পথশিশু :||যত্ন নিলে মরা গাছেও ফুল হয়||১০% লাজুক খ‍্যাঁকের জন‍্য।

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @farhanshadik বাংলাদেশের নাগরিক।


আমি ফারহান সাদিক,আমার ইউজার নাম @farhanshadik।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।


চলুন শুরু করি


flower-g134c3e2ec_1920.jpg

Source

আমার চোখে দেখা শহরে বেশির ভাগ পথশিশু, অযত্নে , অনাদরে, অবহেলিত অবস্থায় ফুটপাথে পড়ে আছে। কখনো কখনো তাদের ময়লাযুক্ত কোমল দু’হাত বাড়িয়ে দেয় রাস্তা চলতি মানুষ এর দিকে। পেটে একটু খাবার দিতে কতই না কসরত! তাদের চোখ যেন তৃষ্ণার্থ ক্ষুধায় কাতর দৃষ্টি, ঘুম নামক প্রশান্তিটা যেন তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। কী করুণ সেই দৃশ্য! তাদের চাহনির মলিনতা দেখে যে কোনো মানুষের নয়ন বেয়ে দু’ফোঁটা পানি গড়িয়ে যাবে। আহ! কি বিচিত্রময় মানব জীবন। কিন্তু আপনি ভেবে দেখুন আপনি রোজ আপনার ছেলে মেয়ে কে গাড়ি করে নিয়ে যান স্কুলে।খেতে না চাইলেও বিভিন্ন রকম ফল-মুল শোভা পায় আপনার খাবার টেবিলে।দুদিন পরে যখন খাবার গুলো নষ্ট হয় খাবার গুলোর স্থান হয় রাস্তা ধারের ডাস্টবিনে। রাস্তা পাশে,রেললাইন এর পাশে আপনার সন্তান এর সমবয়সী ছেলে-মেয়ে বসে ভিহ্মা করে।আপনার ফেলে দেওয়া ডাস্টবিন এর খাবার খায়।কিন্তু এই ছেলে গুলোর মানুষ হিসাবে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছিনা।আমি একটি সংস্থার সাথে বর্তমান জড়িত যারা অবহেলিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে।তো প্রতিনিয়ত অনেক শিল্পপতিদের কাছে যাওয়া হয় সাহায্য জন্য।আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি।যে এই ছেলেগুলোর দায়িত্ব নেওয়া আমাদের কতটা জরুরি। তাদের সাথে কথা বলে আমার ভালো,মন্দ দুই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে।কেউ বলে আমি তো পথ শিশু দেখলে তাকে সহয়তা করি।ধরেন আপনি একটি ছেলেকে ১০০ টাকা দিয়ে সহয়তা করলেন।দুই বেলার খাবার খেয়ে টাকা শেষ। কি লাভ এমন সহায়তা করে। তার চেয়ে যদি আমরা যারা আল্লাহর দোয়ায় সম্পদশালী আছি। অবহেলিত শিশুদের দায়িত্ব নেওয়ার হ্মমতা আছে।আমরা যদি নিজ নিজ আবস্থান থেকে তাদের পাশে দাড়াতে পারি। আমরা এই অবহেলিত মানুষ গুলোর নিজের খাবার নিজে খেতে পারে এমন ব্যবস্থা করতে পারি। তাই আমাদের উচিত হবে অবহেলিত মানুষ গুলোর সহয়তা জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা।


humanities-gd9aba7595_1920.jpg

Source

পথশিশুরা সমাজের বোঝা নয়। ওদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে আলোকিত হতে পারে সমাজ। আঁধার থেকে আলোর মাঝে ফিরে আসতে পারে ওদের জীবন। শুধু দরকার সবার সমন্বিত ভাবে এগিয়ে আসা। একটা ঘটনা বলি একদিন আমরা বন্ধুরা মিলে গার্মেন্টসের মালিকের সাথে দেখা করার জন্য গেলাম। অসহায় শিশুদের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য চাকরির জন্য।বেশ কিছুহ্মন বসে থাকার পর গার্মেন্টসের মালিক আসল আমাদের কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলো। এই গার্মেন্টসের মালিক ভাইয়ার নাম ছিলো মামুন তো মামুন ভাই আমাদের নিয়ে গার্মেন্টসের স্টোর রুমের পাশে একটা কহ্মে নিয়ে গেল।আমরা তো গিয়ে রীতিমতো অবাক!!মামুন ভাই এখানে একটা শিহ্মক নিয়োগ দিয়েছে।পরবর্তী সময় প্রাপ্তবয়স্ক হলে গার্মেন্টসে চাকরির সুযোগ করে দেয় মামুন ভাই। পথ শিশু দের পড়াশোনা করানোর এবং চাকরি সুযোগ জন্য মামুন ভাই এর এমন উদ্যোগ আমাদের বেশ ভালো লেগেছিল।মামুন ভাই এর মতো এমন মানুষ গুলো যদি এগিয়ে আসে।হয়তো ১০ বছর পর পথ শিশু নাম এর শব্দটি আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাবে।এসব শিশুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পড়ালেখার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও পথশিশু বলে তারা শিক্ষার ন্যূনতম সুযোগও পায় না। সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে চাইলেও ভর্তি করা হয় না।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন যেই কোন গাছের পরিচর্যা করলে সেটা খুব ভাল হয়। আপনি অনেক সুন্দর করে এই কথাটি সারমর্ম লিখেছেন। পড়ে খুবই ভালো লাগলো, তবে আপনি যে পথ শিশুদের জন্য এগিয়েছেন এবং একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন সেটা জেনে খুবই ভালো লাগছে। এবং বিস্তারিত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আর আপনাদের বড় ভাই মামুন ভাই নামের লোকের কথা শুনে খুবই ভালো লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। মামুন ভাইয়ের মতও প্রতিটি মানুষকে যদি পথশিশুদের পাশে এগিয়ে যেত তাহলে পথশিশু নামের কোন নামের অস্তিত্বই থাকত না। যাই হোক আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ ভাইয়া ❤️🙏

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া যত্ন নিলে ফুল ফোটে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন যা সত্যি অনেক প্রশংসা জনক। আমি মনে করি পথশিশুরা সমাজের বোঝা নয় সঠিক ভাবে যত্ন নিলে তারা একদিন এমন সাফল্যের পৌঁছে যাবে যা কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি।

ধন্যবাদ ভাইয়া ❤️🙏

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 66552.34
ETH 3451.80
USDT 1.00
SBD 2.65