ফুটবল ম্যাচ
১৮৬৩ সালে ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া একটি খেলা যা কিনা বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় । হুম,ঠিকই বুঝেছেন।আমি ফুটবলের কথাই বলছি।স্কুল-প্রাইভেট সব বন্ধ।তাই রোজ বিকেলে ফুটবল খেলার অগাধ সুযোগ রয়েছে আমার। আর আমি সুযোগের সৎ ব্যবহার নিয়মিতই করে যাচ্ছি। চলুন আজ আপনাদের সাথে আমার তথা আমাদের ফুটবল খেলা নিয়ে একটু কথা বলি।
ফুটবল খেলা নিয়ে কথা বলতে চাইলাম জন্য ভাববেন না যে আমি এই খেলা নিয়ে যাবতীয় আলোচনা করবো। আমি তো আমাদের খেলায় সচারাচর ঘটা সামান্য একটা কাহিনীর কথা বলবো।ফুটবলের নিয়ম মেনেই আমাদের খেলাটা শুরু হয়। মোদ্দা কথা দুই দলে ১১ জন করে মোট ২২ জন খেলোয়াড়, একজন রেফারিসহ যাবতীয় যত নিয়ম আছে সব মেনেই খেলা শুরু করা হয়।হাই ভোল্টেজ গেমিং এর আশা করে আমরা খেলার আগে ঠিক করে নিই যে কে কে হবে ডিফেন্ডার, কে কে হবে মিডফিল্ডার এবং কে কে হবে এটাকার। হিসাব মতো সব ঠিক-ঠাক করে নিয়ে খেলাটা অবশেষে শুরু হয়। কিছুক্ষণ খেলাটা পরিকল্পনামাফিকই চলে। অতঃপর শুরু হয় আমাদের নিজের তৈরি নিয়মের খেলা। মানে যেথায় বল সেথায় সব খেলোয়ার। নিজেদের পজিশন ভুলে সবাই হয়ে যায় এটাকার। মাঝে মাঝে এমনও হয় যে গোলরক্ষকও এটাকিং এর চিন্তা ভাবনা করে। এই ধরনের খুনশুটিগুলো ছাড়াও আরো অনেক কাহিনীর ছড়াছড়ি তো আছেই।সবশেষে এটুকু বলতে পারি খেলাটা আমাদের কাছে খেলার মতো না।খেলাটাকে মাধ্যম হিসেবে নিয়ে মানসিক তৃপ্তি পাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
দুইদিনের জীবন।কে কিভাবে তা উপভোগ করবে সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।আমি তো বেশ আছি। আশা করি, আপনারা সবাই আপনাদের জীবনটাকে সর্বোচ্চ উপভোগ করতে পারবেন। বিদায়বেলায় একটাই কথা আপনাদের কাছে থেকে কিছু শিখতেই আমার এই প্লাটফর্মে আসা। তাই আপনাদের থেকে উৎসাহ পাওয়াই একান্ত কাম্য।
একদম আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে কারণ একটা সময় আমিও এই ভাবে ফুটবল খেলে ছিলাম যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন ।
আপনার লেখাটি পড়ে আমি ভালই মজা পেয়েছি। সব থেকে শেষের অংশ গুলো ভাল ছিল এবং অনেক বাস্তব ঘটনা তুলে ধরেছেন। আসলে গ্রাম অঞ্চলের ফুটবল খেলা গুলো আসলে এরকমই হয়ে থাকে। আমি এরকম অবস্থা দেখেছি আমাদের এখানে।