হঠাৎ করেই কেন এমন হয় ?
সকাল ১০ টা পর্যন্ত মন ভালোই ছিল।মেসেজে কথাও চলছিল।বাবার একটি কাজ এবং আমার একটা খুনশুটি পূরণের জন্য কিছুক্ষনের জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম।বাসায় আসতে আসতে রাস্তার উপরই মনটা খারাপ হয়ে গেলো।বাসায় ফেরার পর ধীরে ধীরে মন খারাপের তীব্রতা বাড়তে থাকল।মেসেজ তখনও চলছিল।মেসেজ কথা বলতে বলতেই সব ক্যানজানি উলট-পালট লাগতেছিল।এমন মনে হচ্ছিল যেনো কেউ কথার দ্বারা বুকে গুলি করেছে।কিছুক্ষনের জন্য পাগলই হয়ে গেছিলাম।পরিত্রান পাওয়ার জন্য অনেক আজেবাজে চিন্তা-ভাবনা মাথায় আসতেছিল।মেসেজিং অফ করে দিলাম।পড়ার টেবিলে গিয়ে এশেজ ব্যান্ডের গান চালু করে দিয়ে একটা বড় কাগজ কেটে ছোট ছোট অনেক খন্ড করলাম।লাল কালির কলম নিয়ে কাগজগুলোতে যা যা মন চাইলো লিখলাম।এসব করতে করতেই আজান দিলো,গোসল দিয়ে মসজিদে গেলাম।মসজিদ থেকে এসে আমার এই বিষয়টা গুগল করার পর জানলাম যে,এটি হলো রিয়্যাক্টিভ ডিপ্রেশন এর শামিল।হাল্কা একটু কথা বলি।
SOURCE
বর্তমান সময়ে ডিপ্রেশন জিনিসটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে,যেকোনো সময় যে কেউ এর কবলে পড়তে পারে।যখন এর পিছনে কোনো কারণ কাজ করে তখন সেটার নাম হলো রিয়্যাক্টিভ ডিপ্রেশন এবং যখন কোনো কারণ থাকেনা সেটা হলো বায়োলজিক্যাল ডিপ্রেশন।
লক্ষণঃ
১/বেশিরভাগ সময়ই মন খারাপ থাকে।
২/খাইতে মন চায়না।
৩/খুব বেশি কথা বলতে মন চায়না।
৪/একা থাকতেই বেশি ভালো লাগে।
৫/শরীরে তেমন উদ্দ্যম থাকেনা।
৬/জীবনকে অর্থহীন মনে হয়।
এই লক্ষনগুলো যদি ২ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কারো মাঝে থাকে এবং তার জীবনযাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে তখন তাকে মেজর ডিপ্রেশিভ ডিসঅর্ডার বলে।অনেক সময় মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।মুড সুইং করে।
প্রতিকারঃ
১/সবসময় হাশি-খুশি থাকার চেষ্টা করা।
২/সবার সাথে মিশে থাকা।
৩/মনের বিরুদ্ধে কোনো কাজ না করা।
৪/চিত্তবিনোদনমূলক কাজ বেশি করা।
৫/যতটা সম্ভব হয় একা না থাকা।
নিজে জানার জন্যই বিষয়টা সম্পর্কে গুগোলে সার্চ করেছিলাম।পরে ভাবলাম আপনাদের কাজে আসতে পারে।তাই এখানে ছোট্ট একটা পোস্ট করলাম।আশা করি কাজে আসবে।
AUTHOR: @farhantanvir
DATE: 2/07/21
অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট করেছেন ভাই। আমাদের সকলের উচিত সকলের সাথে মিলেমিশে থাকা। আমার বাংলা ব্লগ এমন একটা কমিউনিটি যেখানে সবাই ভাই-ভাই এবং মজা মাস্তি হয়ে থাকে।
আশা করি, আপনার সকল ডিপ্রেশন কেটে যাবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে আমরা বর্তমানে অনেকটা আবেগপ্রবন হয়ে যাচ্ছি, সবকিছুই নিজের মতো করে পেতে চাই আর এই চাওয়া-পাওয়ার মাঝে যখন কোন গ্যাপ তৈরী হয়ে যায় তখনই আমরা মানসিকভাবে ভীত হয়ে যাই এবং ধীরে ধীরে চরম ডিপ্রেশনে ডুবে যাই।
ভাই ছিলো আপনার উপস্থাপনা এবং লেখার মান। তবে হ্যা পরামর্শগুলো সার্বজনিন, যদিও আমরা এগুলো মেনে চলার চেস্টা করি না।
খুব সুন্দর বলেছেন ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে
ডিপ্রেশনকে জয় করায় প্রকৃত মানুষের কাজ। ভালো লিখেছো তোমার জন্য শুভকামনা রইল।