আমাদের নৌকা ভ্রমণের কিছু মুহুর্ত (১০% shy-fox)
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য আমাদের স্যার আমাদের সবাইকে অর্থ্যাৎ যারা যারা চান্স পেয়েছে তাদের সবাইকে নিয়ে একটি পিকনিক করার কথা আমাকে জানান। আমাকে তিনি বলেন সকলকে এই নিউজটা জানিয়ে দিতে। প্রথমে ভেবেছিলাম নিজেরা রান্না করে তারপর খাওয়া দাওয়া করে পিকনিকটা শেষ করব। কিন্তু পরে আমিই ভাবলাম যে একটু অন্য রকম করে কিছু করা যাক। আমিই স্যারকে বললাম যে আমরা যদি নৌকা ভ্রমণ এ যাই এবং বিরিয়ানি প্যাকেট কিনে এনে সবাইকে দি। তাহলে মনে হয় অনেক ভালো হবে। এতে আমরা নিজেরা অনেক্ষন নিজেদের ভেতর গল্প এবং পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাব। এবং রান্না করার ঝামেলাও থাকবে না। এই কথা বলতেই সকলেই রাজি হয়ে গেল। তারপর সকলে মিলে একটা দিন বের করলাম। নৌকা ভাড়া করেছিল আমার এক বন্ধু। এবং খাবার কেনার দায়িত্ব ছিলো আমার উপর।
নৌকার উপর থেকে তোলা আমার কিছু ছবি।
ঢাবিয়ান এর সাথে তোলা খুবিয়ান এর ছবি 😀
চিপ্সের আয়োজন কিন্তু আমি করি নি। মনে হয় স্যারই এটা আমাদের কিনে দিয়েছিল।
নৌকার উপর থেকে তোলা ছবি।
আশে পাশের কিছু দৃশ্য।
সূর্যটা দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগছিল। পড়ন্ত বিকালে।
এটা হলো আমাদের চিত্রা নদীর উপর করা শেখ রাসেল ব্রিজ। নতুন করা হয়েছে।
ঢাব, রাবি, খুবি,কুয়েটিয়ানদের সমাবেশ। মাঝে যে ভাইয়াটি বসে আছেন উনি মুলত আমাদের এই ট্রিটটা দিয়েছেন।
যে মামা নৌকা চালাচ্ছিলেন তার ঠিক মাথার উপর সূ্র্যটা ছিল। খুব সুন্দর লাগছিলো দেখতে। তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
আমাদের নৌকা ভ্রমণের সময় মাত্র ২ ঘন্টা ছিলো। নদীটি ছিলো চিত্রা নদী। এই নদী নিয়ে একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র আছে। যার নাম
"চিত্রা নদীর পাড়ে"।
আমাদের নৌকা ভ্রমণের যে খরচ হয়েছিল তার সবটাই আমাদের স্যার দিয়েছিলেন। এবং আমাদের সুধু খাওয়ার খরচটাই দিতে হয়েছিল। জন প্রতি খরচ হয়েছিল মাত্র ১৩০৳।
এবং নৌকার খরচ হয়েছিল ৫০০৳।
আসলে অনেক দিন পর সফলতার স্বাদ পেলাম। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে এই সফলতাকে পাওয়ার জন্য। এটা হয়ত শুধুই একটি নৌকা ভ্রমণের কিছু মুহুর্ত। কিন্তু এই ভ্রমণ করার পেছনে ছিলো ২ বছরের কঠিন সাধনা। কারন এই ভ্রমণ যারা করেতে পেরেছে তাদের সবাইকেই খুব কষ্ট করতে হয়েছে। সকলেই আজ দেশের খুব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র - ছাত্রী।
খুব খারাপ লেগেছে একটা যাইগাতেই। অনেকেই হয়তো স্যারের কাছে পড়তো।কিন্তু তাদের ভেতর অনেকেই উপস্থিত হতে পারে নি। কারণ তারা হয়তো কোথাও চান্স পায় নি। এমনটা কিন্তু না, যে তারা ইনভাইটেড ছিলো না। তারাও চাইলে যেতেই পারতো। কিন্তু হয়তো মনের কষ্ট থেকেই তারা উপস্থিত হয় নি। সবাইকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারলে তা আরও অনেক বেশি ভালো লাগতো।
এই ছিল আমাদের কাটানো নৌকা ভ্রমণের নৌকা ভ্রমণের কিছু অসাধারণ মুহুর্ত। এতক্ষণ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | iphone X |
---|---|
লোকেশন | নড়াইল |
ফটোগ্রাফার | @farhanatonni |
https://what3words.com/dryness.hotness.roadmap
@farhanatonni
নৌকা ভ্রমন সত্যিই অনেক আনন্দের।বর্ষাকালে মাঝে মাঝে নৌকা ভ্রমনে বের হই। তখনকার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর একটি সময় পার করেছেন আপনি। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়েছে। শুভকামনা আপনার জন্য
ভাইয়া আসলেই অনেক মজা হয়৷ আর বর্ষাকালে হলে তো কথায় নাই।।। তখনতো আরও অনেক বেশি মজা হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্যে।
