কাম টু চুন্নুর চাপ(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
অনেকবার বলেছি,আমি প্রচুর খেতে ভালোবাসি।যদি ঘুম আর খাওয়াই পৃথিবীর একমাত্র কাজ হতো তাহলে আমার মতো খুশি বোধয় কেউ হতোনা।দুঃখের বিষয় হলো সেই শান্তিতে বাগরা দেবার কাজ এবং লোক কারোরই অভাব নেই।তাও জীবন থেমে নেই,চলছে নিজের গতিতে।
বগুড়ায় বিখ্যাত কিছু দোকানের ভেতর একটি হলো চুন্নু চাপ এন্ড কাবাব ঘর।শুধু বগুড়ার কথা বললে ভুল হবে,আশেপাশের সব এলাকাতেই এই দোকানের নাম-ডাক।এই দোকান নিয়ে যদি কিছু বলতে যাই তাহলেই বলা কম হবে।লোকমুখে যতদূর শুনেছি তাতে এই ব্যবসায়ী নাকি চাপ বিক্রি করেই ৭ তলা বাসা করেছেন।সঠিক জানিনা তবে বিশ্বাস হয়।কিছু ছবি দেখাচ্ছি,হয়তো আপনাদেরও মনে হতে পারে সত্যি।
দোকানে চিকেন এবং মাটন চাপই বেশি চলে।আমরা মাটন চাপ আর সাথে লুচি নিয়েছিলাম।
ছবিগুলোতে দেখুন লোকের ভিড় কেমন আর কারিগরদের ব্যস্ততা।অতিরিক্ত ভিড় হওয়ায় আগে বিল দিয়ে তারপর অর্ডার নিতে হয়।
আগে থেকে কোনো প্ল্যানই ছিলনা।সাইকেল চালিয়ে প্রাইভেট থেকে মেসের দিকে আসতেছিলাম।মেসের পাশে ব্রিজের ওপর এক বন্ধু বসে ছিল।তো ও বললো পাশে ভাজা পোড়ার দোকান থেকে কিছু খাওয়ার কথা।দোকানের দিকে যেতে যেতেই কোন কথায় যেন চুন্নুর কথা উঠলো।তো বললাম চল যাই।ও রাজি হলো।কিন্তু তারপর আবার আমি বললাম আমার কাছে ১০০ টাকা আছে শুধু🙂।ওর মুড মনে হয় ভালো ছিল,সেইজন্য বলেছিল বাকি যা লাগে আমি দেবোনি।শুতে তো আমি একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।তারপর আর দেরি না করে আমি সাইকেল আর ও অটোতে করে চুন্নুর দোকানের দিকে রওনা দিয়েছিলাম।আমার মিনিট বিশেকের মতো লেগেছিল সাইকেল নিয়ে যেতে আর ও অবশ্য আমার একটু আগেই পৌঁছে গিয়েছিল।
তারপর ভেতরে ঢুকে দেখি জায়গা নেই বসার।কি আর করার,অর্ডার দিয়ে ক্যাশে টাকা জমা দিয়ে খাবার প্লেট নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়ায় থেকে খেতে হয়েছিল।প্রথমে ১০০ টাকার ভেতর একটা মাটন চাপ আর দুইটা লুচি দিয়েছিল।আমার তো ভাই ২/৪ টা লুচি দিয়ে কিছু হয়না।আমি ওর থেকে টাকা নিয়ে আরো ৪ টে লুচি নিয়েছিলাম😑।
খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষন রাস্তার পাশেই আড্ডা দিয়ে মেসের দিকে গিয়েছিলাম।সময়টুকু বেশ ভালোই কেটেছিল।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.08/03/22
মাটন চাপ আর সাথে লুচি খেতে আমি অনেক ভালোবাসি। অনেকদিন হয়েছে এই চাপ খাওয়া হয়না আপনাদের চাপ খাবার মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনার পোস্টটা পড়তে, পড়তে আমার বন্ধুদের কথা অনেক মনে পড়ছিল করোনার পর থেকে তেমন আর একটা ওদের সাথে মেশা হয়না,যাই হোক আপনি পোস্টটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
প্যান্ডেমিকটা আমাদের জীবনকে আসলেই ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে ভাই 😔।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কাবাবের আইটেম গুলোর মধ্যে আমার সবচাইতে প্রিয় হচ্ছে চিকেন চাপ, আমরা বন্ধুরা একত্রিত হলে অনেক সময় বড়ো সড়ো করে চিকেন চাপের পার্টি দিতাম। বা আমরা একসাথে সেগুলো খেতাম ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
কিছুদিন আগেও অর্থাৎ শীতের সময় প্রায় রাতেই আমরা বন্ধুরা মিলে তেমন করেছি।কিন্তু এখন একেকজন একেক কলেজে, কারো সাথে কারো দেখা নেই।সময়গুলো অনেক মিস করি🙂
ধন্যবাদ আপনাকেও এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য 🖤
চাপ আমার খুব ভালোলাগে আমরা মাঝে মাঝেই বন্ধুরা খেয়ে থাকি, আপনি খুব সুন্দর ভাবে এ দিনটিকে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে বেশ ভালো লাগলো বন্ধুকে সাথে নিয়ে আপনি মজা করেছেন। চমৎকার একটি খাবার আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন আমি মনে করি প্রায় সকলেরই এই খাবারগুলো পছন্দ।
এটা ঠিক বলেছেন যে সবারই এই ধরনের খাবারগুলো পছন্দ।আর এটা ওই দোকানে গেলেই বোঝা যায়।
যাইহোক,ধন্যবাদ আপনাকে😊
চাপ খেতে অনেক মজা তবে সেইটা যদি হয় কোনো স্পেশাল রেস্টুরেন্টের তাহলে তো আরো মজা। আমি বই মেলায় গিয়ে চাপ খেয়েছিলাম। দুই প্রকার চাপ খেয়েছি মানুষের চাপাচাপির চাপ। দ্বিতীয় চিকেন চাপ। মানুষের চাপ ভালো লাগে নাই 😀
🤣😂মানুষের চাপ তো বিনামূল্যে পাইছিলেন তাই ভালো লাগেনি😂🤣
ধন্যবাদ আপনাকে🖤