অফিসের কাজে জ্যামের শহর ফার্মগেট যাওয়া
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। গতকাল অফিসে কাজে একটু ফার্মগেট যাওয়া হয়েছিল। সন্ধ্যা ছয়টা দিকে বাসে উঠেছি ফার্মগেট আসতে সময় লেগেছে মাএ ২ ঘন্টা ২০ মিনিট যেখানে যেতে সময় লাগে হচ্ছে মাএ ৩০ মিনিট। আসলে ঢাকা শহরটা একদম বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। কোথাও যখন যাওয়ার কথা শুনি তখন মনটা একদম খারাপ হয়ে যায়। কারণ এই জ্যামের মধ্যে শরীর মন দুটোই একদম খারাপ হয়ে যায়।ঢাকা শহর বসবাস এর জন্য কোন ভাবেই যোগ্য নয়। আসলে জবের জন্য একমাত্র থাকা তাছাড়া কেউ ঘোরাঘুরি জন্য ঢাকা শহরে আসবে বলে মনে হয় না।
বাস থেকে নামার পর শরীর একদম ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। মোবাইল টা বের করে সামনের ক্যামেরা 📷 চালু করে দেখি চেহারা অবস্থা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এরপর তাড়াতাড়ি করে একটা পানি কিনে মুখটা ধুয়ে নিলাম। এরপর ফার্মগেট সিনেমা হলের সামনে ফল কেটে বিক্রি করে মাঝে মধ্যে কোন কাজে গেলে এখানে খাওয়া হয়।যদিও ততটা স্বাস্থ্য সম্মত নয়। তারপরও ভাজি পড়া বা ফাস্ট ফুড এর চাইতে ফল খাওয়া ভালো।যদিও একটু ধুলাবালি থাকে। কিন্তু ফল সামনে থেকে কেটে নিয়ে একটু ধুয়ে নিলে মোটামুটি ভালো একটা খাবার হয়।
এখানে আনারস 🍍 এবং তরমুজ 🍉 ছিল। কিন্তু আমার তরমুজ হলো পছন্দের একটা ফল। এরপর একবাটি তরমুজ নিলাম।এক বাটি তরমুজ ছিল ৩০ টাকা। মোটামুটি দাম কম ছিল। অনেক কয়েকটি টুকরো ছিল। মোটামুটি আনসিজনে এই ধরনের ফল খেতে বেশ মজা লাগে।আর এখন বিশেষ করে ঢাকা শহরে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায় বিভিন্ন সিজনের।এই জন্য মাঝে মধ্যে আন সিজনের এই ধরনের ফল গুলো বেশ ভালো লাগে। এরপর খাওয়া পর একটু প্রশান্তি লাগছিল। এরপর অফিসে কাজ শেষ করতে করতে রাত ১০ টা বেজে গিয়েছিল।এর পর আর বাসে না উঠে একটা পাঠাও নিলাম। কিন্তু ওইসময় রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা ছিল।এই জন্য বাসায় আসতে ২০ মিনিট সময় লেগেছিল। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | ফার্মগেট |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
এটা খুব সত্যি কথা ঢাকাতে কোন কাজে বের হলে সময় শেষ। একদিনে আপনি দুই দিকে মুভ করতে পারবেন না।যেখানে ফার্মগেট যেতে ৩০ মিনিট লাগে সেখানে ২/২.৩০ ঘন্টা লাগলে মানুষ আর কি করবে বলেন।আর যে গরম ক্লান্ত হয়ে যায় মানুষ। পথে কেটে রাখা ফল দেখলে বেশ লোভনীয় লাগলেও কখন খাওয়া হয়নি।আমি কখনওই বাইরের খাবার খেতে পারিনা।ইচ্ছে যে করেনা তা কিন্তু নয়।কিন্তু খুব খুঁতখুঁতে তাই খাওয়া হয় না।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছে হয়না কোথাও যায়। অনেকেই বাইরের খাবার খেতে পারে না।আমি খেতে পারি মোটামুটি।
আসলে শহরের জীবন এবং গ্রামের জীবনের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। গ্রামের মানুষ যেমন খোলামেলা পরিবেশে বড় হচ্ছে তেমনি খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক স্বাস্থ্যসম্মত বলা যায়। শহরের মানুষ তো এক দিকে যানজটের কষ্ট অন্যদিকে আছে খাবারের দোষণ। তবে খাবার গুলো অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। আপনি ঠিক বলছেন ভাজ পুড়া খাবারের চেয়ে ফ্রুটস খাওয়া অনেক ভালো স্বাস্থ্যের জন্য।
জি আপু ঠিক বলেছেন গ্রামের আবহাওয়া অন্যরকম ভালো লাগে। একটা কেমন জানি প্রশান্তি কাজ করে। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।