ক্ষিপ্ত এক দুপুরের গল্প(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
ইদের ছুটি শেষ করে বগুড়া চলে আসছি বেশ অনেকদিন হলো।কিন্তু,বাসায় কাটানো সময়গুলোর অনেক গল্প আপনাদের সামনে এখনো অব্যক্তই আছে।তো,সেইখান থেকেই আজকের এই আয়োজন।
যদিও ফুটবল খেলায় আমি একদমই জিরো তবুও বাসায় গেলে ভাই-ব্রাদারের সাথে আমাদের স্থানীয় হাই-স্কুল মাঠে প্রায় প্রতিদিনই ফুটবল খেলি।এবার ইদের ছুটির ভেতর কিন্তু গরবের তীব্রতা ব্যাপক ছিল,হয়তো মনে আছে আপনাদের।সকাল ১১ টার ওদিক নিরব ফোন করে বললো,আয় ফুটবল খেলবো।যদিও বের হওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিলনা,তারপরও গিয়েছিলাম।রোদে জন্য মাঠের দিকে তাকালে মনে হচ্ছিলো ছোট খাটো একটা মরুভূমি।তাও খেলেছিলাম মিনিট চল্লিশের মতো।
খেলা শেষে কাওছার বলে উঠেছিল,চল সরবর গিয়ে গোসল করি সবাই মিলে।আমরা ছিলাম ২০/২২ জনের মতো।কিন্তু,সবাই রাজি না হওয়ায় কাওছারের কথায় সঙ্গ দিয়েছিলাম ১২ কি ১৩ জন।
মাঠ থেকে সরবর হেটে যেতে সময় লাগে প্রায় মিনিট ২০।সবাই মিলে বাদরামি করতে করতে হেটেই গিয়েছিলাম।
সাতার জানিনা আমি।তাই পুকুরের ভেতর ফুটবল দিয়ে খেলার আগ্রহটা ওদের সবার থেকে আমার একটু কমই ছিল।যেহেতু গিয়েছি সাথে,ছাড়বে না তো ওরা।
দুই ঘন্টার বেশিই ছিলাম পুকুরে।আমি যে জ্বর স্বর্দি নিয়েই বগুড়া থেকে বাসায় গিয়েছি সে কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।সবাই মিলে পুকুরে নামলে যে কি পরিমাণ আনন্দ হয় তা নিশ্চয় আপনাদের বলে দিতে হবেনা।ঠিক সেই আনন্দটাই ছেড়ে আসতে মন চাচ্ছিলো না।বাসায় না জানিয়েই এসেছিলাম।তাই ২ টা পার হয়ে যাওয়ায় বাবা বেশ কয়েকবার ফোন করেছিল।পাড়ের উপর ফোন রাখায় বুঝতে পেরেছিলাম না।পরে যখন দেখলাম, আমি আর একটা মুহূর্তও ছিলাম না ওখানে।ওরাও অবশ্য আমার সাথেই চলে এসেছিল।
©farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.24/07/22
ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের সাথে আমিও পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলাম এবং অনেক মজা করেছি আজ আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে ঐদিনকার কথা আমারও মনে হয়ে গেল আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপনার লেখার ফটোগ্রাফি গুলা দেখেই বুঝতে পারলাম শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া
আপনার স্মৃতিচারণ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ভাই।
ভালোবাসা নিয়েন ☺️🥰
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ওই দিনটিতে অনেক গরম পড়েছিল। এই গরমের মধ্যে আপনি যে কিভাবে ফুটবল খেলেছিলেন সেটা ভাবতে অবাক লাগছে। অবশ্যই ফুটবল খেলার শেষে আপনারা সবাই মিলে সেই দূর পুকুরে গিয়ে অনেকে ইনজয় করেছেন।গরমের দুপুরে এভাবে পুকুরে গোসল করতে সত্যি খুব ভালো লাগে।
আমার আর খেলা,এক মিনিট দৌড়াইলে দুই মিনিট রেস্ট নেই🤣।খেলার মতো খেলেছিলো বাকিরা।
আসলেই সময়টুকু খুব ভালো কেটেছিল।
ভালোবাসা নিয়েন আপু 😊🤎
আহারে কি মজা। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। আপনার ফটোগ্রাফ গুলো দেখে ছোটবেলার অসম্ভব সময় গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। সেই বয়স আর নেই সেই সময় আর নেই গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না তাই এভাবেই পুকুরের দল বেঁধে ও গোসল করা হয় না বন্ধুদের সাথে মজা করা হয় না।
সেটাই ভাই,তবে আমার কাছে মনে হয় এতো ব্যস্ততার মাঝেও যদি একাট্টা সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে সেই সময়টুকুতে ছোটবেলায় ফিরে যাওয়াই শ্রেয়।