কবিতা-"জৈব যৌগ"(১০% টু শাই-ফক্স)
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
হিউম্যান সাইকোলজির ব্যাখা অনুযায়ী,একটা মানুষের মাথায় বেশিরভাগ সময় সেই জিনিসগুলোই ঘুরপাক খায় যা নিয়ে তার দিন কাটে।
সহজ ভাষায় যদি বলতে যাই,তাহলে কথাটা দাঁড়াবে আপনার মাথায় সে জিনিসগুলো নিয়ে ভাবনা আসবে যেগুলো করে আপনি দিন কাটান।আপনি কেবোল সেগুলোর মাঝেই জগতটাকে খুঁজে পাবেন।যেমন,ধরুন আপনি শিক্ষকতার সাথে জড়িত।তো স্বাভাবিকভাবেই আপনার চিন্তা হবে কিভাবে পড়ানোর সিস্টেমটা হাই করা যায়,স্টুডেন্টদের কিভাবে ভালো সার্ভিস দেয়া যায় এসবই।একজন ব্যবসায়ী জগৎ-কে দেখবে ব্যবসার চোখে আর আপনি দেখবেন আপনার শিক্ষকতার চোখে।
এতো কথা বলার একটাই কারণ,আমার নিজের ক্ষেত্রেই এমন হয়।যেহেতু,আমি এখন পড়াশুনার সাথে জড়িত তাই মাথায় সবসময় পড়াশুনার বিষয়গুলোই ঘুরপাক খায়।মাঝে আমি কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম,বাহ্যিক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার।বাট টু বি অনেস্ট আমি খুব একটা মাথা খেলাইতে পারিনি।আপনারা অনেকে অনেক বিষয় নিয়েই কবিতা বা ছন্দ লিখেন।আমি ট্রাই করেছিলাম অনেক,কিন্তু পারিনা। এর কারণ হতে পারে বিষয়গুলোতে আমি অনভিজ্ঞ।
তো যাইহোক,মূল বিষয়ে যাই-
জৈব যৌগ
জীবনটা বেশ ভালোই চলছিলো,
তারপর হঠাৎ কেমিস্ট্রিতে জৈব যৌগ এলো।
ঠিক তারপর থেকেই জীবন তার ছন্দ হারালো,
আর অ্যালকেন-অ্যালকাইন তাদের নৃত্য দেখানো শুরু করলো।
ভেবেছিলাম প্রথম থেকে লেগে থাকলে আমিও পারবো,
কিন্তু কে জানতো এতো ডিপ এটেনশনের পরেও সশ্যে ফুল দেখবো!
প্যারা ক্লোরো 3,5-ডাই মিথাইল ফেনল,এর নাম নাকি ডেটল...
এগুলো পড়তে পড়তেই হয়ে যাচ্ছি পাগল।
স্যার বললো,জৈব যৌগে ঢুকলে বের হতে পারবিনা,
সালা আগে জানলে তো ঢুকতামই না।
বেনজিনের উপর নির্যাতন চালিয়ে কখনো বানাচ্ছে ফেনল,কখনো বানাচ্ছে বেনজাল,
রসায়নটাই হয়ে উঠেছে জনজাল।
নিজের অজান্তেই বানিয়ে ফেলেছে ইউরিয়া,
ভোলারের হাড্ডি তুলে ডুগডুগি বাজাতে আমিও মরিয়া।
পটভূমি:
কেমিস্ট্রি যদি কারো কাছে আতংকের নাম হয় তাহলে তার জন্য হয়তো জৈব যৌগই দায়ী।তো মাস খানেক হলো প্রাইভেটে জৈব যৌগ পড়ানো শুরু করেছে।ডে বাই ডে জিনিসটা মাথার ভেতর এতোটা চাপ দেয়া শুরু করেছে যা বলার মতো না।
কিছুদিন আগে নোট করতে করতে ছন্দগুলো মেলানোর চেষ্টা করেছিলাম।আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবেনা।
Cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.26/02/23
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যে যেই কাজ করে তার মাথার ভেতর সেটাই ঘুরপাক খায়। কিন্তু আমার মাথার ভিতর কি ঘুরপাক খায় আমি নিজেও জানি না হা হা হা। যাই হোক খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। সত্যি বলেছেন ভাইয়া কেমিস্ট্রি যদি কারো কাছে আতংকের নাম হয় তাহলে তার জন্য হয়তো জৈব যৌগই দায়ী। একটা সময় ছিল যখন এক কান দিয়ে শুনতাম আরেক কান দিয়ে বের হয়ে যেত। এর জন্য তো স্কুলে একদিন কেমিস্ট্রি স্যারের হাতে সবাই মার ও খেয়েছি। আজ আপনার জৈব যৌগের কবিতা পড়ে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
জৈব যৌগ নিয়ে লেখা কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে। আসলে অনেক সময় মাথায় অনেক কিছু থাকে না। আর সেগুলো যদি ছন্দের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে খুব সহজে মাথায় থাকে। আমার কাছে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করছি এই কবিতাটি পড়ে অনেকের ভালো লাগবে এবং পড়তে সুবিধা হবে।