ফ্যামিলি সাথে মাওয়া তে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া।By |engtariqul| প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ১০%
আসসালামুয়ালাইকুম।
আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। অনেক দিন হলো চিন্তা করছি কোথাও ঘুরতে যাব। কিন্তু সময়ের সাথে কেমন যানি হয়ে উঠতে পারছিলাম না। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা টা বেশ মনের মধ্যে নাড়া দিচ্ছিল। হঠাৎ বৃহস্পতিবার রাতে দুলাভাই এর ফোন বেজে উঠে। ফোন রিসিভ করতে করতে ওপাস থেকে দুলাভাই বলে উঠলো, আগামীকাল আমরা কিন্তু ঘুরতে যাব। তুই এখন আমার বাসায় চলে আয়। আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ দিল না। কথা শেষ না হতে ফোন কেটে দিল। পড়ে চিন্তা করলাম এইটা একটা সুযোগ।এই সুযোগ কোনভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না।কারণ এইরকম সুযোগ আমি খুজতে ছিলাম কয়েকদিন হলো। পড়ে কোন চিন্তা ছাড়ায় ব্যাগ নিয়ে চলে গেলাম বোনের বাসায়। আমার বাসা আর বোনের বাসা খুবই কাছে একদম ১০ মিনিটের রাস্তা। পড়ে বাসায় গেলাম। গিয়ে সব পরিকল্পনা করলাম যে কোথায় কিভাবে যাওয়া যায়। পড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যে মাওয়া তে ইলিশ খেতে যাব। সিদ্ধান্ত ফাইনাল করে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম যে ভোড় বেলা উঠতে হবে। সকাল ৭ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে গন্তব্য উদ্দেশ্য বের হলাম।।
আমরা মামা ভাগ্নে ইলিশ খাইতে ইলিশ বাসে চড়ে গল্প করতে করতে চলে গেলাম। পাশে ছিল আপু দুলাভাই।
বাস থেকে নেমে মাওয়া ঘাটে চলে গেলাম।নামার সাথে সাথে একটা শীতল বাতাস এসে মনটা কে শীতল করে দিয়ে চলে গেল। অবশ্য অনেক রোদ ছিল।পড়ে পাশে কিছু দোকান ছিল সেখান গিয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম।যাইতে যাইতে দুপুর হয়ে গিয়েছিল। পড়ে শুক্রবার জুমার নামাজের দিন।পড়ে নামাজের জন্য বের হলাম।নামাজের আগে সিদ্ধান্ত নিলাম কোথায় খাওয়া যায়। জায়গা কনফার্ম করে তারপর নামাজ এ চলে গেলাম।
নামাজ শেষে আমরা খাবার এর উদ্দেশ্য বের হয়ে গেলাম। আমি তেমন কিছু চিনি না ওখানে।কারণ আমার প্রথম যাওয়া ছিল মাওয়া তে। দুলাভাই এর এক পরিচিত দোকান ছিল সেখানে গেলাম খাওয়ার উদ্দেশ্য। একদম পদ্মার ইলিশ চোখের সামনে বের করে দিলো। আমাদের সামনে মাছ গুলো কে কাটলো। আমরা দুইটা নিলাম ওখান থেকে দুইটার দাম আসলো ১৮০০ টাকা।
মাছ 🐟 গুলো কে সুন্দর করে পিছ পিছ করে কাটা হলো।
মাছ গুলো সুন্দর করে ভাজি করা হচ্ছে। একদম লাইভ এ হচ্ছে সবকিছু। সাথে আমার প্রিয় একটি ভাজি বেগুন ভাজি।
ভাজা শেষ এ অবস্থা। সাথে ছিল মরিচ ভাজা।
এটা হচ্ছে ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা।অসাধারণ ছিল এই জিনিসটা,না খেলে বুঝতে পারতাম না।
খাওয়া শেষ করে পদ্মা পাড়ে একটু ঘোড়া ঘুড়ি। ইচ্ছে ছিল স্পিড বোর্ড এ উঠে পদ্মার নদীতে একটু ঘুড়া ঘুড়ি করবো । কিন্তু দুঃখের বিষয় দুলাভাই আপু ভাগ্নের জন্য হয়ে উঠলো না। কারণ হচ্ছে তাড়া একজন ও সাতাড় পারে না।
একদম শেষ পর্যায়ে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ।শেষ মুহূর্তে পরিবেশ টা দারুন ছিল। পরিবারের সাথে একটি সুন্দর দিন উপভোগ করলাম আলহামদুলিল্লাহ। অনেক কথা আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যা বাজিয়ে দিলাম। প্রতিটি দিন যদি এমন আনন্দ এ কাটতো। আনন্দের সময় গুলো একটু তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আজকের ব্লগটি এখানেই শেষ করছি। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | (https://what3words.com/nodded.jubilant.helping) |
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম দারুন সময় কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আর এ জায়গা গুলো আমার কাছে খুবই চেনা লাগছে। কেননা মাওয়া ঘাটে অনেক যাওয়া হইছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টটি সুন্দর ভাবে পড়ে সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য
পদ্মা সেতু ভ্রমণের দারুণ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনি। অসাধারণ একটি দিন কাটিয়েছেন। খুব শীঘ্রই ইচ্ছা আছে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার।শুভকামনা আপনার জন্য
জি ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর জায়গা। আপনি চাইলে যাইতে পারেন।।
আপনার পদ্মাসেতু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। পদ্মার ইলিশ দেখেই খেতে মন চাচ্ছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
পরিবারের সাথে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে।আমাদের মাঝে আপনার পোস্টি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলেই পরিবারের সাথে সময় কাটানো অনেক আনন্দ এর। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া আপনার জন্য।