খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য একটা)
শুভ দুপুর আমার বাংলা ব্লগ বাসী।আশা করি,সবাই খুবই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও আছি মোটামুটি ভালোই।
আচ্ছা,ফ্রেন্ড নামক সম্পর্ক মানেই কি কানের কাছে শুধু ট্রিট ট্রিট করা?ভালো খবর হোক আর খারাপ-ধর্মই একটা,দে ভাই ট্রিট দে।যদি দেয়া হয় তখন বলবে,আল্লাহ তোর ভালো করুক।আর যদি না দেই, তো স্ল্যাং এর খৈ ফোটাবে আর বলবে,দেখি কাকে পাস বিপদের সময়।এখানে গার্লফ্রেন্ড হলে তো লাখ টাকা খরচ করতেও ভাবতিস না।আর আমাদের বেলায় ১০ টাকা খরচ করতে ১০ বার ভাবিস।
তো চলুন এতো বকবক না করে কাহিনীতে আসি।তাইফুল ভাইয়ের বায়োলজি প্রাইভেটে একটা নিয়ম আছে।এক সপ্তাহে যা পড়া হবে,শুক্রবারে সেটার উপর এক্সাম হবে।৯০% মার্ক ক্যারি করতে পারলে নির্দিষ্ট একটা মাসের বেতন থেকে কিছু টাকা ছাড় দেয়া হয়।৭০০ টাকা করে বেতন নেন আর তা থেকে ২০০ টাকা ছাড় দেন।তো লাস্ট শুক্রবার ২০ তারিখের এক্সাম ছিল ৫০ মার্কের।গতকাল সকালে এক্সাম নেয়ার আগে সেই ৫০ মার্কের এক্সামের রেজাল্ট দিয়েছিল।আলহামদুলিল্লাহ,৪৭ পেয়েছিলাম আমি।তো নিয়ম অনুযায়ী,জুন মাসে বেতন দেয়ার সময় আমি ২০০ টাকা কম দেবো।
এক্সাম দিয়ে বাসায় আসলাম।আসতে না আসতেই জেনিন,রাকিব আর সৌমিক ধরেছে এশিয়ার মিষ্টি খাওয়া।আরে ভাই!!ছাড় পাবো ২০০ টাকা,তাও আবার সামনের মাসে।আর ওরা এখনি চাচ্ছে মিষ্টি, যার প্রতি কেজি ২৬০ টাকা।আমি কি পাগল,যে রাজি হবো।ওর থেকে তো ফুল বেতন দেওয়াই আমার জন্য ভালো।আমি তো রাজি না,আর ওরাও ছাড়বে না।জেনিন বললো যেদিন বুয়া আসেনা,সেদিন রান্না তো আমাকেই করতে হয়।সামনের দিন তোর জন্য রান্না আমি করবোনা।রাকিব বললো,এরপর থেকে কেউ গেট নক করলে আমিও যাবোনা,বারবার তুই যাস খুলে দিতে।
কি একটা বিপদ!!শেষে ছোট্ট একটা শান্তি চুক্তি করেছিলাম।চুক্তিটা ছিল এমন যে,২০০ টাকা আমি দিবো আর বাকি ৬০ ওরা তিনজন মিলে দিবে😁।চুক্তিতে রাজি করিয়ে রাতে গিয়েছিলাম মিষ্টি কিনতে।
মিষ্টি কিনে এনে দেখি,টোটাল মিষ্টি ছিল ২৩ টা।মানে ভাগে ৬ টা করে পড়তো যদি আর ১টা মিষ্টি থাকতো।ওরা বলবো যেহেতু,তুই খাওয়াচ্ছিস তাইলে তুই ৫ টা খাবি আর আমরা ৬ টা করে খাবো।
প্যাকেট খোলার আগে সুষম বন্টনের কথা হলেও প্যাকেট খোলা মাত্রই যে যা পারলো তুলে নিয়ে নিজ নিজের রুমে গেলো।আমি পেলাম ৩ টা🙂।
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.28/05/22
বন্ধুত্ব মানেই আনন্দ হৈ-হুল্লোড় খুনসুটি এসব না থাকলে বন্ধুত্বের মজাটাই থাকেনা। খাওয়াটা বড় কথা না এর পেছনে যে আনন্দটা লুকিয়ে থাকে সেটাই আসল। সন্ধি চুক্তি মোতাবেক আপনার ভাগে পাঁচটা মিষ্টি পাওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত তিনটা পেয়েছেন নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল হি হি হি। মিষ্টি কম পেয়েছেন তো কি হয়েছে আনন্দটা তো আর কমে যায়নি এটাই বা কম কিসের।
ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন।দিন শেষে ওদের সাথেই থাকি,সব অধিকার ওদের আছে।
ভালোবাসা নিবেন 💚