পিৎজা খাওয়ার অনুভূতি
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আমাদের বাসার একদম সামনেই Domino's pizza 🍕 নামের একটি আউটলেট হয়েছে।গত এক সপ্তাহ হলো দেখছি খুব মার্কেটিং করছে বিভিন্ন ভাবে। আশেপাশের জায়গা গুলো দিয়ে লাইটিং করা হয়েছে।সবার চোখে পড়ার মতো একটা রেস্টুরেন্ট। বাসায় যাওয়ার পর বন্ধু ফোন দিল যে আমি তোদের বাসায় আসতেছি। পড়ে আর কাপড় চেঞ্জ করলাম না। কিছু সময় পর বন্ধু চলে আসলো পড়ে দুজন মিলে চলে গেলাম Domino's pizza রেস্টুরেন্টে।
এদের ডেকরেশন সিস্টেম টা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। অনেক বড় জায়গা না হলে সৌন্দর্য কম ছিল না। প্রবেশ করার পর কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম।ছবি উঠার পর কাউন্টারে গিয়ে একটা চিকেন পিৎজা এবং একটা পটেটো ভাজি সাথে একটা কল্ডিনস অর্ডার করে টাকা পেমেন্ট করে চলে আসলাম। কারণ ১০-১৫ মিনিট এর একটা টাইম নিল। বললো যে অর্ডার নাম্বার অনুযায়ী ডাকবো তখন নিয়ে যাবেন। এদের প্রসেস টা সম্পন্ন দেশের বাহিরে সিস্টেম এর মতো মনে হয়েছে। আর আমার খুব বিরক্তিকর একটা জিনিস হলো রেস্টুরেন্টে খাবার এর জন্য অপেক্ষা করা। খুব বাজে লাগে আমার কাছে কেন যেন।দশ মিনিট এর মধ্যে মনে হয় চার থেকে পাঁচবার খোঁজ খবর নিয়েছি যে খাবার রেডি হয়েছি কিনা।
অর্ডার করে অপেক্ষা করতে ছিলাম খাবার জন্য। মনে হচ্ছিল কত সময় ধরে বসে আছি।
অপেক্ষা শেষে আমাদের সিরিয়াল আসলো অতঃপর খাবার চলে আসলো। খাবার গুলো দেখতে বেশ ভালো দেখাচ্ছিল। একটা জিনিস হচ্ছে আমার আগে থেকে পিৎজা খুব একটা পছন্দ না।যতো ভালো পিৎজা খায় কেন যেন ভালো লাগে না তেমন একটা। এদের পিৎজা গুলো একদম লাইভ বানিয়ে দেয় একদম গরম গরম ছিল। আমার কাছে লেগেছে মোটামুটি। আমার বন্ধুর আবার বেশ ভালো লেগেছে। কারণ সে পিৎজা খেতে বরাবরই পছন্দ করে।আর এখন মানুষের খাদ্য অভ্যাস দিন দিন কেমন যেন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। বাহিরের খাবার এর প্রতি আগ্রহ বেশি দেখা যায় সবার। সর্বশেষ খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় চলে আসলাম। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
আসলে পিৎজা খুব লোভনীয় খাবার। পিৎজা খেতে আমরাও ভীষণ ভালো লাগে। পিৎজা খাওয়ার অনুভূতি সত্যি বেশি দুর্দান্ত হয়ে থাকে। আপনি পিৎজা খাওয়ার মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।পিৎজা আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমার খুব পছন্দের না এই খাবার টা।
পিৎজা গুলো খেতে অনেকেই বেশি পছন্দ করে। আপনার বন্ধু আশাতে পিৎজা খেতে গেলেন। দোকানের পরিবেশ মনে হয় অনেক সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বোঝা যাচ্ছে। আসলে এসব দোকানগুলোতে গেলে জিনিসগুলো আসতে অনেক দেরি হয়। এই কারণে আমরাও গেলে বারবার জিজ্ঞেস করি আর কতক্ষণ টাইম লাগবে। তারপরও দুই বন্ধু মিলে খুব মজা করে পিৎজা এবং অন্যান্য খাবার খেলেন। খুব সুন্দর করে অনুভূতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।
ঠিক বলেছেন আপু এই রেস্টুরেন্টে গুলো অর্ডার করার পর রেডি করে এই জন্য অনেক দেরি হয়। আমার কাছে এই অপেক্ষা করাটা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে।পিৎজা আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না।
আপনার পিৎজা খাওয়ার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। এছাড়া রেস্টুরেন্ট দেখতেও খুব ভালো লাগছে। রেস্টুরেন্টের ভিতরে জায়গা কম হলেও তারা খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রেখেছে বলে দেখতে অনেক ভালো লাগছে। এমন রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার পিৎজা দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ এভাবে সুন্দর করে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
জি আপু অনেক সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে।পিৎজা অনেকের কাছে অনেক পছন্দের খাবার। আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো।