মনুষ্যত্ব ।
মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী। মানুষ হিসেবে আমাদের রয়েছে ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা। আমরা যদি এখন বুঝেও না বুঝার মতো কাজ করি তাহলে সেটা মনুষ্যত্ব হীনতার পরিচয় বহন করবে। কেন বলছি এইসব , আমাদের সমাজেই মাঝে মধ্যে এমন সব কর্ম কান্ড লক্ষ করা যায় যা কিনা একজন মানুষ হিসেবে বোধগম্য নয়। আমরা সবাই মানুষ কিন্তু একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে অবশ্যই মনুষ্যত্ব থাকতে হবে। কেননা এটাই হচ্ছে মানুষের সব থেকে বড় পরিচয়।
আসলে আমরা সব সময় একজন উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করবো। কেননা এতে করে নিজেদের সম্মান বাড়বে। আর আমরা যেহেতু পৃথিবীর সেরা জীব তাহলে আমাদেরকে ঠিক সেরকম উন্নত মানসিকতার পরিচয়ই দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় , আমরা ইচ্ছা করে অন্য জীব জন্তুকে বিরক্ত করি তাও শুধু আমাদের বিনোদনের জন্য। এর মধ্যে কি কোনো বিনোদন খুঁজে পাওয়া যায় ?
আমাদের এই সমাজ অন্ধের মতো অর্থ সম্পদের পিছনে পরে রয়েছে। যাতে করে মানুষ এখন তাদের বিবেকবোধ হারাচ্ছে। জীবনের মানেই কি অর্থ সম্পদ ? এই জীবনের মানে তো মানুষের মানুষের সুসম্পর্ক গড়ে তুলার মধ্যেই গড়ে উঠে। কিন্তু তার বদলে আমরাই নিজেরাই নিজদের মধ্যে বৈষম্য তৈরী করছি। কেউ হয়তো কারো ভালো দেখতে পারছি না আবার কেউ হয়তো কাউকে উপর থেকে নিচে নামানোতে ব্যস্ত। কিন্তু আমার মনে হয় যদি আমরা নিজেদের মধ্যে বৈষম্য তৈরী না করে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি তাহলে হয়তো আমরা আমাদের এই পৃথিবীকে সুন্দর ও শান্তি পূর্ণ একটা স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
এবং আমি মনে করি যদি জীবনের সব থেকে বড় মানে খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে সেটা একমাত্র মানুষের মধ্যে ভাতৃত্ব বোধের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়। ছোট একটি জীবনের যদি মানুষের সাহায্য করে কাটানো জয় সেই ছোট্ট জীবনটাই সবার মাঝে অমর হয়ে থাকবে। সবার উচিত এই হিংসা বিদ্বেষ বাদ দিয়ে সবার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। তাহলেই হয়তো আমরা আমাদের পৃথিবীতে স্বর্গ রূপে দেখতে পাবো। আর মানুষত্ব বোধও সেই কর্মের মাধ্যমে ফুটে উঠবে। আর তাতেই আমাদের জীবন সার্থক।
মানুষের মধ্যে এখন মনুষ্যত্বের বড়ই অভাব। মানুষ এখন শুধু নিজের স্বার্থের জন্য কাজ করে। ঠিকই বলেছেন আমরা নিজেদের বিনোদনের জন্য পশুপাখিদের কষ্ট দিয়ে বিবেকহীন এর পরিচয় দেয়। বেশ সুন্দর লিখেছেন।।