লাইফস্টাইলঃ বাগান থেকে সংগ্রহ করা পাকা বড়ই ও শাকসবজি
আজ হঠাৎ মা বলছেন এক প্রতিবেশি নানু অসুস্থ কিছু খেতে পারেন না ওনাকে দেখতে যাবেন। কি খেতে পারবেন সেটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে পেঁপে নিয়ে যাবেন বললো। বাড়ির গাছগুলো চেক করে একটাও পাওয়া যায়নি কারণ গগপরশু পাড়া হয়েছিলো। তাই মা বললো বাগানের গাছে আছে কিনা দেখতে যাবেন। ওটা বেশি উচু হওয়ায় একজনের পক্ষে পারা অসম্ভব। গাছ থেকে পড়লে ভেঙে যায়।একটা মশারীর ঝুরি ধরে পারতে হয় তাই দুইজন লাগে।
ছোটজনকে দোলনায় ঘুমে রেখে বড়োজনকে পাহাড়ায় রেখে বাগানে গিয়েছি দুপুর বেলা। গিয়ে দেখি গাছের পাকা পাকা বড়ই। এই গাছের বড়ই গুলো কাঁচা অবস্থায় বেশ কস তাই খাওয়া যায় না কিন্তু সাইজে বড়ো এবং মাংসল হওয়ায় পাকার পর খেতে বেশ মজার। আম্মু গাছ থেকে পেড়ে দিয়েছে আমি সব কুড়িয়ে নিয়েছি। বড়ই পারা শেষ হলে পেঁপে গাছে গিয়ে একটা পেঁপে পেয়ে যাই।
ঝুড়িতে করে পেঁপে পেড়ে নিয়ে আবারও গাছের পেঁপে গুলোকে বাঁশের সাহায্যে মশারী দিয়ে পেঁপেগুলো কবার করে দিয়েছি যেন রঙ আসতেই পাখিতে খেয়ে না ফেলে।
তিনটা বাঁশের সাহায্যে লম্বা নেট জড়িয়ে দিলে পাকা পেঁপে বাদুড় বা পাখি থেকে সহজে রক্ষা করা যায়। না হলে রঙ আসতেই পেঁপে পাখি আর বাদুড়ের খাবার হয় নিজেরা আর খাওয়ার জন্য অবশিষ্ট থাকে না।
পেঁপে নিয়ে বরবটি খেতের পাশ দিয়ে আাসার সময় গাছে অনেকগুলো পরিপক্ব বরবটি দেখতে পাই। বরবটি গাছে অনেক বরবটি পেয়ে বেশকিছু খাবার উপযোগী বরবটি তুলে নিয়ে এসেছি। গাছে পোকার আক্রমণ হয়েছে বিষ প্রয়োগ করতে হবে তিনদিন পর পর দুই ধাপে। সীম আর বরবটি দুই গাছের লতা ফুল এ পোকায় ঢেকে গেছে। এখনো গাছে বেশ কিছু ফুল আছে পোকা থেকে রক্ষা না করলে আর নতুন ফলন আসবে না গাছও মারা যাবে।
আমাদের ওই বাগানে বেশভালো পরিমাণ তেলাকুচা শাক হয়েছে যেটাকে ডায়াবেটিস এর মহাঔষধ হিসেব খাওয়া হয়। এতো বেশি হয়েছে প্রায় পাড়ার লোকজন এসে নিয়ে যায়। আজকেও একজন আন্টির জন্য বেশকিছু শাক তুলে দিয়েছি।বেশ কোমল আর সুন্দর ঝলমল দেখতে। পাতাগুলো শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া আর আর ডাটাগুলো ছেছে রস করে সরাসরি খাওয়া হয় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। গত দুই বছর আগে আম্মুর জন্য শাক এনে দিয়েছিলেন একটা আন্টি।
ওগুলোর ডাটা মাটিতে লাগিয়ে দিয়েছিলেন ওখান থেকেই এতো এতো শাক হয়েছে যা এখন আসেপাশের মানুষেরাও সহজে নিতে পারছেন ডায়াবেটিসের জন্য। সাদারঙের ফুলগুলোও অনেক সুন্দর তাই কিছু ফটোগ্রাফিও করেছি তেলাকুচা ফুলের।ফল দেখতে পটলের মতো যদিও আমাদের এখানে ফল হতে দেখিনি এখনো তবে প্রচুর ফুল হয়।
আজ এই পযন্ত ফিরে আসছি শীঘ্রই নতুন কিছু নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণি | বাগানের উপহার |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্টতৈরি | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ডিভাইস | iQOO Z3 5G |
আপনার নানু অসুস্থ হওয়ার আপনি আপনার নানুর জন্য আপনার বাগান থেকে পেপে সংগ্রহ করেছেন। এরপর আপনি আপনার বড়ই গাছ থেকে বেশ অনেক গুলো পাকা পাকা বড় ই পেয়েছেন, আপনার বড় ই গুলো দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে।
গাছ থেকে পাকা বড়ই পাড়ার অনুভূতি সত্যি অনেক বেশি আনন্দের। পাকা বড়ই খেতে বেশ মজার
Twitter
বাগান থেকে সংগ্রহ করা পাকা বড়ই ও শাকসবজি সংগ্রহ করেছেন দেখে বেশ ভালো হলো। আপনার নানুর জন্য বাগান থেকে পেঁপে সংগ্রহ করেছেন দেখে খুশি হলাম। কারণ বয়স্ক লোকে পেঁপে খেতে বেশ পছন্দ করে। বাগান থেকে শাকসবজি সংগ্রহ করার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিবেশি নানুটা বেশ কয়েক দিন অসুস্থ হওয়ায় মা গিয়েছেন পেঁপে নিয়ে। আসলেই বাগান থেকে শাকসবজি ফলমূল সংগ্রহ করার আনন্দ আলাদা
আপনার পাশের বাড়ির নানু অসুস্থ হওয়ার জন্য তাকে গাছ থেকে ফরমালিন মুক্ত পেঁপে পেড়ে নিয়ে যাচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনাদের বাগানে বরই ও শাকসবজিসহ দেখছি অনেক কিছুর গাছ রয়েছে। নিজের বাগানের সবজি খেতে ভালোই লাগে। তেলাকুচা পাতার নাম শুনেছি কিন্তু তা খাওয়া যায় জানা ছিল না আর এটা যে ডায়বেটিসের ঔষধ তাও জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু নিজেদের বাগান থেকে সংগ্রহ করা পাকা বড়ই ও শাকসবজি তোলার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
তেলাকুচা শাক কে ডায়াবেটিস শাক বলে অনেকে। আসলেই আপু নিজের বাগানের তাজা শাকসবজির স্বাদ আলাদা