ফটোগ্রাফি:- বাগানের কিছু ফুল-ফল
সবগাছগুলোর মধ্যে এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি গাছ। বছরের পুরোটা সময় কিছু দিন পর পর ফুল ফল দিতেই থাকে।গাছে প্রায় সারাবছর ফল থাকে।নতুন ফল হওয়ার জন্য পেকে যাওয়া ফল পেড়ে নিতে হয় নয়তো নতুন ফল আসে না। এই চায়না কমলাগুলো ভীষণ টক হলেও দেখতে একেবারে রূপসী। এটার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আরোকিছু গাছ লাগিয়েছি ছাঁদে।
ছাদের দুপাশে বড়ো বড়ো দুটো পেয়ারা গাছ আছে। ছাদ থেকে সহজেই নেওয়া যায়।এই গাছগুলোতেও বছরের প্রায় সময়ই অল্প অল্প পেয়ারা হতে থাকে।সিজনের সময় বাড়ির ৫/৬ টা গাছে ভরপুর পেয়ারা হয়।প্রায় সময় ছাদে গেলে আগে গাছগুলোতে দৃষ্টি আটকায় কোথাও আছে নাকি একটা দুটো খাওয়ার উপযোগী পেয়ারা সেই খুঁজে।
এটি আজকের পাওয়া একটি পেয়ারা।
ছাদের একপাশ জুড়ে আছে এই সুন্দর সীম ফুল।পুরোটা বাগান একসাথে দেখলে অপূর্ব লাগে।সাদা ও বেগুনি রঙের ফুল গুলো একটু বেই সুন্দর। প্রতিবছর শীতের সময় ছাদের উত্তর পাশ জুড়ে থাকবে এই সুন্দর দৃশ্য। মায়ের হাতে লাগানো এই গাছের সীমগুলো খেতে অসম্ভব মজার। নিজেরা খাওয়ার পর অবশিষ্ট সীম বর্ষাকালের জন্য পাকানো হয় যাতে বর্ষায় রান্নার সময় তরকারিতে সীমের বিচি দিতে পারেন। সবজি তরকারি শুটকি বা মাছের সাথে সীমের বিচি খাওয়া আমাদের চট্টগ্রামের অনত্যম আরেকটি ঐতিহ্য।
ছাদে লাগানো গাছগুলোতে সবসময়ই মরিচ ধরে।কয়েকজাতের মরিচ লাগানো আছে সারাবছর অল্প অল্প মরিচ দিয়ে যায়। এতে করেবাজার থেকে বেশি মরিচ কেনা লাগে না। তাছাড়া দেখতেও অপূর্ব সুন্দর। নিজের হাতে গাছ থেকে কিছু তোলার আনন্দ সত্যিই অন্য রকম।
মাতৃগাছ বয়স হয়ে গেলে পাকা মরিচ কেটে টবে ছড়িয়ে দিলেই নতুন গাছ হয়। সেগুলো আবার আলাদা টবে বুনে দিলেই সারাবছর মরিচ গাছ রাখা যায়। তবে বর্ষাকালে মরিচগাছ পানির পড়েনা এমন স্থানে রাখতে হবে নয়তো পানি জমে মারা যায়।
আমার অন্যতম পছন্দের আরেকটি কর্নার। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। আমার ছোট থেকে একটা বাগান বিলাসের খুব শখ ছিলো বহুবার লাগিয়েও ব্যর্থ হয়েছি।গত বছর দুয়েক আগে মা একটা গাছ নিয়ে আসে প্রতিবেশী বাড়ি থেকে। বর্ষাকাল হওয়ায় কিভাবে যেন গাছটা বেঁচে যায় আর ফুল দিতে শুরু করে। এই গাছ টা যখন ফুল দেয় একেবারে নিরলসভাবে দিতে থাকে পুরোএকটা পাশকে করে তোলে গোলাপিবর্ণের। যা দেখলেও শান্তি লাগে।
আরেকটি পছন্দের কর্ণার এই গাদাফুলের পাশটা।
যদিও বেশকিছু গাছ নার্সারি থেকে কেনা ছিলো এই বার।তবে কিছু গাছ বীজ থেকে করা। গতবছরের কিছু বড়ো সাইজের ফুল রেখে দিয়েছিলাম দেখতে পরিপক্ব লাগে বীজগুলো। ভাবিনি এগুলো থেকে চারা হবে কিন্তু হয়েছে চারা এমন কিফুলও ফুটতে শুরু করেছে গাছগুলোতে।
আজকে এই পযন্ত আমার ছাদের আরো গাছ সম্পর্কে নতুন লিখা নিয়ে ফিরে আসছি শীঘ্রই। আল্লাহ হাফেজ।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণি | ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্টতৈরি | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ডিভাইস | iQOO Z3 5G |
বাগানের কিছু ফুল-ফল বাহ্ দারুন। কমলা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। আর বাগান বিলাস ফুল আমার ভীষণ পছন্দের। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
সত্যিই তাই কমলাগুলো রূপে মুগ্ধ করার মতো কিন্তু স্বাদ একেবারে তেতুলকে হার মানাবে এমন টক।পড়ন্ত দুপুরে লবণ মরিচগুঁড়া দিতে খেতে ভালোই লাগে এছাড়া আরকোন কাজে আসে না।
বাগানবিলাস রঙটাই এমন সবাইকে সে মুগ্ধ করতে পারে।
মন মাতানো সব চমৎকার ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন আপু। আপনার এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমার ভালো লেগেছে। অনেক অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের এই ফল ও ফুলের দৃশ্যগুলো।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার ভালোলাগা অকপটে স্বীকার করার জন্য। সত্যিই চমৎকার ছিলো ফটোগ্রাফি গুলো আমারও ভীষণ পছন্দের তাই শেয়ার করা আপনাদের সাথে।
শীতকালীন এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা শীতকালীন এই ফুল ও ফলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্য থেকে আমার কাছে সিম এর ফুলের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।
শীতকালের ফটোগ্রাফি বুঝতে পারার জন্য এই একটা ফটোগ্রাফিই যথেষ্ট। সীমফুল আসলেই সুন্দর পুরো অংশকে আলোকিত করে তুলতে পারি তার বাহারি রঙ দিয়ে।
https://twitter.com/farhana87988/status/1755605289892770124?t=wl6ITWgdO7boK21coSf-yA&s=19