হঠাৎ রেস্টুরেন্টে এ খেতে যাওয়া ||-By @engtariqul shy-fox=10%
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি সুন্দর রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়া শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।বেশ কয়েকদিন হলো আমার ফেসবুকে একটা রেস্টুরেন্টে বিজ্ঞাপন আসছিলো নিয়মিত। কিন্তু প্রথম ভালো ভাবে ফলো করা হয়নি। কিন্তু ফেসবুকে ঢুকলে শুধু এই রেস্টুরেন্টে বিজ্ঞাপন আমার কাছে আসছে। পড়ে ভিতরে ঢুকে দেখলাম যে আমার খুব কাছে রেস্টুরেন্টটি এবং ডেকোরেশন অনেক সুন্দর। ভাবলাম তাহলে যাওয়া যেতে পারে। সিদ্ধান্ত নিলাম যে আজকে যাব। পড়ে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে এসে রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম। বাসা থেকে যেতে আমার ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। রিক্সায় থেকে নেমে রেস্টুরেন্টে ভিতরে প্রবেশ করলাম। গিয়ে দেখি ফেসবুকে যেমন দেখছিলাম ঠিক তেমনই সুন্দর। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের পোস্ট:-
এই রেস্টুরেন্টে প্রতিটি জায়গায় কৃত্রিম ফুল দিয়ে ডেকরেশন করা হয়েছে।ছবি তোলার জন্য পারফেক্ট একটা জায়গা। প্রথমে গিয়ে আমি বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম। এটা বাচ্চাদের জন্য পারফেক্ট একটা রেস্টুরেন্টে হবে। কারণ এখানে সুন্দর সুন্দর কিছু জায়গা আছে।
এই রেস্টুরেন্টে প্রতিটি বসার টেবিল গুলোতে খুবই সাজানো গোছানো।আর এই রেস্টুরেন্টে স্টাফদের ব্যবহার খুবই ভালো ছিল। আসলে আগের মতো গতানুগতিক রকমের রেস্টুরেন্টে আর নেই। থাকলেও সেগুলো ওইভাবে চলে না আমার মতে। এখন মানুষ যে রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন যতো ভালো সেই রেস্টুরেন্টে মানুষের যাতায়াত বেশি। আসলে আমরা রেস্টুরেন্টে যায় একটু রিল্যাক্স করতে একটু আরামে খাওয়া দাওয়া করতে।এই ধরনের রেস্টুরেন্টে গেলে মনটা ভালো হয়ে যায়।
যে দোলনা টা দেখতে পাচ্ছেন এই দোলনা শেষ পর্যন্ত আমি উঠতে পারিনি। কারণ হচ্ছে সিরিয়াল পেতে পেতে আমাদের খাবার চলে আসছিলো এবং এখানে ওঠার জন্য অনেক লোকের ভিড় ছিল। বাচ্চারা বেশি ছিল এইজন্য আর ওঠা হয়নি। কারণ বাচ্চাদের আনন্দ টাই একটু বেশি।
অবশেষে খাওয়া চলে আসলো। আমরা প্যাকেজ অর্ডার করেছিলাম। সেখানে ছিল একটা চিকেন, ফ্রাইড রাইস, ফ্রেন্ডস ফ্রাই, রসুন, সালাদ , একটা ডিম দিয়ে তৈরি কি যেন নামটা মনে নেই, মাউন্টেন ডিউ সবমিলিয়ে খাবার টা দারুন ছিল। তাদের রাইস টা আমার কাছে ভিশন ভালো লেগেছে। দামটা খাবার এর মান অনুযায়ী কম ছিল।
আজকে এই পর্যন্তই আবারো আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে। আশা করছি আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আসলে সময় পেলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়। বাহিরে খেতে আমার ভিশন পছন্দ। কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হয় না। বিশেষ করে এই ধরনের রেস্টুরেন্টে খেতে আমার ভিশন ভালো লাগে। সাথে ছিল আমার প্রিয়তমা স্ত্রী।তার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। রেস্টুরেন্টে নাম হচ্ছে মারমেইড বিস্ট্রো,মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, ঢাকায় অবস্থিত।
| ফটোমেকার | @engtariqul |
|---|---|
| ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
| লোকেশন | (https://w3w.co/cobbled.defenders.flap) |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
আপনি ঠিকই বলেছেন একটু আরাম আয়েশ করে একটু ভালো পরিবেশে খাওয়া-দাওয়ার মজাই আলাদা। তবে যেরকম মজা উপভোগ করবেন সেরকম পকেট থেকেও দিতে হবে। হা হা হা হা হা হা.....। যাই হোক ভাই রেস্টুরেন্টের ভিতর আসলে অনেক সুন্দর ছিল আপনার ফটোগ্রাফিতে তাই বোঝা যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য। জি ভাইয়া রেস্টুরেন্টে ভিতরে অনেক সুন্দর ছিল।
হঠাৎ কোথাও যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা আর তা যদি হয় রেস্টুরেন্টে এ খেতে যাওয়ার তাহলে তো কথাই নেই।দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনি।আর রেস্টুরেন্টটি খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয় একদম বিয়ে বাড়ির মতোই সজ্জিত যেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।জি আপু খুবই সাজানো গোছানো রেস্টুরেন্টে টা। পরিবেশ টা চমৎকার ছিল।
রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার মজাই আলাদা। অনেকদিন যাবত অবশ্য রেস্টুরেন্টের খেতে যাওয়া হয়না। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা অনেক রয়েছে আমার। বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া আর আড্ডা দেওয়ার মধ্যে আছে অনেক আনন্দ। জয় হোক সুন্দর বর্ণনামূলক পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য জন্য।জি ভাইয়া এরকম আড্ডা হলে বেশ ভালো লাগে। সময় পেলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া দরকার।
ভাইয়া আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এরকম রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনার খাবারের মেনু দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। আমিও সময় করে এই রেস্টুরেন্টে খেতে যাব। এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য জন্য।জি আপু সময় করে ঘুরে আসবেন। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।