পোড়াদহ মেলা - পর্ব ২ (10% টু শাই-ফক্স)
আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি।
দিনগুলো কিভাবে কিভাবে কেটে যাচ্ছে বুঝতেই পারছিনা।সবদিক থেকে এতোটা চাপের ভেতর আছি,তা বলার মতো না।লেখার জন্য এতো এতো ছবি ফোনে তোলা আছে,কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করার সুযোগটাই পাচ্ছিনা।রুটিনের ওলট-পালট ঘটে যাওয়ায় প্রায় সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে।সব ঠিক থাকলে আজকের পোস্টটা হয়তো অনেকদিন আগেই পড়তে পারতেন।
বেশ কিছুদিন আগে পোড়াদহ মেলা নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম।আর সেই লেখাটা বেশ বড় হয়ে যাওয়ায় আমায় দ্বিতীয় পর্বের আশ্রয় নিতে হয়েছে।গত পর্বের শেষাংশে বলেছিলাম যে,এই মেলাটা মূলত মাছ আর মিষ্টিকে কেন্দ্র করেই হয়।আর আমাদের বগুড়ার সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহ্যবাহী মেলা এটা।সব শেষ করে যেহেতু আমরা রাতের বেলায় গিয়েছিলাম মেলাতে তাই খুব একটা ভালো উপভোগ করতে পারিনি সবকিছু।দিনের আলো পড়ার আগেই বড় মাছ আর মিষ্টিগুলো প্রায় বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।
ছোট থেকে এই সাইজের অনেক প্রকার মিষ্টি দেখেছি।তবে কোনোদিন খেয়ে দেখিনি।তবে কেন খাইনি তার কারণটাও আমার অজানা।আসলে,খাওয়ার ইচ্ছাটা কেনজানি আসেনি কোনোদিন।এটা মাছের শেইপে করা হলেও,বেশিরভাগ সময় বালিশের মতো একটা শেইপ দেয়া হয় আর সেটাকে আমরা বালিশ মিষ্টি বলেই চিনি।
এই মিষ্টিগুলো তো হরহামেশা দেখেনই সবাই।তবে এগুলোর আলাদা একটা বিশেষত্ব হলো এগুলো মেলার মিষ্টি।তাই দামটাও বাহিরের তুলনায় বেশিই ছিল।
দেখতেই পাচ্ছেন যে,মোমবাতি জ্বালিয়ে অনেকে দোকানে বসেছিল।আর ওমন অবস্থায় বড় মাছ দেখার আশা করাটাই বোকামি।তারপরেও কিছু মাছ দেখেছিলাম যেগুলোর সাইজ আমার হাইটের কাছাকাছি হবে।বাস্তবে যতটা বড় দেখি,ছবিতে তো আর সম্ভব না ওতো বড় দেখানো!আর আফসোসটা ঠিক এখানেই।সব বলছি কিন্তু দেখাতে পারছিনা মনের মতো করে।
এগুলোকে আবার বড় জাতের মাগুর মাছ ভেবে ভুল করবেন না।খুব সম্ভবত এগুলোর নাম বাঘা-আইড় মাছ।এই নামটার সঠিক উচ্চারণ আমার জানা নেই।স্থানীয় ভাষায় শুনে এসেছি-বাগার,বাগাইর এমন অনেক কিছুই।তবে কোনটা সঠিক তা আমার অজানা।
এই ছিল পোড়াদহ মেলা নিয়ে আমার দ্বিতীয় ও শেষ আয়োজন।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।
সবার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিদায় নিচ্ছি,
🌼আল্লাহ হাফেজ। 🌼
©@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.13/03/23
বগুড়ার এই এতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা সম্পর্কে জেনে খুবই ভালো লাগলো। তবে এরকম মেলায় আমি প্রথম আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখলাম যেখানে শুধু মাছ আর মিষ্টি বিক্রি হয়। তবে বগুড়ার মেলা সম্পর্কে পড়ে ভালো লাগলো। মাছ আর মিষ্টির মেলার রাতের বেলা বিভিন্ন ধরনের লাইটিং এর ব্যবস্থা নেই। অন্য মেলা হলে তো অনেক ধরনের লাইটিং এর ব্যবস্থা থাকে। মেলায় অনেক ধরনের বড় বড় মাছ দেখতে পাচ্ছি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মেলায় যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কিছু দোকানে লাইট ছিল অবশ্য।তবে আমি মোমের আলোয় গিয়েছিলাম এই কারণেই যে,আপনাদের সাথে বিষয়টা শেয়ার করার পাশাপাশি প্রাচীন একটা ফিল দিতে পারবো😁।
ধন্যবাদ ভাই এতো ব্যাস্ততার মাঝেও চমৎকার পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য। বালিশ মিষ্টি আমি আগেও দেখেছি কিন্তু মাছের মিষ্টি আমি এই প্রথম দেখলাম। বেশ অন্যরকম একটা ব্যাপার, মিষ্টিটা খেতেও নিশ্চয়ই বেশ স্বাদের ছিল।
মাছগুলো কিন্তু বেশ বড় মনে হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মেলা নিয়ে চমৎকার পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য।
বলতে পারলাম না,মিষ্টিটা খেয়ে দেখিনি।তবে ভালোই ছিল আশা করি।
ব্যস্ততার কারণে আমাদের মাঝে বিভিন্ন সময়ের মুহূর্তগুলো শেয়ার করে উঠতে পারেননি জেনে সত্যি খারাপ লাগছে। কারণ এটা ঠিক অনেক সময় গ্যালারিতে অনেকগুলো ছবি পড়ে থাকে কিন্তু বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা হয়ে গেলে সেই সময়টা সবার সাথে ভাগ করে নেয়া হয় না। যাই হোক বগুড়ায় সেই মেলা মিষ্টি আর মাছ কে কেন্দ্র করে গঠিত হয়ে থাকে ব্যাপারটা জেনে অবাক হলাম। কারণ স্বাভাবিকভাবে মেলা মানেই বিভিন্ন রকম কিছু আয়োজন হয়। তাছাড়া ছবিতে মাছগুলো দেখে যতটা সাইজের মনে হচ্ছে বাস্তবে তার থেকেও বড়। কারণ আমি নিজে প্রায় মাছ কিনি আর ছবি উঠানোর সময় ছোট দেখালেও মাছগুলো বড়ই হয়ে থাকে। যাই হোক মুহূর্তটা সময় করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
তাও বুঝতে পেরেছেন বিষয়টা!মাছগুলো এতো বড় বড় ছিল,ভালোভাবে দেখাতে না পেরে আমারই খারাপ লাগছে।
ভাইয়া আপনাদের পোড়াদহ মেলার মিষ্টি আর মাছ দেখে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। আমি এই প্রথম মাছ আকারে এত বড় মিষ্টি দেখলাম। যদি আমি আপনাদের এলাকায় থাকতাম তাহলে অবশ্যই মাছ আকৃতির মিষ্টিগুলো কিনে আনতাম। তাছাড়া আরও অনেক রকমের মিষ্টি ও মাছ দেখলাম। আপনার বর্ণনা পড়েও খুবই ভালো লাগলো। এরকম মেলা হলে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাড়ি হোক বা নাই হোক,পরের বছর মেলা হলে জানিয়ে দিবো।অবশ্যই আসবেন❤️।