অঘোষিত মানুষ বিক্রির হাট।|| Undeclared people are sold at the market.
ছবির অবস্থান :- উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
মানুষ বিক্রির হাট। হয়তো অবাক হচ্ছেন আমার কথা শুনে। সত্যি বলতে ঢাকা শহরে বসবাস করছি অনেক দিন ধরেই আর রোজ সকালেই দেখি কিছু মানুষ একটা জায়গায় জটলা পাকিয়ে বসে আছে কিংবা দাঁড়িয়ে আছে। প্রথম প্রথম না বুঝলেও পরে জানলাম বিভিন্ন কাজের জন্য এখানে মানুষ পাওয়া যায়। ব্যাপারটা আমার কাছে কেমন ঠেকলেও এটাই আমাদের দেশের বাস্তব প্রেক্ষাপট।
আমরা যে যত বাহাদুরি আর আর নিজ দেশের গুন গান করি না কেন আমাদের দারিদ্রতা কমেনি। আপনি হয়তো বলতে পারেন দেশ তো উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, হ্যা সত্যিই তাই। কিন্তু এই উন্নয়নের জোয়ারের সুফল ভোগ করছে শুধুমাত্র এক শ্রেণীর মানুষ, সেখানে নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত কারোর কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই মানুষগুলো হচ্ছে সেই মানুষ যাদের জীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এবং তাদের জীবন দারিদ্র্যতার করাল গ্রাসে জর্জরিত।
ছবির অবস্থান :- উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
একটা দেশ কখন উন্নত হয় জানেন? যখন সেই দেশের মানুষগুলো খেয়ে পরে, মৌলিক অধিকারগুলো পেয়ে থাকে এবং সবশেষে দেশপ্রেম বুকে লালন করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। যে দেশের মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অন্তত এটাকে উন্নত দেশ বলা যায় না।
আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে এক সময় ভরপুর ফসল হতো, সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই, যে হারে বিদুৎ, সার, বীজ এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে তাতে কৃষক আর লাভের মুখ দেখতে পারে না।
ছবির অবস্থান :- উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
গ্রামের সহজ মানুষ পরিবার নিয়ে গ্রামে টিকতে না পেরে নগদ টাকার আসায় পারি জমায় বসবাসের অযোগ্য এই শহরের দিকে। শহরে এসেই কি কাজের দেখা মেলে, না তেমনটা নয়। ঢাকায় এসে তারা হন্যে হয়ে কাজ খুঁজতে থাকে, অবশেষে হাজির হয় অঘোষিত মানুষ বিক্রির হাটে। এখানেই তারা অপেক্ষায় থাকে কেউ হয়তো কোন কাজের জন্য তাকে নিয়ে যাবে। কাজগুলো হয় বিভিন্ন রকম ধরুন কেউ ঘরের জন্য খুঁজছে কাজের লোক, কেউবা দারোয়ান আবার হয়তো কেউ ময়লা পরিষ্কার করার লোক। যাই হোক দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর কেউ হয়তো কোন কাজের জন্য নিয়ে যায় তাদের অথবা বসে থাকতে হয় পরের দিনের আশায়।
ছবির অবস্থান :- উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
আমার কাছে এই মানুষগুলোকে মনে হয় অলরাউন্ডার এবং অকুতোভয় কারন তারা সবধরনের কাজ করতে পারে এবং যেকোন জায়গায় যখন তখন চলে যেতে পারে। তারা কাজকে ভয় পায় না, কিন্তু পেটের খিদেকে ভয় পায়। তারা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে থাকা বাংলাদেশ চায় না, তারা দুবেলা দুমুঠো খাবার চায়।
পরিস্থিতি আজ বড্ড সঙ্গিন
খাবার নেই আমার পেটে
জানি তোমার দুনিয়া রঙিন।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে ভাইয়া আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ বর্তমানে খুবই দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রা মান অনেকটাই কমে গেছে। তাই তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সব ধরনের কাজ করতে প্রস্তুত থাকে। আসলে গরিব মানুষগুলো এক জায়গায় জমাট বেঁধে অপেক্ষায় থাকে যে, কেউ এসে তাদের যে কাজের জন্য নিয়ে যাবে তারা সে কাজেই করতে যাবে। আসলে তাদের উদ্দেশ্য একটাই থাকে সারাদিন কাজ করে যেন তারা দু'মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করতে পারে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানুষ বিক্রির হাট পড়ে সত্যি অবাক হয়েছি।তবে আমার চোখেও এমন দৃশ্য পরেছে কিন্তু ব্যাখাটা আমার জানা ছিল না।আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানলাম।সত্যি ই অবাক হওয়ার মতোই।ডিজিটাল বাংলাদেশ মুখে মুখে বলে লাভ কি, যে দেশের মানুষ পথে -ঘাটে এভাবে বিক্রির আশায় বসে থাকে।
একদম মনের কথা বলেছেন ভাইয়া। দেশ মুখে মুখে উন্নয়ন হয়েছে। বাস্তবে তার ছিটেফোটাও মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবার পায়নি। বিশেষ করে দ্রব্যমূলের এই উর্ধ্বগতিতে সবাই তাল হারিয়ে ফেলেছে তাছাড়া এই লোকগুলোকে দেখলে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। অধীর আগ্রহে বসে থাকে কখন তাকে কেউ কাজের জন্য ডেকে নেবে। কাজ পেলে তো খুব ভালো না পেলে সেই দিনটাই খারাপ যায়। ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।
আসলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। আমিও জানি মানুষ বিক্রির হাট রয়েছে। উন্নয়ন কি বলছেন এটাকে উন্নয়ন বলার চেয়ে অবনতি বলা উচিত। আসলে আমাদের দেশে যারা ধনী ব্যক্তি রয়েছে তাদের চোখে এই সব কিছুই পারে না। তারাই শুধুমাত্র উন্নয়নমূলক দেশ মনে করে। আর ঠিক বলেছেন এই মানুষগুলোর দিকে তাকালে সত্যি তাদেরকেই অলরাউন্ডার মনে হয়। আর এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
জোন খাটা মানুষের সংখ্যা আজ পর্যন্ত আমাদের দেশ থেকে কম হয়নি বরং দ্রব্যমূল্যের এমন হঠাৎ উর্ধ্ব গতির কারণে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে এবং এ জাতীয় মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা হতদরিদ্র আর দিন আনে দিন খায় অনেকে কাজ পাওয়ার আশায় এভাবে দূর-দূরান্ত কোন স্থানে সমাগম হয় কখন কে এসে কাজ করানোর জন্য তাদের কর্মস্থলে নিয়ে যাবে। যারা কাজ পায় না তারা হতাশাগ্রস্ত হয় আর এই সমস্ত বিষয়গুলো খুবই কষ্ট দেয় মন কে। দেশ যখন ডিজিটালের পথে তখন এই সমস্ত মানুষগুলোর সামনে দাঁড়ানোর লোক নেই তাহলে কিভাবে হয় উন্নয়ন।