কিছু বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে তাই পৃথিবীটা সুন্দর। || The world is beautiful because there are some believing people.
বিশ্বাস এই শব্দটা খুব ছোট্ট কিন্তু এর মর্মার্থ এবং মহত্ব অনেক বেশি গভীর। এই বিশ্বাসের আবার দুটো দিক রয়েছে একটি বাস্তবিক এবং আরেকটি আধ্যাত্মিক। আমি আধ্যাত্মিক বিষয়টির দিকে না গিয়ে বাস্তবিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
বিশ্বাস এমন একটি জিনিস যা প্রতিটি মানুষের অন্তরে সৃষ্টিকর্তা খুব সাবলীলভাবে বসিয়ে দিয়েছেন। আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন একটি ছোট্ট শিশুকেও যদি তার বাবা উপরের দিকে শুন্যে ছুঁড়ে দেয়, তখনও সেই বাচ্চাটি আনন্দে হাসতে থাকে। কারণ সে জানে তার বাবা তাকে অবশ্যই কোলে তুলে নিবে এবং সে আঘাত পাবে না। আর সেই বিশ্বাস থেকেই সে পুরো কর্মকান্ড আনন্দের সাথে নিয়ে হাসতে থাকে।
একটি পরিবারের পিতা তার সন্তানদের রেখে খুব ভোর বেলা ঘর থেকে জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে গেছেন। পরিবারের প্রতিটি সদস্য গভীর বিশ্বাসের সাথে অপেক্ষা করতে থাকে তাদের পিতা খাবার নিয়ে সন্ধ্যে হলেই ঠিক বাড়ি ফিরে আসবে। সন্ধ্যা হতেই যখন শ্রমজীবী সেই বাবা চাল, ডাল নিয়ে বাসায় ফেরে, তখন প্রতিটি সদস্যের মুখে একটা অকৃত্রিম হাসি ফুটে ওঠে। সেই হাসিতে বিশ্বাস আর আনন্দ একসাথে ঝরে পরে।
একজন বিদেশগামী পুরুষ তার স্ত্রীর কাছে সমস্ত সম্পদ এবং পরিবার গচ্ছিত রেখে, গভীর বিশ্বাস নিয়ে ছুটে যায় দূর দেশে। সেই মানুষটি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ সেই বিশ্বাসে স্ত্রীর নামে তার একাউন্টে পাঠায়। এখানেও কাজ করে সুখের স্বপ্ন এবং গভীর বিশ্বাস।
একজন মৃত্যু পথ যাত্রী পিতা তার সমস্ত সম্পদ সন্তানদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের দায়িত্ব বড় ছেলের হাতে অর্পিত করে যায়। এখানেও সেই বিশ্বাস জড়িত, মৃত্যুর পূর্বেও মানুষ কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতে চায়।
এখন আমার প্রশ্নটা হচ্ছে আমরা কি আদৌ শেষ পর্যন্ত মানুষগুলোর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারি?
উত্তরটা হয়তো সকলেরই জানা। না এখন আমরা আর আগের মত মানুষকে এতটা বিশ্বাস করতে পারি না এবং মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের বিশ্বাসের অমর্যাদা করে থাকে। এখনকার সময়ে দেখা যায় মা সন্তানদের রেখে অন্য কারো হাত ধরে সুখের স্বপ্ন দেখতে দেখতে হারিয়ে যায়। পিতা সন্তানদের কথা চিন্তা না করে জুয়ার আসরে তার সমস্ত সম্পদ অন্য কাউকে দিয়ে আসে। আবার বিদেশে থাকা স্বামীর কষ্টার্জিত অর্থ স্ত্রী তার নিজের ভোগ বিলাস এবং অপব্যয়ের মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলে। এখানেও স্বামীর বিশ্বাসের অমর্যাদা করে এ সমস্ত কর্মকাণ্ড করা হয়। আপনি হয়তো একজন মানুষকে বিশ্বাস করে কিছু টাকা ধার দিয়েছেন অথচ সেই মানুষটির কাছে এই টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে আপনাকে অনেকটা কাঙালের মত পরিস্থিতিতে পরতে হয়েছে, তাহলে এখানে সেই লোকটি আপনার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারল না।
যাই হোক এত কিছুর পরও আমি মনে করি পৃথিবীতে বিশ্বাসী মানুষ এখনো রয়েছে এবং আমরা মানুষজন স্বভাবতই মানুষকে বিশ্বাস করতে পছন্দ করি। কিছু বিশ্বাসী মানুষ এখনো পৃথিবীতে রয়েছে বিধায় পৃথিবীটা এখনো সুন্দর। তারপরও আমাদেরকে কাউকে বিশ্বাস করতে হলে অবশ্যই আগে তাকে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর যে মানুষটি আপনাকে বিশ্বাস করে তার কোন আমানত আপনার কাছে রেখেছে তাহলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে এবং আমানতের খিয়ানত না করতে। একটি কথা মনে রাখতে হবে বিশ্বাসী ব্যক্তি এবং আমানতের মর্যাদা রক্ষাকারী ব্যক্তি নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তার কাছে উত্তম ব্যক্তি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1782799286323053041?t=VII0kDetolP4bA_C7rxG-w&s=19
