ঐতিহ্যবাহী কলাপাতার পিঠা
আসসালামু আলাইকুম
কলাপাতায় মোড়ানো এই পিঠা কলা ও বিন্নি চালের তৈরি। এই কলাপাতার পিঠা আমাদের চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কাছে অতিশয় পছন্দের একটি পিঠা।আপনারা যারা বান্দরবান ভিজিট করেছেন তারা নিশ্চয়ই এটা স্বাদ নিয়েছেন।এবার চলুন জেনে নেই কি কি উপকার লাগছে আজকের এই পিঠা তৈরি করতে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কলা পাতা | বড়ো সাইজের ৩/৪ টি |
বিন্নিচাল | ১ কেজি |
পাকা কলা | ১৫/১৬ টা (মাঝারি সাইজ) |
লবণ | ১ চা চামচ |
চিনি | ২ টেবিল চামচ (প্রয়োজনে) |
ধাপ -১
প্রথমে পাকা কলাগুলো ছাড়িয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে তারপর আগে থেকে ধুয়ে রাখা পানি ঝরানো চালের সাথে কলার মিশ্রণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেস্টে রাখতে হবে।এই সময়ের মধ্যে চাল কলার রসে ভিজে কিছুটা নরম আর মিষ্টি হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন মিশ্রণ থেকে পানি ছেড়ে না দেয় তাহলে পিঠা মিষ্টি হবে না খেতে।
ধাপ-২
কলা পাতা আগুনের তাপে দিয়ে নরম করে নিতে হবে যেন চঞ্চলতা হারিয়ে পিঠে মোড়ানোর উপযুক্ত নরম হয় ফেটে না যায়। মাঝের শক্ত ডাটা ছাড়িয়ে পাতা আলাদা করে নিতে হবে যেন পিঠা তৈরি সহজ হয়।
ধাপ-৩
এবার তৈরি করা নরম ডো টা আরেকটু হাল্কাহাতে মাখিয়ে লবণ দিতে হবে। এই পর্যায়ে মিষ্টি চেক নিতে হবে কলার মিষ্টি বেশি হলে চিনি স্কিপ করবেন কম হলে এই পর্যায়ে চিনি মিশিয়ে নিবেন।
ধাপ- ৪
এবার একটা ছিদ্রযুক্ত হাড়ি বা আমার মতো রাইস কুকারে পানি গরম করতে দিন ঠিক যেমনটা আমরা ভাপা পিঠার জন্য করি। হাড়ির মুখের সাইজের একটা ঝুড়ি বা কুকারের চালনিটাই ব্যবহার করুন পিঠা সাজিয়ে ভাপে বসানোর জন্য।
ধাপ -৫
এবার ছবির মতো করে পাতার মধ্যে তৈরি করা পিঠার পুরটা রাখুন আর আস্তে আস্তে মুড়িয়ে দিন। এইটা এমন হবে যেন পুর পরে না যায় আবার পাতার পেচানো বেশি মোটা না হয়। এরপর চালনিতে একটা একটা করে বসি দিন এভাবে এক লেয়ারের সাথে আরেক লেয়ার আড়াআড়ি ভাবে বসিয়ে সাজিয়ে নিন।এতে করে সবগুলো পিঠাতে সমানভাবে ভাপ লাগবে সমান সেদ্ধ হবে।
ধাপ-৬ এবার চালনিটা বলক আসা পানিতে বসিয়ে দিন ৩০ -৪০ মিনিটের জন্য। ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর একটি পিঠা তুলে নিয়ে চেক করুন চাল পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে পিঠা নামিয়ে নিন। আর সেদ্ধ না হলে কিছু টা চাল মনে হলে আরেকটু সময় অপেক্ষা করুন। পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়ার পর এবার চুলা থেকে নামিয়ে প্লেট সাজিয়ে পরিবেশেন করুন গরম গরম কলাপাতার পিঠা।এই পিঠা আমাদের পাহাড়িদের ঐতিহ্য, আমাদের আবেগ।আশা করবো আপনাদের ভালো লাগবে আমাদের এই দারুণ পিঠা সম্পর্কে জেনে।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণি | ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্টতৈরি | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ডিভাইস | OPPO Find X3 Pro |
https://twitter.com/farhana87988/status/1753136903128588763?t=uJv0WykPRU7wtFXDaLKwvw&s=19
এই পিঠা নাম শুনেছি কিন্তু কখনো এভাবে দেখা হয়নি। আজকে কিন্তু আপনার মাধ্যমে তা দেখার সুযোগ হয়ে গেল। আরো বিস্তারিতভাবে দেখার সুযোগ হলো কিভাবে তা তৈরি করা হয়। আপনার উপস্থাপনাটাও বেশ চমৎকার ছিল দেখে খুশি হলাম।
এবার নিশ্চয়ই ট্রাই করে দেখবেন এটা তৈরি করা খুবই সহজ।পাতায় মুড়িয়ে যাস্ট ভাপিয়ে নেওয়া অনেকটা মোমো এর মতোই। তবে স্বাদ কিন্তু দুর্দান্ত।
সম্পূর্ণ ইউনিক একটি পিঠা রেসিপি দেখলাম আসলে। কলাপাতার সমন্বয়ে যে পিঠা তৈরি করা যায় সেটা আজকে জানতে পারলাম। ভিন্ন ধরনের এ পিঠা রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এটি আমাদের বান্দরবানের জনপ্রিয় পিঠার মধ্যে একটি। হাট বাজারের দিনে পাহাড়িরা তৈরি করে বিক্রি করতে আনেন তাছাড়াও ভাপাপিঠার সাথে মাঝে মধ্যে নীলআচলেও পাওয়া যায়।
প্রথম ফটোগ্রাফির পিঠা গুলো কলাপাতা থেকে বের করে উপস্থাপন করলে বেশি ভালো হতো। এছাড়া ধাপগুলোর আরও কিছু ফটোগ্রাফি দিলে সবার বুঝতে সুবিধে হতো।যাই হোক আপনি খুবই ইউনিক একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদিও এর নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। এছাড়া কখনো তৈরিও করা হয়নি। যেহেতু কখনো খাওয়া হয়নি তাই বুঝতে পারছি না এর স্বাদ কেমন হবে। তবে আপনার পিঠা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ ইউনিক পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু সম্পূর্ণ বের করে উপস্থাপন করলে বিষয়টি সুন্দর দেখাচ্ছে না অনেকটা কলা ছিলে উপস্থাপনের মতো দেখাচ্ছে তাই এভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।এটার স্বাদ অসম্ভব মজার একবার নিশ্চয়ই তৈরি করে দেখবেন। বাসায় অনেক সময় কলা বেশি জমে যায় যা একটু কালচে হয়ে গেছে এই এরকম কলা দিয়েই এই পিঠাগুলো তৈরি করা হয়।
কলাপাতায় মোড়ানো পিঠা চমৎকার হয়েছে। কোনদিন খাইনি দেখিও নি এই পিঠা তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালোই লাগলো।পিঠা তৈরি পদ্ধতি সুন্দর করে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের পিঠা কখনো খায়নি আপু তবে আপনার পিঠার রেসিপিটি দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। বেশ সুন্দর একটি রেছিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।