চিত্রা নদীর পাড়ে নৌকা ভ্রমন খুব দারুণ উপভোগ করেছেন। নৌকা ভ্রমন খুবই মজার। শেখ রাসেল ব্রিজসহ, নৌকা ভ্রমনের দৃশ্যগুলো চমৎকার হয়েছে। এমন আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো খুব অল্পতেই শেষ হয়ে যায়। আপনাকে ধন্যবাদ, মজাদার এমন একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল।
আমন্ত্রণ ও ভালবাসা রইলো, শ্রদ্ধেয়।
ভাইয়া ইচ্ছাটাকে বলেন যে শীতের সময় নৌকা ভ্রমণ করার দরকার নেই। 😅 গরম এর সময় করতে। 😂😂।
আসলে ভাইয়া অনেক বেশি শীত ছিল। আর নদীর ভেতর আরও অনেক বেশি শীত। আমার তো ঠান্ডা লেগে গিয়েছে। 😆।।
নৌকা ভ্রমনের অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সকলের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। নৌকা ভ্রমন করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে আমরাও মাঝে মাঝে বিকেল বেলা কজন একত্রে হয়ে এরকম নৌকা ভ্রমনে যায় বেশ উপভোগ করি বিকেলটাকে। মনে হচ্ছে আপনারা অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত নৌকা ভ্রমনের সময়। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার ব্লগে আমার পাশে থাকবেন আশা করছি।
ওয়াও আপু চমৎকার একটি কথা বলেছেন। আপনার নৌকা ভ্রমনের পোস্টটি পড়ে অনেক কিছুই উপলব্ধি করতে পারলাম। নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে এমন সুন্দর একটি পোষ্ট পড়তে পেরে নৌকা ভ্রমন এর সময় আসলে অনেক মজা হয় আমরা আমাদের বন্ধু বান্ধবের সাথে মাঝে মধ্যে নৌকা ভ্রমনে যেতাম সেই মুহূর্তগুলো ছিল আসলেই অনেক স্মরণীয় । আপনি আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ইমন ভাইয়া। আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।
নৌকার কথা শুনলেই আমার ভয় লাগে। সে জন্য কখনো আমি নৌকায় চলিনি। একটাই ভয় লাগতো যদি মাঝে গিয়ে উল্টে যায়। সেই ভয়ে কখনো চড়া হয়না। তবে আপনারা নৌকায় অনেক মজা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বন্ধু বান্ধবের সাথে ঘুরে বেড়ানোর মজাই অন্য রকম হয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ভাইয়া একদিন অভিজ্ঞতা নিয়েই দেখবেন। এতো ভয় পেলে জীবনকে কিভাবে উপভোগ করবেন! আপনার জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা।
নৌকা ভ্রমণ মানেই একটা আলাদা মজা।
জি দাদা। আসলেই অনেক বেশি ভালো লেগেছিল বিকালটি। কিন্তু এই ভ্রমণ যেহেতু সফলতার, তাই এখানে স্বাভাবিকের থেকেও আরও অনেক বেশি ভালোলাগা কাজ করছিলো। 🥰
সত্যিই অসাধারণ ছিল আপনার নৌকা ভ্রমণ এবং আপনার স্যারের সাথে পরামর্শ করে খুব সুন্দর একটা প্ল্যানিং করেছেন। নিজেরা রান্না করার ঝামেলা ছেড়ে কিনে নিয়ে রেখেছেন এবং বাড়তি সময়ে ঘুরতে পেরেছে। আর অসম্ভব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নৌকা ভ্রমণ করা আমার খুব প্রিয় একটি সখ। আমি প্রায় প্রতি শুক্রবারে চেষ্টা করি অন্তত একবার নদীতে নৌকা ভ্রমণ করা। আর সবকিছু আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আর আপনি ভ্রমণের জন্য খুব সুন্দর একটি দিনকে বেছে নিয়েছেন। আমনিতেই এই দিনে আমারা ফ্রি থাকি। আর ভ্রমণের মাধ্যমে মনটাকেও ফ্রেশ রাখা যায়। ধন্যবাদ
বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন এজন্য প্রথমেই আপনার জন্য অসংখ্য শুভ কামনা রইল। সম্পূর্ণ ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ মজা লেগেছে। এরকম একটা আয়োজন আমাদের সবারই ভালো লাগে। সাতার পারি না তাই নদীতে বা নৌকা তে বেশ ভয় লাগে। তবে আপনার আনন্দের মুহূর্ত গুলোর ছবি দেখে খুব ভালো লাগছিল। নদীর চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি গুলোও মন ছুঁয়ে গেছে।
দিদি আমিও সাতার পারি না। কিন্তু তারপরও নৌকাতেই গেলাম। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস নিয়ে। দিনটি খুবই ভালো ছিলো। ❤️❤️