গোবিন্দগঞ্জ সরকারী উচ্চ-বিদ্যালয়
রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার সুনামধন্য বিদ্যাপীঠ গোবিন্দগঞ্জ সরকারী উচ্চ-বিদ্যালয়।গোবিন্দগঞ্জ এম,ই স্কুল নামে ১৮৮৪ সালে ববনপুরের জমিদার এস,এন রয় চৌধুরী কতৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।এটি ১৯১২ সালে এইচ,ই স্কুল নামে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন হয়।সুন্দরগঞ্জের জমিদার প্রদ্দুত কুমার ঠাকুরের দানকৃত ৪.৫ বিঘা জমির উপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে স্কুল কতৃপক্ষ আরো ৬ বিঘা জমি ক্রয় করে স্কুলের সীমানা বর্ধিত করে।১৯৪০ সালে স্কুলের মূল ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল যার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে মধ্যভাগে তিনটি ভবন এখনো রয়েছে।১৯২১ সালে দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য একটী আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়।১৯৬৬ তে বিজ্ঞান শাখা,১৯৬৮ সালে কৃষি শাখা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্কুলটি বহূমূখী নামে আত্মপ্রকাশ করে।বাংলাদেশের প্রথম স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদ,ভারতের সেনা প্রধান জে,এন রয় চৌধুরী,কৃষিবিদ কাজী এম,বদরুদ্দোজা সহ প্রমুখ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী ছিলেন।
SOURCE
ছাত্র হিসেবে ২০১৬ সালে এই বিদ্যালয়ে আমার প্রবেশ।এই কয় বছরে বিদ্যালয়ের অনেক অর্জনের স্বাক্ষী হতে পেরেছি।যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে বিদ্যালয়টির সরকারীকরণ।২০১৭ সালে বিদ্যালয়টি সরকারী হিসেবে ঘোষিত হয়।প্রতি বছর প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করে।বিজ্ঞান মেলা,বৃক্ষরোপন কর্মসূচী,বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম এই বিদ্যালয়টি প্রতি বছরই আয়োজন করে।এছাড়াও তো বিভিন্ন জাতীয় উৎসব রয়েছেই।
শিক্কার পাশাপাশি খেলা-ধূলাতেও এগিয়ে রয়েছে আমাদের এই বিদ্যাপীঠ।স্পোর্টস ডে পালনসহ প্রতি বছর ব্যাচওয়ারী ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।একটি পরিপূর্ণ বিদ্যালয় বলতে যা বোঝায় বিদ্যালয়টি যেন তারই প্রতিচ্ছবি।
ভালো লিখেছো তোমার স্কুল ক্যাম্পাস সম্পর্কে। যাইহোক তোমার জন্য শুভকামনা রইল ।
ভাল লেগেছেন আপনার স্কুল ক্যাম্পাস নিয়ে