কলেজ বাঙ্ক দিয়ে প্রেম যমুনার ঘাটে( ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
নাটক-সিনামায় দেখেছি কলেজ বাঙ্ক দিয়ে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করতে।নিজের এমন অভিজ্ঞতা তখনো হয়েছিলোনা।বাট মনে মনে ভাবতাম,যখন কলেজে উঠবো এমন আমিও করবো😌।
তারিখ মনে নেই।রাত বাজে ৮/৯ টা।হঠাৎ অপ্সরার ম্যাসেজ।ওর কথা তো বলেছিলামই,আমাদের ইফতার বিতরণ কর্মসূচির প্রধান উদ্দ্যোক্তা।তো ওর একটা বৈশিষ্ট্য বলা যেতে পারে যে ওর কোনো ঠিক-ঠিকানা নাই ম্যাসেজ দেয়ার আর ম্যাসেজের বডি কি হবে তারও ঠিক নাই।ঠিক এভাবেই সেদিন রাতেও ম্যাসেজ দিয়েছিল।বললো,ট্রিট দিবি?বললাম,কোন দুঃখে?ব্যাস,ওর ওই টপিক শেষ।তারপর আবার বললো,চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি কলেজ বাংক দিয়ে।প্রপোজালটা ভাল্লাগলো।কারণ,আমারো তো ইচ্ছা ছিলো আগে থেকেই।বাট আমি তারপরেও ওতো এক্সাইটমেন্ট দেখাইনি কারণ,ও একটা প্ল্যান ঠিকই করবে অথচ কিছুক্ষন পরে নিজেই বলবে থাক বাদ দে।কিন্তু,এবার দেখি ওই বেশি সিরিয়াস।আমায় বলার পর রিয়াকেও বললো।রিয়াও রাজি।ওহ,রিয়া হচ্ছে আমাদের ছোটবেলার ফ্রেন্ড।রিয়ার আবার বগুড়ায় এসে দুইটা ফ্রেন্ড হইছে-আজিম আর জিসান।ও আবার ওদের দুজনকে বলেছিল।এই হলো পাচজন।পরেরদিন সকালে কলেজ টাইমের আগে ড্রেস পরে কালিতলা গিয়ে সবাই মিট করেছিলাম।আর তারপর ওখান থেকে সিএনজি করে ডিরেক্ট শারিয়াকান্দি।
শারিয়াকান্দির নাম অনেক শুনেছিলাম।খালি শুনি ফেরি ঘাট আছে,প্রেম যমুনার ঘাট আছে,অনেকে ঘুরতে যায়।আমাদের পাচজনেরই ফার্স্ট টাইম ছিল শারিয়াকান্দি যাওয়া।ঘন্টা খানেক জার্নি করে পৌছাছিলাম শারিয়াকান্দিতে।
সত্যি বলছি,অমাইক একটা জায়গা।সিএনজি থেকে নামার পরেই একটা ঠান্ডা বাতাস এসে যখন গায়ে লাগলো,মনে হলো যেন বাহিরের গরম থেকে এসি ঘরে ঢুকলাম।নামার পর কিছুক্ষন পাড়ের উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম।ঠান্ডা বাতাসে শরীর-মন সব জুড়িয়ে নিচ্ছিলাম।ভাবছিলাম,প্রেম যমুনার ঘাট নাম আর এমনে হয়নি।কংক্রিটের শহর থেকে বেরিয়ে যে ঘন্টা দেড়েক ওখানে ছিলাম সত্যি তা ভোলার নয়।স্মৃতিটুকু আরো মধুমাখা হতো যদি নৌকায় করে ঘুরতে পারতাম।কিন্তু পাচজনেরই কেউই সাতার পারিনা।রিস্ক নেওয়া যেতো যদি বাসার কাছে হতো।একে তো সবাই বাসা ছেড়ে থাকি বগুড়ায়,আর শারিয়াকান্দি সদর থেকেও ঘন্টা দেড়েক দূরে।উলটা পালটা কিছু হয়ে গেলে, খেল খতম-পয়সা হজম।
বেশ কিছুক্ষন পাড়ে থাকা নৌকার উপরই সবাই আড্ডা দিয়েছিলাম।ছবি-টবি তুলেছিলাম।
একটাই আফসোস হচ্ছিলো বুঝলেন,ঘুরতে গেলাম প্রেম যমুনার ঘাটে।অথচ,প্রেম করার কোনো মানুষই নাই জীবনে।হোক,সে দুঃখের কথা নাহয় তোলাই থাক।
রাস্তার উপর দু-চারটা দোকান ছিল।বাচ্চাদের খেলনা,শো-পিছ সহ সরবত আর ফলমূলের দোকান আরকি।
কলেজ ছুটির সময় হয়ে এসেছিল।তাই আর দেরি না করে আবার একটা সিএনজি ভাড়া করে মেসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।আসতেই মন চাচ্ছিলোনা জায়গাটা ছেটে।এতোটা সুন্দর জায়গা বলে বুঝানোর মত না।অভিজ্ঞতাটা ভালো ছিল।
আমাদের ছোট জার্নির ছোট একটা ভিডিও রয়েছে,চাইলে দেখতে পারেন।
https://youtube.com/shorts/LFOx4-fjFKI?feature=share
Cc.@farhatanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Video music: love you zindegi
Location
Date.28/06/22
অনেক শুনেছিলাম প্রেম যমুনার ঘাটের কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নি। আজই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখার সৌভাগ্য হল । সত্যি অনেক ভালো লাগলো পরিবেশটা। ইচ্ছা আছে খুব তাড়াতাড়ি একবার ঘুরে আসবো এই প্রেম যমুনার ঘাট থেকে।
অবশ্যই আসবেন ভাইয়া।আর আসার আগে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন,একটা কোয়ালিটি টাইম কাটানো যাবে💙
আপনার মত এইরকম কলেজ বাঙ্ককরে মনে হয় ঘোরাঘুরি করা মনে হয় কখনো হয়নি। কিন্তু আপনার এটা ইচ্ছে ছিল এমনকি ইচ্ছাটা তাড়াতাড়ি পূর্ণ হয়ে গেল দেখে ভালো লাগলো। আপনার বন্ধুরা সহ দেখছি অনেক মজা করেছেন। মুহূর্তটা নিশ্চয়ই বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হুম আসলেই ভালো লেগেছে।ইদের পরেরও একটা প্ল্যান আছে।দেখি পূরন হয় কিনা
যমুনার ঘাটে দৃশ্যপট দেখে খুবই ভালো লাগলো ।নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আমাদের সাথে এত সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লাগলো জেনে আমি আমার পোস্টের স্বার্থকতা খুজে পেলাম।ভালোবাসা নিয়েন