হঠাৎ কাজিনের বিয়ের অনুষ্ঠানে ||-By @engtariqul shy-fox=10%
আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @engtariqul
গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে কাজিন এর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। বিয়ে টা হওয়ার কথা ছিল গ্রামে। পড়ে শুনে খারাপ লাগলো যে যেতে পারবো না।কারণ ওই সময়টা ছুটি চাইলেও পাইতাম না কোনভাবেই। পড়ে দুই তিন দিন পর জানতে পারলাম বিয়ে ঢাকায় হবে কমিউনিটি সেন্টারে।কারণ মেয়ের সব আত্নীয় স্বজন ঢাকায় থাকে। পড়ে শুনে মনে মনে ভালো লাগলো। সবকিছু আমাদের দায়িত্ব পড়ে গেল। দায়িত্ব পড়লেও খুব একটা কষ্ট হয়নি। কারণ অনুষ্ঠান টা খুব ছোট পরিসরে ঘরোয়া পরিবেশে হয়েছিল।
ঢাকায় একটা কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয়। সিরাজগঞ্জ থেকে আসতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। কারণ অনেক জ্যাম থাকার কারণে সবাই খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। সকাল ৮ টায় রওনা হয়েছিল। পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর ২ টা বেজে গিয়ে ছিল।
বিয়েতে খুব একটা মানুষ জন আসেনি। কারণ বিয়েটা ঘরোয়া ভাবে হয়েছে। আমরা কাজিনরা যে কয়জন ঢাকায় ছিলাম সেই কয়জন আর জামাই এর সাথে কয়জন আসছিলো। আমরা কাজিনরা সবাই মিলে ফটোসেশন করে নিলাম। আমরা কাজিনরা অনেক মজা করেছিলাম। বয়সের তারতম্য হলেও মজা করার সময় এগুলো খুব একটা দেখা হয়না। সবাই অনেক ফ্রি। পড়ে জামাইকে শশুর বাড়ি থেকে হাতে ঘড়ি পড়িয়ে দিল।
সবাই যেহুতু দূরে থেকে গিয়েছিল।এই জন্য সবার মোটামুটি অনেক খুদা ছিল পেটে। কিছুক্ষণ পর খাওয়া দাওয়া চলে আসলো। অনেক ভর পুর খাওয়া দাওয়া করলাম। সবচেয়ে বেশি মজা ছিল রোস্ট। আমার জন্য অনেক ভালো ছিল। কারণ রোস্ট আমার অনেক পছন্দের খাবার। মোটামুটি রোস্ট ভালো খেয়েছিলাম। আমি শুধু রোস্ট আর বোরহানি বেশি খেয়েছিলাম। তাছাড়া অন্য কিছু বেশি খাইতে পারি নাই। আইটেম ছিল মোটামুটি অনেক গুলো:- পোলাও, রোস্ট, কাবাব, মাছ, গরু, খাসি, দই, মিষ্টি জর্দা, পান।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাবির সাথে গিয়ে ফটোসেশন করে নিলাম। প্রথমে উঠতে চাইনি। দাঁড়িয়ে থেকে ছবি তোলা দেখছিলাম। পড়ে ভাবি ডাক দিয়ে ফটোসেশন করে নিল। ফটোসেশন শেষ করে সবাই কাজিনরা টপ ফ্লোর এর উপরে উঠলাম। কিছু সময় আড্ডা দিয়ে ফটোসেশন করে চলে আসলাম।টপ ফ্লোর এর উপরের পরিবেশ টা অসাধারন ছিল। প্রচুর পরিমাণে বাতাস ছিল।অল্প সময়ের মধ্যে শরীর শীতল হয়ে গেল। সবাই রেডি হতে হতে বিকাল ৫ টা বেজে গিয়েছিল। সবাইকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আমি বাসায় চলে আসলাম। মনটা চাচ্ছিল যে সবার সাথে যায়। কিন্তু ছুটি না থাকায় যেতে পারলাম না। আজকে এই পর্যন্তই আবারো আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। সবাইকে ধন্যবাদ।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | (https://w3w.co/rectangular.functions.ants) |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান টা সব সময় একটু অন্যরকম আনন্দদায়ক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আর বিয়েটা যদি হঠাৎ করে হয়। তাহলে তো কোন কথাই না। আপনার বিয়ে বাড়ির আনন্দঘন মুহূর্তগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য জন্য। ঠিক বলেছেন ভাই হঠাৎ বিয়ে গুলো খেতে একটু অন্যরকম মজা।
আপনার কাজিনকে আমার শুভকামনা জানাবেন। ছবিগুলো ভালো এসেছে। ভালো হয়েছে কনটেন্টটা।
বিয়ে মানেই তো ড্যাশিং সাজগোজ ছেলেদের আর মেয়েদের সুন্দরী পরী সাজার পালা। আপনাকে ভালো লাগছে। আর বিয়ে মানেই আরেকটা বিষয়, কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। আমার কাছে বিয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যই খাওয়া দাওয়া।কাজিন কে অনেক শুভেচ্ছা রইলো।