বাংলার রূপে মুগ্ধ হয়েছেন কবি, সাহিত্যিকরা তাই তো তাদের গানে,কবিতায় স্থান পায় এই সোনার বাংলা । যারা বাংলাকে কাছ থেকে দেখেছেন। ছয় ঋতুর রূপের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছে বিশ্ব । গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্তকে ঘিরে রূপ বদলায় দেশের প্রাণ-প্রকৃতি।যদিও বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ছয় ঋতু দেখা যায় না।তবে বাংলার মানুষ যেই ৩-৪ টি ঋতু পায় সেগুলো কে আপন মনে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেয়।আমার কাছে পছন্দের ঋতুটি হচ্ছে শীতকাল ।হেমন্তের পরে নেমে আসে শীতকাল।স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার মানুষ শীতকালীন আবহাওয়া খুব পছন্দ করে। গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চলের মানুষ শীত কালের এমন সময়, আলাদা প্রশান্তির আমেজেই থাকে। শীতের রাত্রিটা দীর্ঘ হওয়ায় তীব্র ঠান্ডায় নিঃস্তব্ধ প্রকৃতি থাকে।আবার সকালের পরিবেশ টা আহ!! কী সুন্দর মনমুগ্ধকর পরিবেশ কুয়াশার চাদরে ছেয়ে যায় চারিপাশ।

হেমন্তকে অতিক্রম করে সমস্ত প্রকৃতিতে শীত যখন সাময়িকভাবে নিজের অধিকার বিস্তার করে।সারা রাত এ পরা শিশির বিন্দু বিন্দু হয়ে গড়িয়ে পড়ে।সকালে কাজ করতে যাওয়া কৃষকের পা ভিজে যায় সকালের শিশিরে। গাছের পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দুর চোখ জুড়ানো শোভা।এমন দৃশ্য যেন স্বর্গের রুপ ধারণ করে।

শীতের সকালে গ্রামের মাঠে না গেলে আপনি বুঝতে পারবেন না শীতের সকাল টা কত সুন্দর।শীতের মৌসুমে চারিদিকে উৎপাদিত হয় বিভিন্ন রকমের শাকসবজি।উক্ত ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সকালের শিশির পড়ে ভিজে গেছে অর্ধেক ফুটতে থাকা ফুল। ফুলের গা বেয়ে পড়ছে শিশির বিন্দু। এবং দুরের পূর্ব আকাশে উদিত হচ্ছে সূর্য। কী!!অসাধারণ দৃশ্য।

ঘন কুয়াশার আবরণে গাছপালা অস্পষ্ট মনে হয়।সারা পৃথিবীটা কে যেন এক রূপকথার রাজ্য মনে হয়। এই রূপকথা রাজ্যকে আরও সুন্দর করতে আবির্ভূত হয় বিভিন্ন রকম ফুল। শীতের মৌসুমে গ্রামের মাঠে গেলেই দেখা মেলে সরিষার ফুল। সকালে মৃদু সূর্য আলো ফুলের উপর পরতেই চিকচিকে ওঠে সরিষার ফুল।

এটি গ্রাম অঞ্চলে খেসারির নামে পরিচিত।এটি রান্না করে খেতে অসাধারণ লাগে। এটি শুধুমাত্র শীতকালে পাওয়া যায়। খেসারির ফুল দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে।

শীতের সকালে সূর্য উদিত হওয়ার দৃশ্যটা আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। তাই তো প্রতিবার শীত আসলেই ছুটে যায় গ্রাম্য মাঠে।সিমের ফুল এর আড়াল থেকে সূর্যকে ক্যামেরাবন্দি করলাম। চারিদিকে কুয়াশায় মোড়ানো শীতের সকাল এর রেশ কাটিয়ে সূর্যের উদিত হওয়ার দৃশ্য বেশ ভালই লাগে।

এমন দৃশ্য শীতের শেষের অর্থ বহন করে। শীতের শেষের দিকে গাছের পাতা পড়ে যায়।এবং বিদায় হয় শীত মৌসুমের।

দিনের সব আলোর ইতি টেনে যখন দূর নীলিমায় ডুবতে থাকা সূর্যের দৃশ্য অসাধারণ রূপ ধারণ করে।