তাদের সৌন্দর্যও ফুলের থেকে কম না(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
বায়োলজিতে ফুল নিয়ে পড়ার সময় যখন ফুলের সঙ্গা জেনেছিলাম তখন সেখানে লেখা ছিল,প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি।ভালোবেসে-আদর করে ছোট বাচ্চাদের আমরাও ফুল বলি মাঝে মাঝে।তাদের সৌন্দর্যের উপমা দেই ফুলের সাথে।সত্যি বলতে এই ফুলগুলোর সাথে থাকতেই কেনজানি আমার ভালো লাগে।যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা হয়তো জানেন যে,মাঝে মাঝেই এই পিচ্চিদের নিয়ে আমি লেখালেখি করি।বিশেষ করে বাসায় গেলে আমার বেশিরভাগ সময়ই কাটে ওই ফুলগুলোর সাথেই।
চলুন,ফুলগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।যদিও এর আগেও বলেছি!
সুরাতি সানভি,আমাদের ভাড়াটিয়া আপুর মেয়ে।এর বিষয়ে বলতে গেলে আমার ভাষা শেষ হবে তাও বলা শেষ হবেনা।এইটুকু পিচ্চি আর সে তুলনায় যে কতটা চালু তা বলার বাহিরে।আমি গেলেই,মামা মামা করে ডাকবে।আর বলবে,এটা দাও ওটা দাও।যদি একবার বলি না দেবোনা,ব্যাস হইছে তাহলেই।রাগ করে ঘরের দরজা লাগিয়ে ভেতরে বসে থাকবে।কারো সাথে কথা বলবে না।এতো পরিমাণ জেদ ওর,বুঝানোর মতো না।তবে এমনিতে অনেক ভদ্র,বাহিরের মানুষের সামনে একদম দুধে ধোয়া তুলশী পাতা😂।এর বিষয়ে এতোটুকু জানলেই হবে।
আলভিরা স্পর্ষিয়া।আমার বড় খালাতো ভাইয়ের মেয়ে।একে নিয়ে যদি বলতে যাই,তাহলে বলবো এর ভবিষ্যৎ ওর বয়সী অন্য দশটা বাচ্চার থেকে এখনি অনেক এগিয়ে।ওর কথা-বার্তা কিংবা চলাফেরা এখনই এতোটা পারফেক্ট বলা চলে যা কিনা ৮/৯ বছরের ছেলে-মেয়েদেরও না।ও বাংলা খুব একটা বোঝেই না।খাসি দেখিয়ে যদি বলি ওটা কি-ও বলে গট।আম দেখালে ম্যাংগো বলবে।অথচ,যখন বলি বাংলাতে বলতে তখন খুব একটা পারেনা।এটা কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে তা আমার জানা নেই তবে এটুকু বলতে পারি যুগের সাথে সেট খেতে পারবে খুব ভালোভাবেই। এর ওতো জেদ বা রাগ নেই।বেশ শান্ত-শিষ্ট।বাহিরের খাবারও খুব একটা খায়না।মায়ের তুলনায় বাবার খুব বড় ভক্ত।
তুবা,আমার ছোট মামার মেয়ে।আমার সাথে বাচ্চা-কাচ্চা মিশেনা এটা হতেই পারেনা।কিন্তু,তুবাই একটা ব্যতিক্রম ছিল যে কিনা,আমার কাছে আসতে চাইতোনা।তাহলে হয়তো ভাবছেন,ছবিতে ওতো হাসিমুখে ছবি কিভাবে তুলেছি ওর সাথে!লাস্ট যেবার বাসায় গিয়েছিলাম সেবার দেখি আমি না বলতেই ও নিজে থেকেই আমার কোলে এসেছিল।এর পিছে যে কি মহৎ কারণ ছিল,তা আমার এখনো অজানা।
ওর দাত দেখেই তো বুঝতে পারছেন,বাহিরের খাবারের প্রতি কতটা আকর্ষন!বাসার পাশে দোকানির নাম বাকি।তো ও সব খাবারকেই বাকি বলে ডাকে।যখন ওকে বলবো, তুবা বাকি নেবে?হ্যাঁ হ্যাঁ নেবো😆।তুবা খুব একটা কথা বলেনা,জেদও তেমন নেই।মা এবং বড় বোনের প্রতি খুব টান কাজ করে ওর।
একে তো হয়তোবা অনেকেই চেনেন।সুপ্ত,বড় ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে,শুভ ভাইয়ার ভাতিজি।উপরের সবার থেকে ও অবশ্য বছর দুই তিনেকের বড়।এর কিউটনেস লেভেল নিয়ে বলার কিছুই নেই।ছোট বাচ্চা-কাচ্চা পছন্দ করেন,এমন যে কেউ একে কাছে পাইলে ছাড়তে চাইবেন না।আমার সাথে যতক্ষন থাকবে,চাচ্চু চাচ্চু করে ডেকে আমার কানের অবস্থা খারাপ করে দেবে।এ কথা সে কথা,অথচ কোনো কথারই কোনো মাথা মুন্ড নেই🤣।বেশ বুদ্ধিমতী।মুখ বন্ধ রাখতে পারেনা আর অনেক চঞ্চল স্বভাবের।বাবার পাগলা ভক্ত।লেডি বাইকার হওয়ার প্রবল ইচ্ছা তার।
এদের নিয়ে লেখার বিশেষ কোনো কারণ নেই।অনেকদিন ধরে দেখিনা কাউকেই।বাসায় কবে যাবো আর কবেই বা তাদের দেখা পাবো তাও জানিনা।মনে হচ্ছিলো ওদের কথা,তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে নাহয় শেয়ার করি।
Cc. @farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Date.02/08/22
ঠিক বলেছেন আপনি ফুলের সৌন্দর্য টা যেমন বাচ্চারাও কিন্তু ফুলের মতই সুন্দর। অনেক কিউট কিউট বাচ্চাদের সাথে আজকে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সুপ্ত কে এর আগেও দেখেছিলাম আপনার সাথে। সবাই ভীষণ সুন্দর এবং মুহূর্তগুলো বেশ ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লাগাই আমার কাছে স্বার্থকতা🖤