আমার সর্বশেষ উৎসবের স্মৃতি || আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -০৪ এ অংশগ্রহণ
উৎসব আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে। বিভিন্ন উৎসবের জন্য আমরা সবসময় মুখিয়ে থাকি এবং উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের জীবনের নানা ঘটনা প্রবাহ আবর্তিত হয়ে থাকে। এইতো মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঈদ উদযাপন করলাম যেটির বর্ণনা দিতে চলেছি।
আমাদের গ্রামে একটি প্রথা রয়েছে যে প্রায় প্রত্যেকেই ঈদের দিনের ফজরের নামাজে অংশগ্রহণ করে। দুর্ভাগ্যবশত রাতে কিছু কাজ থাকায় দেরিতে ঘুমানোতে ফজর নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারিনি পরবর্তীতে ফজরের নামাজ পড়ে দিনটি শুরু হয়। সকাল সকাল ঘুম ভাঙলে দিনটি অন্যরকম লাগে এবং দিনটি খুব ভাল যায়। এরকম পূর্ভাবাস সকালেই পাচ্ছিলাম।
পরিপাটি হয়ে গোসল করা ঈদের নামাজ পড়তে যাই। গত বছরের মতো ঈদের নামাজ মসজিদে পড়তে হলো। গ্রামের ঈদগাহে পড়লে অনেকের সাথে দেখা হয় তারপরও অনেককে একসাথে দেখতে পেয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভালো লাগলো।
এরপরই কুরবানী করার পালা। কুরবানীর পশুর মাংস প্রক্রিয়া করতে করতে দুইটা বেজে গিয়েছিল। এতে খুব ক্লান্ত ছিলাম। ক্লান্তির কারনে বিকেলে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়া হয়নি।
পড়ন্ত বিকেলে বন্ধুদের ফোন আসে কারণ ঈদের দিনের বিকেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা একটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এবারের ঈদে ক্লান্তির কারণে বাজারে যাইনি। পরের দিন গিয়ে সেটা পূরন করেছি। তবে বাসায় পরিবারের সাথে সময়টা অনেক উপভোগ করেছি কারণ সবাইকে নিয়ে খুব মজার সময় কাটিয়েছি। টিভি দেখে এবং খেলা দেখে ভাইয়ের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছি।
এই ঈদটি যদিও অন্যান্য যেকোন বছরের স্মৃতির তুলনায় কিছুটা ভিন্ন কারণ দিনের শুরুতে ফজরের জামাত, বিকেলের বন্ধু আড্ডা ও ঈদগাহে নামায আদায় করা হয়নি। তারপরও দিনটি আনন্দঘন ছিল কারণ সবাই মিলে একসাথে কাজ করেছি এবং দিনটিকে উপভোগ করতে পেরেছি। বছরে দুবার আসা এই আনন্দের ক্ষণ যেন জীবনের এক অনন্য প্রাপ্তি।