ছুটির দিনে বই মেলায় ঘোরাঘুরি
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
ঢাকা শহরে অলরেডি বই মেলা শুরু হয়েগেছে দশদিন হলো। কয়েকদিন হলো যেতে চাচ্ছি। কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হয়ে উঠছে না। কিন্তু আজকে ছুটির দিনে কোন কাজ না থাকায় বিকেলে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম।আর শুক্রবার রাস্তা ঢাকা শহরের অনেক জ্যাম থাকে। যেতে যেতে একদম সন্ধ্যা পর পৌঁছালাম। জ্যাম এর কারণে অনেক রাস্তা হেঁটে যাওয়া হয়েছিল। এতো পরিমাণে রাস্তায় জ্যাম ছিল।
আজকে শুক্রবার দেখে মোটামুটি সব স্টল গুলোতে ভিড় ছিল। প্রথমে ডুকে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম এবং প্রচুর পরিমাণে খুদা লাগার কারণে খাবার এর দোকান খুঁজতে ছিলাম আশেপাশে।আর বই মেলায় সব স্টল গুলোতে বিকাশ এর অফার চলতে ছিল।এই জন্য সবজায়গাতেই বিকাশের বিজ্ঞাপন ছিল।
অনেক সময় ধরে হাঁটাহাঁটি করার ফলে খুব খুদা পেয়েছিল।বই মেলাতে প্রবেশ করার পর আগে খেয়ে নিলাম। খাওয়ার ওখানে গিয়ে তো অবাক। কারণ যে পিঠা গুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো বাহিরে ২০-২৫ টাকার মধ্যে আমি খেয়েছি। সেই হিসেবে দাম না জেনে আগে খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। খাওয়ার এক পর্যায়ে সন্দেহ হচ্ছিল যে দামটা আগে জেনে নেই।পড়ে জিজ্ঞেস করে নিলাম যে দাম কতো করে দাম শুনে তো হতবাক হয়ে গেলাম।এক পিস পিঠা ৫০ টাকা করে যেটাই খান সেটার দাম।আবার একটা স্যান্ডউইচ খেয়েছিলাম ডিমের। সেখানে সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫ টাকা কারণ একটা ডিম চার ভাগের এক ভাগ দিয়েছে আর দুইটা পাউরুটি ছোট অংশ দাম নিল ৫০ টাকা। এগুলো খাওয়ার পর শুনলাম দাম। পড়ে পিঁয়াজু হাতে নিয়েছিলাম ছোট একটা বাটিতে করে ১২,১৪ টা হবে দাম বলে ১০০ টাকা। পড়ে আর না খেয়ে বিল দিয়ে চলে আসলাম ওখান থেকে। আসলে মেলা উপলক্ষে সব সিন্ডিকেট করে চলছে ব্যবসায়ীরা। আর মানুষের মনুষত্ববোধ দিন দিন উঠে যাচ্ছে। আসলে মানুষ নিরুপায় হয়ে খাচ্ছিল।কেউ বলার মতো নেই।আমি জিজ্ঞেস করে বললাম যে এত টাকা কেন তারা আমাকে বললো সবাই তো খাচ্ছে তারা তো কিছু বলছে না আপনার সমস্যা কি। আপনার পোষালে খান না পোষালে না খান। পড়ে কিছু না বলে চলে আসলাম খাবার এর হোটেল থেকে।
এরপর বিভিন্ন স্টলে ঘোরাঘুরি করে বই গুলো দেখছিলাম। আমার বই পড়ার খুব একটা নেশা নেই। কিন্তু বই কেনার আমার অনেক ভালো লাগে এবং পছন্দের একটা কাজ বলা যায়। আসলে এই সমস্ত জায়গায় ঘোরাঘুরি করলে অনেক কিছু শেখার আছে বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের দেখা যায় এবং তাদের বই গুলো দেখার সুযোগ হয়। বিভিন্ন স্টলে ঘোরাঘুরি করে আমার বেশ কিছু বই পছন্দ হয়ে যায়। পড়ে কয়েকটি বই কিনে নিলাম। সবগুলো আমার পছন্দের ছিল। তারপর কিছু সময় পর বাসায় ফিরে এলাম। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ সবাইকে।
| ফটোমেকার | @engtariqul |
|---|---|
| ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
| লোকেশন |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
বই মেলায় ছুটির দিন গুলোতে বেশ ভির থাকে এই জন্যই আমি ছুটির দিনে যেকোন মেলাতে যেতে ভালো লাগে না।আসলেই মেলাগুলোতে খাবারের জিনিসগুলো অনেক দাম থাকে,তাই বলে বাহিরে বিশ টাকা আর ভিতরে ৫০ টাকা। এই জন্যই দাম আগে জেনে তারপর খাওয়া উচিত।আমাদের দেশ বলে কথা,রমজান আসলে দাম বেড়ে যায়,এই রকম মেলা হলে দাম বেড়ে যায়।কয়জন মানুষের আর মনুষত্ববোধ আছে বলেন।যাই হোক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন আপু ছুটির দিনে যে কোন পার্কে এবং রাস্তাঘাট গুলো ভিড় থাকে। আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
ছুটির দিনে যেকোনো মেলায় অনেক লোকজনের সমাহার ঘটে ।
আর আপনি ছুটির দিনে মেলায় ঘুরাঘুরি করেছেন এটি বেশ ভালো লাগলো।এটা সত্যি যে মেলাতে সাধারণ কিছু জিনিসেরও দাম বাড়তি থাকে। বিশেষ করে খাবারের যে দোকানগুলো হয়ে থাকে সেখানে একটু বেশি দাম নিয়ে নেয়। যাই হোক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেলাগুলোতে দাম একটু বেশি নেই কিন্তু ডাবল নেওয়া কি ঠিক। আসলে কিছুই বলার নেই। কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপনি বইমেলায় ছুটির দিনে গিয়ে ভালোই করেছেন। আর ঢাকা শহরে জ্যাম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যাই হোক সবকিছু উপেক্ষা করে আপনি বইমেলায় পৌঁছাতে পেরেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন।আমার কাছে পিঠাগুলো খুব ভালো লেগেছে।
জি আপু ঢাকা শহর হচ্ছে জ্যামের শহর বলা হয়ে থাকে। খুব বাজে একটা অবস্থা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছুটির দিনে মেলায় উপচে পরা ভির দেখা যায়। সবাই এই দিনটিতে ঘুরতে বের হয়। বই মেলায় ভালোই ঘুরে ঘুরে বই দেখলেন। এই মেলায় গেলে অনেক কবি সাহিত্যিকদের সাথে দেখা হয়, তাই ভাল লাগে। আর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যেকোনো মেলায় খাবারের দোকান দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। পিঠাগুলো কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে। বইমেলা ঘুরতে গিয়ে বই ও কিনলেন দেখে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।বই মেলায় ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।আর বই কেনার নেশা অনেক আমার। পড়তে খুব একটা ভালো লাগে না।
ভাইয়া এখানে তো বইমেলার চেয়ে পিঠার মেলা বেশি বসেছে।বেশ ভালো উদ্যোগ যারা বই কিনতে আসবে,দেখতে আসবেন অবশ্যই কিছু খাবেন অনেক বুদ্ধিবান বিক্রেতারাও।ঢাকা শহরে যা অবস্থা দেখলাম ছুটির দিনে তো আরও বেশি জ্যাম দেখতেছি।তবে আপনি জ্যাম পার হয়ে অনেক সময় নিয়ে হলেও মেলায় পৌঁছেছেন খুব সুন্দর সময় পার করেছেন একুশে বইমেলায়।ভালো লেগেছে আপনার মাধ্যমে একুশে বইমেলা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
ঠিক বলেছেন আপু পিঠা মেলা গুলো বেশ জমে উঠেছে। সবমিলিয়ে ভালো কেটেছে সময়।
ভাইয়া ঢাকা শহরের জ্যামের কথা আর বলে লাভ নাই। ঢাকা শহরের জ্যামেই আমাদের জীবনের অর্ধেক সময় ব্যয় হয়ে যায়। যায়হোক শুক্রবার হওয়ার কারনে বই মেলায় অনেক মানুষ এসেছে। বই থেকে আমার কাছে খাবারের ছবি গুলো বেশি ভাল লেগেছে,হি হি হি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাইয়া খুব বিরক্তিকর একটা অবস্থা।জ্যামের জন্য কোথাও যেতে মন চায় না।
আসলে বইমেলা ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। কারণ বই মেলা থেকে অনেক কিছু জানা যায়। যদি কিছু জ্ঞানের বই কিনে থাকে তাহলে সেগুলো থেকে পড়ে অনেক কিছু বোঝা যায়। আসলে সময়ের কারণে অনেক জনের কোথাও যাওয়া হয় না। আর বইমেলা দেখতেছি খুব মজার মজার খাবার বিক্রি করতেছে। মনে হয় অনেক মজার মজার খাওয়া খেলেন আপনি। তবে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা মানুষ থেকে খাবারের দাম অনেক বেশি নেই। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু বই মেলায় ঘোরাঘুরি করলে অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক কবি সাহিত্যিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারা যায়। খাবার গুলো ভালো ছিল কিন্তু দাম ছিল একটু বেশি।