বিখ্যাত পানতোয়া বা পানি তোয়া খাওয়ার মূহূর্ত
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে আমাদের সিরাজগঞ্জ এর বিখ্যাত পানি তোয়া শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।গত সপ্তাহে বাড়িতে গিয়েছিলাম একটা জরুরী কাজে। কাজ শেষ করার পর প্রিয়তমা স্ত্রী ফোন বেজে উঠলো।ওপাশ থেকে সালাম দেওয়ার পর বলে উঠলো আমার ভিশন মিষ্টি খাওয়ায় ইচ্ছা হয়েছে। তুমি আজকে মিষ্টি নিয়ে আসো। পড়ে ভাবলাম যে এলাকায় থাকা হয় কিন্তু বিখ্যাত খাবার খাওয়া হয়না অনেকদিন হলো। সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে পানি তোয়া নিয়ে যাব। নিয়ে গিয়ে সারপ্রাইজ দিলাম। চলুন তাহলে শুরু করা যাক:-
এই দোকানটা খুব সাদামাটা একটা দোকান। দোকানে নেই কোন ভালো ডেকরেশন এবং নেই কোন ভালো চেয়ার টেবিল। তারপরও এই দোকানে কখনো মিষ্টি স্টক থাকে না। ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি এই দোকান।আগে যেমন দেখতাম ঠিক তেমনি রয়েছে এই দোকান।এই দোকানে পানি তোয়া অনেক বিখ্যাত। অনেক মজা এবং সুস্বাদু। দোকান এর মালিক এর নাম ভোলানাথ।সে বেঁচে নেই অবশ্যই কিন্তু তার মান এবং সুনাম ধরে রেখেছে এখন পর্যন্ত তাঁর ছেলেরা।
বাংলাদেশের কোথাও এই পানি তোয়া পাওয়া যায় না।এই মিষ্টির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে সিরাজগঞ্জ এর মানুষেরা। আমাদের এলাকায় পানতোয়া বা পানি তোয়া নামে পরিচিত।ঘি,এলাচ গুঁড়া,চিনি, মাওয়া গুঁড়া, পানি, , ছানা, তেল দিয়ে পানতোয়া বানানো হয়ে থাকে।গরম গরম খেতে সবচেয়ে বেশি মজা পাওয়া যায়। আমি যখন দোকানে প্রবেশ করলাম তখন দেখি তাৎক্ষণিক ভাবে তৈরি করছে। দেখার সাথে সাথে মনটা ভরে গেল এই জন্য সঠিক সময়ে চলে আসছি।
গরম গরম মিষ্টি হওয়াই প্রথমে কয়েকটি খেয়ে নিলাম।দেখে মনে হলো অনেক গুলো খাব। কিন্তু দুই পিছ খাওয়ার পর আর খেতে পারলাম না। তারপর দোকানদার ভাইকে বললাম যে আমাকে দুই কেজি প্যাকেট করে দেন। পড়ে গরম দেখে দুই কেজি মিষ্টি নিয়ে নিলাম। প্রতি কেজি মিষ্টির দাম নিয়েছিল ৩৫০ টাকা করে।এই মিষ্টি যদি ঢাকায় হতো নিশ্চিত ৫০০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করতো। মিষ্টি নিয়ে যখন বাসায় গেলাম তখন প্যাকেট দেখে তো সবাই খুব খুশি। কারণ সবাই মনে মনে ভাবছিল যে এই মিষ্টি খাবে। আজকে এই পর্যন্তই আবারো আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।কেউ যদি সিরাজগঞ্জ ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই পানি তোয়া খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। সবাই অনেক ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | ( https://w3w.co/brow.sublet.horoscopes) |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
মিষ্টি জাতীয় খাবার তো এমনিতেই অনেকের পছন্দের। তাও সেটা যদি হয় আবার বিখ্যাত।আপনি বিখ্যাত পানতোয়া মিষ্টির কথা লিখেছেন,যেটি নাকি সিরাজগঞ্জের ।সিরাজগঞ্জে গেলে এই মিষ্টি তো তাহলে খেতেই হবে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।
জি আপু গেলে না খেয়ে আসবেন না। অনেক মজা পাবেন আশা করছি। সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
এই রাতের বেলা এসব কি দেখাচ্ছেন ভাই!নিজেকে সামলানোই তো মুশিকিল হয়ে যাচ্ছে।সিরাজগঞ্জ গেলে খেতে হবে দেখছি।
বেশ লোভনীয় খাবার এগুলো।আমি তো নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনা এগুলো দেখলে।
সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। শুভ কামনা রইলো।
ভাইয়া সিরাজগঞ্জ আপনার দাওয়াত সময় পেলে অবশ্যই আসবেন। খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি খাবার।
বিখ্যাত পানতোয়া সত্যি খুবই লোভনিয় খাবার। মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনাদের বিখ্যাত পান তোয়া এতটা এতটা স্বাদের তা জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম এই পানতোয়া খেতে কতটা ভালো লাগে। দোকানের পরিবেশ যেমনই হোক ভাই, খাবারের মানটা যে এত ভালো এতে করেই দোকানদারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। আমি বাইকে করে সিরাজগঞ্জের উপর দিয়ে অনেকবার যাতায়াত করেছি কিন্তু বিখ্যাত পানতোয়ার খোঁজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমেই পেলাম। তাই পরবর্তী সময়ে কখনো যেতে পারলে এই পানিতোয়া খেয়ে দেখব।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর গঠনমূলক কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য। আবার আসলে অবশ্যই টেস্ট করে দেখবেন। অনেক মজার একটা খাবার। দোকানদার কে তো অবশ্যই অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য
পান তোয়া মিষ্টি তো দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হবে। কিছু কিছু জিনিসের ডেকোরেশন লাগে না এমনিতে গুণের কারণে এগুলো সারা জীবন নাম রেখে যায়।এত রাতে পান তোয়া দেখে পেটে খিদে লেগে গেছে।
জি আপু অনেক মজা। অনেক আগের দোকান। আমাদের এলাকায় অনেক নাম এই মিষ্টির।
ভাইয়া মনে হচ্ছে এই পানতোয়া খেতে আপনাদের সিরাজগঞ্জ যেতে হবে। পানতোয়া দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। আমি আবার বেশি মিষ্টি খেতে পারিনা এই পানতোয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই মিষ্টি হবে। পানতোয়া দেখতে অনেকটা কালোজামের মতো দেখাচ্ছে। পানতোয়া খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু একদিন আসেন সিরাজগঞ্জে চলে যায়।আপু এই মিষ্টি খুব একটা মিষ্টি না আশা করি খেতে পারবেন।