মায়ার বাধন ত্যাগ করে শিক্ষা অর্জনের জন্য বগুড়াগামী (১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)

আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
আজকের বিষয়টা নিয়ে আমি আমার বোঝার বয়স থেকেই এক্সাইটেড ছিলাম।তবে পূরনের আগ মূহুর্তে যে এতোটা খারাপ লাগবে তা বুঝিনি।এস,এস,সি এক্সাম শেষ।কয়টাদিন বিশ্রামও নিয়েছি।তবে বিশ্রাম নিয়ে আর কত।ভর্তির প্রিপারেশনও নিতে হবে।বাবা চেয়েছিলো ভর্তি কোচিং করানোর জন্য ঢাকায় পাঠাবে।আমি নিজেও রাজি ছিলাম।পরেরদিন জানতে পারলাম বগুড়াতেও কোচিং করাচ্ছে।তো ভাবলাম হুদাই ঢাকা যাওয়ার কি দরকার।বগুড়া কাছেও হচ্ছে আবার আর্থিক দিক থেকেও সুবিধা হচ্ছে।পরে বাবার সাথে আবার সিদ্ধান্ত নিলাম যে বগুড়াতে যাবো।বাবা সব শুনে একটা কথাই বলেছিল যে,
হাই লিভ, হাই থট।
কথার কোনো উত্তর দিতে পারিনি।সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম।একদিকে বাবার কথা অন্যদিকে নিজের ইচ্ছা।বাবার কথা শুনলে আমার ক্ষতি হতো না, তবে বেশি দূর হয়ে যাওয়ায় হয়তো মন টিকতো না আমার।তো সবশেষে ভাবলাম,বগুড়াই যাবো।যাওয়ার কথা ছিল ৪ তারিখে।কয়দিন ধরে কি করছি না করছি ঠিক নাই।কাকে কি বলছি না বলছি বুঝতে পারছিনা।৪ তারিখে আসার কথা অথচ আমি গতকাল তল্পিতল্পা গুটিয়েছিলাম যে চলে আসবো।সব গুছিয়ে নেওয়ার পরেও কাল আসা হয়নি।আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খেয়ে দেয়েই বেরিয়ে পড়েছিলাম বগুড়ার উদ্দেশ্যে। এই যে এই কথাগুলো এতো সহজে বলছি না?আসলে কাজগুলো কিন্তু এতো সহজে ঘটেনি।আম্মুর চোখের পানি দেখে আসতে হইছে আমায়😭।ওদিকে আসার সময় বাবার সাথেও দেখা হয়নি🥺।বাসার ভাড়াটিয়া,চাচা চাচি সবাইকে বলে এসেছি।আম্মুসহ সবাই রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেছিলো🙂ঐ মুহুর্তটা যে কতটা খারাপ লাগছে তা বোঝানোর মতো না।আম্মুর চোখ দিয়ে পানি পরছে,আন্টিরা বলছিলো আপনি কাদলে ও দূর্বল হয়ে পড়বে।একটুপর রিক্সা আসলে সেটাতে করে বাস স্ট্যান্ডে এসেছিলাম।