কলিগদের সাথে কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি ||-By @engtariqul shy-fox=10%

আজকে আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন হলো রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া হচ্ছিল না তেমন। গত কাল অফিস থেকে আসার পর কলিগ রা বলতেছে চলেন আজকে বাসায় খাবার ভালো না বাহিরে খাব। বললাম চলেন এটা তো আমার জন্য আরো ভালো। সবাই বললো আজকে কাচ্চি খাব। পড়ে আমি বললাম চলেন বনশ্রী তে একটা স্পেশাল কাচ্চি আছে অনেক ভালো খেয়ে আসি। আমিও কখনো খাইনি কিন্তু ফেসবুকে অনেক রিভিউ দেখেছি। ফেসবুকে থেকে নাম্বার নিয়ে রেস্টুরেন্টে ফোন দিলাম যে আপনাদের খাবার কি পর্যাপ্ত আছে।বললো যে রাত ৮ টার মধ্যে আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবেন। কিন্তু আমাদের একটু অলসতা কারণে দেরি করে ফেললাম। রিক্সায় যাইতে যাইতে ৯ টা বেজে গেল। রিক্সায় থেকে নেমে রেস্টুরেন্টে ভিতরে ঢুকে একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হওয়ার পর অর্ডার দেওয়ার জন্য ওয়েটার কে ডাকলাম। ১৫ মিনিট পর খাবার আসলো। তারপর খাওয়া শুরু করলাম। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে নিম্নে নিচে রেস্টুরেন্টে খাবার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যাক:-

প্রথমে রিক্সা থেকে নেমে রেস্টুরেন্টে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে ঢোকার পর ফ্রেশ হয়ে নিলাম। রেস্টুরেন্টে ভিতরে খুব একটা বেশি বড় না ছোট হলেও পরিবেশ টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ওয়েটার কে ডাকলাম খাওয়ার অর্ডার নেওয়ার জন্য। আমরা প্যাকেজ অর্ডার করতে চাইলাম ওয়েটার বললো স্যার আমাদের প্যাকেজ শেষ হয়ে গেছে। বললাম এতো তাড়াতাড়ি শেষ।বললো আমাদের ৮ টার মধ্যে প্যাকেজ গুলো শেষ হয়ে যায়। পড়ে তিনজনে সিঙ্গেল করে অর্ডার দিলাম। প্রথমে খুব রাগ হয়েছিল কারণ এই রেস্টুরেন্টে প্যাকেজ টা অনেক ভালো। কিন্তু ওয়েটার এর ব্যবহারে কিছু বলতে পারলাম না এবং রাগ ও অনেক টা কন্টল হয়ে গেল। পড়ে সিঙ্গেল সিঙ্গেল অর্ডার করে ফেললাম। মাটন ঢাকাইয়া কাচ্চি বিরিয়ানি, ফিরনি, বোরহানি।

কিছুক্ষণ পর খাবার চলে আসলো। খাবার দেখে মনে হচ্ছিল অনেক সুস্বাদু হবে। কাচ্চি বিরিয়ানি সাথে দুই পিস মাটন ছিল, সালাত, আর চাটনি ছিল। চাটনি টা এতো মজা ছিল যে কখন যে খাবার শেষ হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। চাটনি কারণে খাওয়া টা অনেক ভালো ছিল। ওয়েটার কে ডাকলাম যে ভাইয়া আমাদের রাইস দিন আরো।ওয়েটার কথা শুনে মনে হলো আকাশ থেকে পড়লাম।ওয়েটার বলে স্যার খাবার শেষ হয়ে গেছে। পড়ে আর কি করার আর খাওয়া হলো না। কিন্তু সবার ইচ্ছা ছিল আরো খাওয়ার। খাওয়ার মান অনেক ভালো ছিল তাদের রাইস আর চাটনি টা বেশি ভালো ছিল। রেটিং দিলে আমি ১০/১০ দিব তাদের কাচ্চিতে। কিন্তু তাদের বোরহানি টা তেমন ভালো লাগে নাই আমার কাছে।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটা সেলফি নিয়ে নিলাম। কিছু সময় পর বিল নিয়ে হাজির। তিনজন মিলে মোটামুটি খাবার অনুযায়ী খুব একটা বেশি মনে হয় নাই বিলটা।
খাবারের কোয়ালিটি অনেক ভালো ছিল। এবং তাদের স্টাফদের ব্যবহার অমায়িক ছিল। কিন্তু মনের মতো এবং তৃপ্তি অনুযায়ী খাবার না থাকার কারণে খেতে পারি নাই। এইটা একটা আফসোস ছিল। এদের রেস্টুরেন্টে আবারো যাব কারণ কাচ্চি আমার অনেক ফেবারিট। সময় সুযোগ এবং বাসার খাবার যেদিন খারাপ থাকে সেই দিন সুযোগ হয়ে যায় কাচ্চি খাওয়ার। কেউ চাইলে খেয়ে আসতে পারেন আশা করছি ভালো লাগবে। আজকে এই পর্যন্তই আবারো আসবো নতুন কোন পোষ্ট নিয়ে। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পোস্ট। ধন্যবাদ সবাইকে।

আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।

আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।

---

---