ফক্স)
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
৫২ তম বিজয় দিবসের আনন্দে মেতেছে পুরো দেশবাসী।বিজয়ের স্বাদটা খুব ভালোভাবেই নিংড়ে নিচ্ছে মাসটাকে নানাভাবে উৎযাপন করে।আর বলতে গেলে এর ধারাবাহিকতা শুরু হয় ১৬ ডিসেম্বর তথা বিজয় দিবসের দিন থেকে।আজ আমি আপনাদের সাথে বিজয় দিবসের তথা গত ১৬ ডিসেম্বরের কিছু মুহুর্ত নিয়ে কথা বলবো-
ঘুম থেকে খুব তাড়াতাড়ি ওঠার ইচ্ছা থাকলেও রাতে দেরি করে ঘুমানোয় জাগনা পেতে পেতে ৯ টা বেজেছিল।ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে নিতে মিনিটের কাটা ততক্ষনে ৩০ এর ঘর পার করে ফেলেছে।সেদিনের অনুষ্ঠানের সিডিউল অনুযায়ী এটা অতিরিক্ত দেরি হয়ে গেছে।তবুও আমাদের হাই-স্কুল মাঠের দিকে গিয়েছিলাম এবং গিয়ে দেখি অনুষ্ঠানের মূল পর্ব তখনো শুরুই হয়নি,কেবোল বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে।
মাঠের একটা পাশ সবুজ কাপরের প্যান্ডেল ছিল আর সামন দিকে ছিল প্রধান অতিথিরা।আর পাশে বাকি জায়গাগুলোতে সাধারণ মানুষজন ছিল।পুরো মাঠ ভরা ছিল লোকজন।মাঠের পিছনের অংশে নিরাপত্তার জন্য ছিল এম্বুলেন্স,ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা,পুলিশ এবং আনসার বাহিনী।
স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ছিল একপাশে তাদের ডিসপ্লে দেখানোর জন্য।অতিথিদের বক্তৃতা শেষে এক এক করে সবগুলো স্কুল-কলেজ তাদের ডিসপ্লে দেখিয়েছিল।
কিছুক্ষন ডিসপ্লে চলার পর শুরু হয় নৃত্য আর নাটক পরিবেশনা।আসলে সত্যি বলতে লোকের ভীড়ে থাকার অভ্যাসটা আমার খুব কম।কেনজানি অরুচি কাজ করে খুব বেশি।দূর থেকে যতটা সম্ভব আমি।চেষ্টা করেছি বিষয়গুলো দেখানোর।
এরপর এলো যেমন খুশি তেমন সাজো- নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।আমার পাশ থেকেই একটা দল যাচ্ছিলো।ওদের থিমটা ছিল,চারজন শহীদের স্ট্যাচু থাকবে আর তার সামনে একটু যুদ্ধ চলবে, কেউ মারা যাবে।মানে ছোটখাটো যুদ্ধ হবে আরকি😁
তখন প্রায় ১১ঃ৩০ বেজে গেছে।জুম্মার দিন ছিল,তাই আজানের সময় প্রায় হয়েই এসেছিল।আমি আর খুব বেশি সময় ওখানে কাটাইনি।
ফ্রেন্ডরা কেউ ছিলনা,তাই একাই গিয়েছিলাম।আর জানেনই তো এই সব জায়গায় ফ্রেন্ডের বিকল্প নেই।টুকটাক ছবি তোলা শেষে একটা রিক্সা নিয়ে বাসার দিকে এসেছিলাম।
এই ছিল আজকের মতো।ইনশাল্লাহ সামনের পোস্টে বিজয় দিবসের কনসার্ট নিয়ে কথা বলবো।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.18/12/22
এরকম অনুষ্ঠানগুলোতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আর তা যদি হয় 16 ডিসেম্বরে। আমি এমনিতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে একটু বেশি পছন্দ করি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য বেশি দারুন দারুন ফটোগ্রাফিও করেছেন। খুবই ভালো একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন ওখানে গিয়ে। এরকম বিভিন্ন অনুষ্ঠান এ যখন ছোট ছোট বাচ্চারা অভিনয় নাচ গান করে থাকে তখন তাদেরকে ভীষণ ভালো লাগে মনের ভিতর অন্যরকম একটা অনুভূতি জাগে। খুবই ভালো ছিল পোস্ট।
ধন্যবাদ ভাইয়া 💚।
