রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলা ভ্রমণ পর্ব-২
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে গত সপ্তাহে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলা তে ভ্রমণ পর্ব-২ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। আজকে আপনাদের সাথে নাটোরের কাঁচাগোল্লা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। নাটোরে গিয়েছিলাম ফুফাতো ভাই এর বিয়ে খাওয়ার জন্য। নাটোরে যাব কিন্তু কাঁচাগোল্লা খাব না তা কি হয়।যতবার নাটোর যাওয়া হয়েছে ততবার কাঁচাগোল্লা না খেয়ে আসি না। কারণ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আর নাটোরে অনেক গুলো দোকান আছে কাঁচাগোল্লার। কিন্তু একদম অরিজিনাল টা খেতে একটু শহর থেকে ভিতরে যেতে হয় আর কি। সারাদিন বিয়ের ঝামেলা শেষ করে সন্ধ্যা দিকে কাজিন এর সাথে চলে গেলাম কাঁচাগোল্লা খেতে।
কাঁচাগোল্লা দূধ দিয়ে বানানো হয়ে থাকে।মূলত এই কাঁচাগোল্লা নাটোর জেলার জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এখন অনেক জায়গায় পাওয়া যায় সেটা নাটোরে কাঁচাগোল্লা হিসেবে। কাঁচাগোল্লা উৎপত্তি হয় মূলত নাটোর জেলা থেকে। গরুর দুধ হতে কাঁচা ছানা হতে প্রস্তুত করা হয় ।এই জন্য এটা কে কাঁচাগোল্লা বলা হয়ে থাকে। এই কাঁচাগোল্লা অনেক বড় একটা কাহিনী রয়েছে। নাটোর শহরের লালবাজারের মধুসূদন পালের দোকান ছিল প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান সেখান থেকে মূলত কাঁচাগোল্লা উৎপত্তি। আমরা সেই পুরাতন দোকানে গিয়েছিলাম কিন্তু এখানে কোন খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। কারণ এতো ভিড় থাকে পার্সেল দেওয়ার সময় নেই তাদের। পড়ে কিছু সময় বানানোর প্রসেস টা দেখলাম এবং অনেক কিছু শিখলাম। কাঁচাগোল্লা তৈরি উপকরণসমূহ হচ্ছে:- ছানা, এলাচগুঁড়া, চিনি, দুধ ঘি, পানি।কাঁচা গোল্লা প্রধানত দুই ধাপে তৈরি হয়ে থাকে একটা হচ্ছে:-দুধ থেকে ছানা তৈরি আরেকটি হচ্ছে ছানা থেকে কাঁচাগোল্লা তৈরি।
এই দোকানের সামনে বসে না খাওয়ার পরে আমরা পার্সেল নিলাম। কাঁচাগোল্লা খুব একটা বেশি খাওয়া যায় না।১০০ গ্রাম খেলে পেট ভরে যায়। আমরা দুজন থাকার কারণে ২৫০ গ্রাম অর্ডার করলাম। সর্বনিম্ন এই দোকানে ২৫০ গ্রাম অর্ডার দেওয়া যায়। দাম নিল হচ্ছে ১২৫ টাকা। কেজি পড়লো ৫০০ টাকা। সাথে বাড়িতে নেওয়ার জন্য কিছু পার্সেল নিলাম। ওখান থেকে একটা চা স্টলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। বাসার চাইতে বাহিরে খাওয়ার মজাই আলাদা লাগে আমার কাছে।এই জন্য দুজনে মিলে আগে খেয়ে নিলাম। আপনারা কেউ কখনো নাটোর ভ্রমণ করলে অবশ্যই কাঁচাগোল্লা না খেয়ে আসবেন না।যারা খেয়েছেন তারা বুঝবেন কি মজা আর এখনো যাদের খাওয়া হয়নি তাড়া কখনো গেলে অবশ্যই খেয়ে আসবেন। আমার কাছে কাঁচাগোল্লা অন্যরকম ভালো লাগে।আর প্রত্যেক জেলায় কিছু না কিছু বিখ্যাত জিনিস আছে। সেই হিসেবে কাঁচাগোল্লা অনেক মজাদার একটা খাবার। আজকের পর্ব এই পর্যন্তই আবারো আসবো নতুন পর্ব নিয়ে। কয়েকটি জায়গায় ঘোরাঘুরি সুযোগ হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে।সেখান থেকে আপনাদের সাথে সামনের আরো কয়েকটা পর্ব শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
ভাইয়া আপনি রাজশাহী ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে গিয়ে নাটোরের কাঁচাগোল্লা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। পড়ে বেশ ভাল। কাঁচাগোল্লা বেশি খাওয়া যায় না ১০০ গ্রাম খেয়ে নিলেই পেট ভরে যায়। আপনারা পার্সেল নিলেন।চা স্টলে গিয়ে খেয়ে নিলেন।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু ঠিক বলেছেন অল্প একটু খেলে মুখ মেরে আসে।আর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
কত যে শুনেছি নাটোরের কাঁচা গোল্লার কথা। আপনি তো দেখছি ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে যেয়ে পুরো রাজশাহী বিভাগ চুষে বেড়িয়েছেন। কাঁচা গোল্লা তো খেলেন আবার পার্সেলও নিলেন। আবার আমাদের সাথে শেয়ার করে লোভ ও জাগালেন। ভাল কাটুক আপনার সময়।
জি আপু দুই দিন ছিলাম অনেক জায়গায় যাওয়া হয়েছে।জি আপু লোভনীয় জিনিষ লোভ তো লাগবেই। খেয়ে দেখবেন একদিন তাহলে লোভ চলে যাবে।
আজকে আমাদের কোন আত্নীয় স্বজন রাজশাহী নাটোরে নাই বলে নাটোরের কাঁচাগোল্লা খেতে পারলাম না। ঐখানে পাচঁশত টাকা হলেও ঢাকা আসতে আসতে সেটা ১৫০০ টাকা হয়ে যাবে। যদি কখনো যেতে পারি তাহলে দেখে আসবো কাঁচালোগল্লা তৈরীর কারকানা। আর খেয়েও আসবো । ধন্যবাদ ভাইয়া।
তা ঠিক বলেছেন ওখান থেকে আসতে আসতে দাম পড়ে যাবে বেশি আর ততটা মজা লাগবে না তেমন। নাটোর আসলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আশা করছি।