জেনারেল রাইটিং :শিশুর জ্বর
Pixabay |
---|
ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের জ্বর হওয়া ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। এই সময়ে জ্বর হলে ভীষণ সতর্ক থাকতে হয় অন্যথা শিশুর খিচুনিহতে পারে।
শিশুর জন্মের পর প্রথম তিন মাস জ্বর হওয়া সবচেয়ে বেশি ঝুকির। এই সময় জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।আজ লিখছি তিন থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে কি করবেন।
প্রথমত থার্মোমিটারের সাহায্যে জ্বর পরিমাপ করবেন সাধারণত ৯৯.৫ এর উপরে তাপমাত্রা হলে শিশুদের জ্বর ধরা হয়। ৯৯.৫ এর উপরে টেম্পারেচার হলে কুসুম গরম পানিতে নরম সুতি কাপড় ভিজিয়ে বাচ্চার শরীর মুছিয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরের টেম্পারেচার ১০২° বা মুখের ভেতর তাপমাত্রা ৩৭.৬ এবং বগলের তাপমাত্রা ৩৭.০ এর উপরে না যায় এজন্য বারবার শরীর মুছিয়ে দিতে হবে।
এবার বলছি আমার ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর জ্বর হলে তার যত্নে আমি কি করি। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য নাপা/এইচ ড্রপ সব সময়ই মজুদ রাখি বাসায় সেই সাথে ১২৫ সাপোজিটার ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে সংরক্ষণ করি। যেন শিশুর জ্বর হলেই প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নিতে দেরি না হয়।
আজ সকালে হঠাৎ করে আমার সাড়ে পাঁচ মাসের শিশুর জ্বর আসে থার্মোমিটার এ চেক করে দেখি ৩৭.৭ সাথে সাথে শরীর মুছিয়ে দিয়ে ফিডিং করিয়ে নিলাম। তার শরীরের তাপমাত্রা না কমে বরং বেড়ে ৩৮.৮ হয়ে গেছে। তখন শরীর মুছিয়ে দিয়ে বাড়িতে থাকা সাপোজিটার দিয়ে দেই ডক্টরের বলা পরিমাণ অনুযায়ী। মেডিসিন দেওয়ার আগে দ্রুত বাড়ছিলো তাই ড্রপ দেওয়ার সুযোগ হয়নি। এজন্যই দুটোই রাখা উচিত।
গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে অগ্নিদুর্ঘনার স্বীকার হয় আমার পরিবার ধোয়ার মধ্যে থাকায় শিশুরা বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর থেকে ঘন ঘন অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। সবসময়ই হাসপাতালে না নিয়ে কিভাবে জ্বর ভালো করা যায় সেই চেষ্টা করি সবসময়ই। আমার প্রথম বাচ্চার সময় না জানার কারণে জ্বর বেড়ে গিয়ে খিচুনির সম্মুখীন হয়েছিলো তাই আমি সবসময়ই সতর্ক থাকি শিশুর জ্বর হলে।
pixabay |
---|
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিছু মেডিসিন আর ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করি তাদেরকে সেরে তোলার জন্য। ৯৯.৫ এর বেশি হলে তিন থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে বার বার শরীর মুছিয়ে দেই না তাপমাত্রা না কমলে ১ এমএল নাপা/এইচ ড্রপ দেই যেটা শিশুদের ডাক্তারের পরামর্শ মেনে করি। জ্বর মাপার পর যদি ১০২ হয় তাহলে ঝুঁকি না নিয়ে শিশুদের জন্য যেসব সাপোজিটার আছে সেগুলো ব্যবহার করি ৩/৪ ভাগ পরিমাণ। এতে করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে শিশু খিচুনি হতে রক্ষা পায়।
শিশুর জ্বর বেশি থাকলে কখনো গোসল করাবেন না শুধু শরীর মুছিয়ে দিবেন আর যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আপনার শিশুর চিকিৎসকের নাম্বার রাখবেন জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উনার সাথে যোগাযোগ করবেন। বয়স অনুযায়ী শিশুর ওষুধের পরিমাণ জানতে এবং পরবর্তী করণীয় জানতে শিশুর ডক্টরের কাছে পরামর্শ নিবেন।
সর্বোপরি আমাদের শিশুরা নিরাপদ থাকুক সুস্থ থাকুক একটি ভালো প্রজন্ম গড়ে উঠুক তাদের মধ্যে দিয়ে।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণি | রেসিপি |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্টতৈরি | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ডিভাইস | iQOO Z3 5G |
Twitter
আপনি বাচ্চাদের জ্বরে কি করা উচিত তা খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আসলে বেশি তাপমাত্রা শিশুদের জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে।আপনার মতো আমিও জ্বরের সিরাপ সংরক্ষণ করি এবং সাপোজিটারও।বেশ ভালো লাগলো আপনার শিক্ষানীয় পোস্ট টি এখানে আপনি আপনার বাচ্চার কি ভাবে জ্বরে সেবা যত্ন করে থাকেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বাচ্চার জ্বর হলে বেশ সতর্ক থাকতে হয় আমার প্রথম বেবির সময়ে আমি বুঝতে পারিনি প্রথম বার জ্বর হলে তারপর জ্বর বেড়ে খিচুনি হয়েছিল।আর একবার খিচুনি হলে প্রতি বার জ্বর হলে খিচুনি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায় হলেই
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে এখন পরিবেশ এবং আবহাওয়ার যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে এর ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে৷ আমিও গতকাল থেকেই অসুস্থ৷ আমার এখনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছি৷ আর শিশুদের কথা তো না বললেই চলে৷ তারা তো অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়৷ একটু ঠান্ডা থেকে গরম পড়লেই তাদের অসুস্থতা চলে আসে৷ আপনি তাদের অসুস্থতাতে কি করলে তারা সুস্থ হবে তার খুবই সুন্দর একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন৷ আসলে আমরা সকলেই বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশি সেনসিটিভ৷ এর ফলে বাচ্চাদেরকে আমরা সবসময় আগলে রাখার চেষ্টা করি৷ আপনার এই পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আসলেই ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয় তাই কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।