কাজিন এর বিয়ে খেতে রাজশাহী ভ্রমণ পর্ব -১
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
অনেক দিন পর রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলা তে গিয়েছিলাম ফুফাতো ভাই এর বিয়ের অনুষ্ঠানে। মোটামুটি চার বছর পর যাওয়া হয়েছিল সেখানে। ছোট বেলায় অনেক যাওয়া হতো দুই তিন মাস পর পর। কিন্তু এখন সময়ের অভাবে অনেক জায়গায় যাওয়া হয়না। দুই দিনের ছুটিতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গগায় ঘোরাঘুরি করার সুযোগ হয়েছে। আজকে কিছুটা অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। আমি কয়েকটি পর্ব ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। আজকে প্রথম পর্ব আমি নিম্নে নিচে আলোচনা করা হলো। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে:-
ভাতিজা এবং কাজিনরা মিলে সবাই একসাথে মিলে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। আশেপাশে অনেক সুন্দর জায়গা ছিল। প্রথমে আমরা পুকুর পাড়ে হাঁটতে বের হয়েছিলাম।
এই পুকুরটা অনেক বড় জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। মোটামুটি দুই বিঘা নিয়ে করা হয়েছে। অনেক রকমের মাছ চাষ করা হয়।আমরা যখন যাইতাম এই পুকুর থেকে নিজের হাতে মাছ ধরতাম। অনেক বড় বড় মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। এইবার শীতের কারণে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে জন্য মাছ মারা হয়ে উঠেনি।
কাজিন এর বিয়ের অনুষ্ঠানে জন্য সাজানো হয়েছিল। জায়গাটি সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল। অনেক বড় অনুষ্ঠান ছিল না ছোট পরিসরে হলেও অনেক মজা হয়েছিল।
কাজিন এর বাসাটা একদম ঢাকা রাজশাহী রোড এর একদম পাশেই। পাশে হওয়ার কারণে ঠিক মতো ঘুম পারা যায় না।কারণ এতো বড় বড় গাড়ি যাওয়ার কারণে রাতে মনে হয় আমার উপর দিয়ে চলে যায় গাড়ি গুলো। এতো সাউন্ড যে একটু পর পর ঘুম থেকে জেগে উঠতে হয়েছিল।
কাজিন এর বাসায় বরই গাছ ছিল।বরই গুলো খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু। আমি আবার একটু টক খেতে ভিশন ভালো লাগে।বরইতে ভিটামিন সি–এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।আর নিজের হাতে পেরে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আমাদের বাসায় এখনো বরই গাছ রয়েছে। বাসায় গিয়ে এখন পর্যন্ত আমি গাছে উঠে বরই পারার অভিজ্ঞতা রয়েছে।সেখান থেকে দেখা মাএ উঠে পড়লাম গাছে।আর বরই ধনেপাতা, কাঁচা মরিচে শিলপাটায় ছেঁচে টক বরই ভর্তা খেতে অসাধারণ লাগে।লবণ-মরিচ মেখে কাঁচা–পাকা বরই এমনিতেই খেলে জিবে জল চলে আসে। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পূর্ববর্তী আবারো আসবো দ্বিতীয় পর্বে ইনশাআল্লাহ।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | (https://w3w.co/interference.savviest.delivery) |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
অনেকদিন পর ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছেন রাজশাহীতে দেখেই বেশ ভালো লেগেছে। ছোটকালের এক আসা-যাওয়া কিন্তু বড় হলে সেই আসা-যাওয়া কমে যাই ব্যস্ততার কারণে।বিয়েতে গেছেন সেই সুবাদে অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন।যদি রাস্তার পাশে বাড়ি হয় সেখানে ঘুমানো যায় না এত গাড়ির শব্দ হয়!আপনার গাছ থেকে বরই পাড়া দেখে বরই খেতে ইচ্ছে করতেছে।বেশ ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ছোট বেলায় অনেক যাওয়া হতো কিন্তু এখন সময়ের অভাবে যাওয়া হয়ে উঠছে না। প্রথম অবস্থায় ঘুম আসতো না কিন্তু এখন ঘুম কোন সমস্যা হয়না।
অনেক দিন পরে কাজিনের বিয়েতে গিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলে শুধু আপনি কেনো আমার মনে হয় প্রত্যেকে অনেক দিন বিয়ে খেতে গেলে অনেক মজা করে। আর রাস্তা পাশে বাড়ি হলো একটু তো গাড়ির শব্দ থাকবেই। ধন্যবাদ আপনাকে পরিবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
জি আপু অনেক মজা হয়েছে বিয়েতে গিয়ে। অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে। মেইনরোড পাশে থাকার কারণে একটু বেশি শব্দ হয়েছে।
অনেক দিন পর কাজিনের বিয়েতে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। গাছে উঠে বরই পেরে বানিয়ে খাওয়ার মজাই অন্য রকম। সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশাকরি। সুন্দর মুহুর্ত গুলো দারুন ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
অনেক দিন পর গিয়ে ঘোরাঘুরি করে খুব মজা হয়েছে। অনেক দিন পর বড় ই পাড়ার সুযোগ হয়েছিল। সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আসলে মানুষ ব্যাস্ততার কারনে অনেক কিছু করতে চাইলেও করা হয় না। এই ব্যস্তময় সময়ে ভুলে যেতে হয় আত্নীয়ার সম্পর্ক। যাক অবশেষে ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে সেই আত্নীয় স্বজনদের সাথে দেখা হলো। বেশ । ভালই সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। বিয়ে খেতে যেয়ে দেখি আবার ঘুরেও বেড়াচ্ছেন। খুব সুন্দর করে আপনার অনুভূতি গুলো আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু ব্যস্ততার জন্য অনেক কিছু থেকে বঞ্ছিত হতে হয়।শত কষ্টের মাঝেও আত্বীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা দরকার। আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
ভাইয়া রাজশাহী বিভাগের নাটোরে ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। ছবি গুলোর সাথে বর্ণনা দেওয়ার কারনে বুঝতে সুবিধা হয়েছে। আপনি বরই পারতে বরই গাছে উঠে গেছেন,হি হি হি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।
দুই দিনের ছুটিতে রাজশাহী কাজিন বাসায় গিয়ে বেশ ভালই আনন্দ করেছেন। পুকুরের পাড় কাজিনরা মিলে হেঁটেছেন। পুকুরটি দেখে অনেক বড় মনে হচ্ছে। কিছু কিছু অনুষ্ঠান ছোট করে হলেও ভালই মজা হয়। বড়ই গাছ থেকে নিজেই পেরে বড়ই খাচ্ছেন দেখে ভালো লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাইয়া অনেক মজা হয়েছে। পুকুরটি অনেক বড় এরিয়া নিয়ে বিস্তৃত।
কাজিন এর বিয়েতে গিয়ে দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি।তাদের বাড়িতে চার বছর পর গিয়েছেন এটা জেনে খুবই অবাক হলাম। এখন তো কাজের চাপে কোথাও যাওয়াই যায় না। আপনার কাজিনদের বাড়িতে তো দেখছি অনেক বড় একটি বরই গাছ রয়েছে। আপনি তো দেখছি বড়ই পাড়ার জন্য। অবশেষে তাহলে বরই পেড়ে লবন মরিচ দিয়ে খেলেন। আপনার করা এত সুন্দর ফটোগ্রাফি ও ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ভালোই ছিল তাহলে আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত।
জি ভাইয়া অনেক সুন্দর মূহুর্ত উপভোগ করেছিলাম। আপনার কমেন্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম ভাইয়া। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।