স্পোর্টস ডে(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
এতোদিন শুধু শুনেই এসেছি,এবার নিজ চোখে দেখার ও উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়েছে।ভাবছেন,কিসের কথা বলছি?স্পোর্টস ডে-এর কথা।আমাদের ওদিক এ ধরনের প্রোগ্রামের চলন তেমন নেই বললেই চলে।তাই নাম শুনলেও দেখার ভাগ্য কখনো হয়েছিলনা।তবে,বগুড়ায় প্রায় প্রতিটা কলেজেই স্পোর্টস ডে পালিত হয়।আর তাও বেশ ঘটা করে।
গতকাল ছিল আমার কলেজে স্পোর্টস ডে।স্পোর্টসে যে যে ইভেন্ট গুলো ছিল,সেগুলো প্রাকটিস করানোর জন্য প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই কলেজ বন্ধ দিয়েছিল।গত পর্শু ফোনের ম্যাসেজ দেয়ার মাধ্যমে জানানো হয় ৩১ মার্চ স্পোর্টস ডে পালিত হবে এবং কলেজে গিয়ে গার্ডিয়ানদের প্রবেশ করার জন্য ইনভাইটেশন কার্ড আনতে বলা হয়েছিলো।কথা অনুযায়ী যদিও একটা কার্ড এনেছিলাম তবে সেটা আমার কোনো কাজে লাগেনি।কারন,বাড়ি থেকে বাবা -মা বা অন্যকেউই আসেনি।
গতকাল সকালে কেমিস্ট্রি প্রাইভেট পড়ে এসে সকালের খাবার খেয়ে গোসল সেরে নিয়েই কলেজ ড্রেস পড়ে ১০ টার ওদিক কলেজে গিয়েছিলাম।
সত্যি বলতে এতো বড় আয়োজন আমি কখনোই দেখিনি।একে তো ছিল হাই-ফাই ডেকোরেশন আর প্রায় ১০,০০০ লোক ছিল ভেতরে স্টুডেন্টরা সহ।পুরা এপিবিএন(আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন)লোকে পরিপূর্ণ ছিল।
মেস থেকে মাঠে যাইতে আমার দেরি হয়ে গিয়েছিল,তাই কোনো খেলাই আমি দেখতে পারিনি।কিন্তু কিছু ডিসপ্লে আর নাচ দেখতে পেরেছিলাম।আর সবশেষে পুরস্কার বিতরণী।
সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যেটা তা হলো আমার কোনো বন্ধু গিয়েছিলনা কলেজে।আমি নিজেও যেতাম না,শুধু একটা আর্টিকেলের লোভেই যাওয়া😑।আমার মামাতো বোন অন্ত আমার সাথেই ওই কলেজেই পড়ে।তো সময়টুকু ওর সাথেই ছিলাম।
সত্যি বলতে এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো নিয়ে ব্লগ করা বেশ অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়।কারণ,মনের মতো করে বুঝানো যায়না।মনটা চায়,আমি যা যা দেখেছি সবটুকু আপনাদের সেভাবেই বলি।কিন্তু তা তো সম্ভব হয়না।নাচের অংশের ছোট্ট একটা ভ্লগ বানিয়েছি,চাইলে দেখতে পারেন।
নাচের ভিডিও তো,স্পিডটা বাড়িয়ে দেওয়া যদিও ঠিক হয়নি।তারপরেও কি করার!ডিউরেশন অতিরিক্ত বেশি হয়ে যেত।
ডিসপ্লে শেষে পুরস্কার বিতরণী শুরু হয়েছিল।সত্যি বলতে অনেক আফসোস করেছিলাম পুরস্কারগুলো দেখার পর।বেশ আকর্ষণীয় আর দামী পুরস্কার ছিল।সেজন্য ভেবেছিলাম কোনো একটা ইভেন্টে পার্টিসিপেট করে একটা চান্স নেওয়া লাগতো😁।
উপরে সাদা শার্ট পড়ে পুরস্কার নিচ্ছেন তিনি ছিলেন শারীরিক শিক্ষার টিচার।আর যিনি দিচ্ছেন তিনি আমাদের অধক্ষ্য।
পুরো সময়টুকু ভালোই ছিল।তবে সবচেয়ে প্যারাদায়ক ঘটনা ঘটেছিল বের হওয়ার সময়।সবাই একসাথে চাপ দিয়েছিল আর এর চেয়েও বড় কারণ হলো সবাইকে হাতে হাতে নাস্তা দিয়ে বের হতে দেয়া হচ্ছিলো।একেই তো লোকের ভিড় তার উপর নাস্তার প্যাকেট নেয়ার জন্য আরো পারাপারি😣।জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল ওই সময়টুকুর জন্যই।
বের হতে রাস্তা বাকি ছিলো বড়জোর ৪০/৫০ মিটার।সেটুকু পার হইতেই ২০ মিনিটের মতো লেগেছিল।আচ্ছা,সময়টুকু কিছুই মনে হতোনা যদি আমার নাস্তাটা আমিই খেতে পারতাম।অন্ত আমারটাও নিয়ে গেছে ওর বাড়িতে🙂।
তবে,সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় ছিল।রাতে অবশ্য কনসার্টও হয়েছিল।সেটা নিয়ে কাল আসবোনি।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro.
Location
Date.01/03/22