বিজয় দিবস আসলেই ভেতরে কেমন যেন একটা আনন্দ কাজ করে। ১৬ই ডিসেম্বর আসলে আমাদের স্কুলেও অনেক বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো, আপনার পোস্টটি পরে সব মনে পরে যাচ্ছিল বারবার। এখন এই ইট পাথরের শহরে অনেক কিছু আর ভালোভাবে উপভোগ করতে পারিনা। বিশেষ করে পিটি-প্যারেট আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমার ভীষণ ভালো লাগতো। আর যেমন খুশি তেমন সাজো সবথেকে আকর্ষণীয় জায়গা ছিল। আপনার প্রতিটি ছবি আমাকে কিছুটা হলেও আনন্দ দিয়েছে ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য।
খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল।
আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
আসলে আর ছোট বেলার মত ডিসেম্বর মাস টা উদযাপন করতে পারি না।আগে স্কুলে থাকাকালীন সকাল সকাল স্কুলে যেয়ে কিছুক্ষন কুচকাওয়াজ হতো,বিজয় দিবস উপলক্ষে গান নাচ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তারপর তো বেশ মজার একটা প্রোগ্রাম ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো। যাই হোক মানুষের ভীড়ের জন্য দূর থেকে তাও প্রোগ্রাম উপভোগ করলেন।তাহলে বেশ ভালোই কেটেছে,আপনার বিজয় দিবস। তবে ফ্রেন্ডরা থাকলে আরো বেশি সময় কাটতো।ধন্যবাদ
ফ্রেন্ডদের বিকল্প কিচ্ছুই নেই।
ঠিক বলছেন ১৬ ডিসেম্বর আসলে পুরোটা দেশ জুড়ে অনেক সুন্দর ভাবে সবাই দিনটি উদযাপন করার চেষ্টা করেন।আপনি ১৬ই ডিসেম্বর অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন।প্রতিটি স্কুলের এমন সুন্দর আয়োজন দেখে অনেক ভালো লাগে।আপনাদের স্কুলে অনেক ভালো ভালো আয়োজন করেছে বেশ ভালই হয়েছে সবাই দেখে উপভোগ করতে পারছেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।এমন অনুষ্ঠান জাতির জন্য যেমন ভালো তেমনি যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের শিখার ও অনেক কিছু আছে।বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করে ভাগাভাগি করে নিয়েছে অনেক ভালো লেগেছে।
তবে রেওয়াজ আর আগের মতো নেই,ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি পাবে আল্লাহ জানে!
এসব জায়গাই সত্যি ফ্রেন্ড দের বিকল্প নেই। ফ্রেন্ড একটা না হলে এসব দেখে মজা নেই। আমারও ইচ্ছা ছিল আমাদের স্কুলে যাব এবং কুজকাওয়াজ ও অনুষ্ঠান দেখব কিন্তু ঐ রাতে দেরী করে ঘুমানোর জন্য উঠতে পারি নাই। দেরীতে উঠলেও গিয়ে বেশ ভালো উপভোগ করেছেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।এসব ক্ষেএে আমিও চেষ্টা করি ভীড় এড়িয়ে চলার।।
ভীড় আর আমি,দুই পক্ষ দুই মেরুর।
মনে হচ্ছে খুবই মজা করেছেন ১৬ই ডিসেম্বর এর অনুষ্ঠানটিতে গিয়ে। সত্যিই এই দিনটি নিয়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের সকলের জীবনে। সকাল সকাল স্কুলে গিয়ে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। তখনকার কাটানো দিনগুলো অন্যরকম ছিল যা এখন মনে পড়লে খুবই ভালো লাগে কতই না ভালো ছিল দিনগুলো। আমার কাছে এমনিতে ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। তারা খুবই সুন্দর সুন্দর অভিনয় গান নাচ করে থাকে।
আমিও একবার একটা প্লেট পেয়েছিলাম😁
১৬ ডিসেম্বর মানেই গৌরবগাথা একটি দিন।আর এই দিনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি পালন করা হয়।আপনার স্কুলের মাঠটি বেশ বড় বলেই মনে হলো সঙ্গে অনেক মানুষের উপচে পড়া ভিড়।আসলে অভ্যেস না থাকলে ভিড়ের মধ্যে থাকতে বিরক্তিকর লাগে।তবে সঙ্গে বন্ধুরা থাকলে কিছুটা আনন্দঘন পরিবেশ কাটানো যায়।ছবিগুলো ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু💚।