আপনি আজকে চমৎকার একটি বিষয়ে পোস্ট লিখেছেন। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আপনি একদম ঠিক বলেছেন এই পৃথিবীতে এখনো কিছু বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে তাই পৃথিবীটা এখনো সুন্দর। তানা হলে পৃথিবীটা অনেক আগেই ধংস হয়ে যেতো। যাই হোক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
একদমই ঠিক বলেছেন বিশ্বাসী মানুষ পৃথিবীতে রয়েছে বিদায় পৃথিবী এত সুন্দর। খারাপ মানুষের মাঝে ও দু একজন ভালো মানুষ রয়েছে। তা না হলে অনেক আগেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতো। আপনার এধরনের জেনারেল রাইটিং পোস্ট গুলো আমি বেশি পছন্দ করি। কারন হচ্ছে আপনার এধরনের পোস্ট গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। অনেকেই রয়েছেন বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে জানেন না। আবার অনেকেই রয়েছেন বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
আমি খুব বেশি মানুষকে বিশ্বাস করি না। তবে যাদের বিশ্বাস করি তাদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। যাইহোক আমি আশাকরি যাদের বিশ্বাস করে এগিয়ে নিতে চাইছি, তারা আমার সাথে থাকবে। বাকিটা উপর ওয়ালার ইচ্ছা 🤞
আপনার লেখা গুলো পড়ে বেশ মনের মধ্যে লেগে গেল ভাইয়া। একদম ঠিক বলছেন আপনার এত সুন্দর অনুভূতি মূলক কথা গুলো আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। পৃথিবীতে যদি বিশ্বাসী মানুষ না থাকতো ভালো মানুষ না থাকতো তাহলে পৃথিবীতে অচিরেই ধ্বংস হয়ে যেত। খারাপ মানুষ যেমন আছে তেমনি ভালো মানুষের বসবাস আছে। কিছু বিশ্বাসঘাতক মানুষ যেমন আছে তেমনি বিশ্বাসী মানুষ রয়েছে। তাই পৃথিবীটা এত সুন্দর, পৃথিবীটা এত রঙ্গিন। তাই এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে।
ধন্যবাদ আপু।
কিছু বিশ্বাসী মানুষ আমাদের আশেপাশে রয়েছে, তবে তাদের খুঁজে বের করে, সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আসলেই ভাই কথা ঠিক যে শেষ পর্যন্ত হয়তোবা আমরা বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস এর মর্যাদা রাখতে পারিনা। আর বিশ্বাস এমন একটা জিনিস যেটা মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অনুভূতি । এটা ছাড়া হয়তোবা মানুষ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারবে না। যাই হোক ভাই আপনার মতামত গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনার প্রত্যেকটা মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই।
ধন্যবাদ ভাই আমার মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য।
শত খারাপের মাঝেও কিছু ভালো মানুষ রয়েছে, তাদের নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে ভাই। শুভ কামনা অবিরাম 🤞
ভাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় কাঙ্গাল বোধ হয় আমিই রয়েছি। যার কারনে নিজের মামাতো ভাইকে ৬ লক্ষ টাকা ধার দিয়ে, আজ অবধি একটি টাকাও তুলতে পারেনি। বিশ্বাস বলতে শুধুই ধোঁকা ভাই। আমি যাকে বিশ্বাস করেছিলাম, সে আমাকে সর্বস্বান্ত করে দিল। বর্তমানে বিশ্বাস কথাটিতে আমার ভীষণ ভয়। তবুও ভাই, পরিশেষে আপনার সাথে সহমত পোষণ করতে চাই, বিশ্বাস আছে বলেই পৃথিবীটা আজও এখনো সুন্দর। যাইহোক ভাই, বিশ্বাস নিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার ব্যাপারটা জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো ভাই।
উপর ওয়ালা আপনার সেই ভাইকে হেদায়েত নসিব করুন। উপর ওয়ালা নিশ্চয়ই একদিন আপনাকে বিপদ মুক্ত করবেন। দোয়া অবিরাম ❤️
আজকে আপনি চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিলেন। এই পোস্ট পড়ে আমি মুগ্ধ হলাম। পৃথিবীতে এখনো ভালো মানুষ আছে বিধায় কিছুই এখনো ধ্বংস হয়নি। পরিবারের সকল সদস্য তার বাবার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন এই বুঝি তার বাবা চাল, ডাল নিয়ে আসলো। এবং আসার ফলে তাদের মুখে অনেক হাসি ফোটে। ভালো এবং বিশ্বাসী মানুষের জন্য এই দুনিয়া এখনো টিকে আছে। এবং আমরা শান্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছি। আপনার প্রতিটি পোস্ট করে অনেক কিছু শিখতে পারি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
আমার পোস্ট পড়ে কিছু ব্যাপার অনুধাবন করতে পেরেছো জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
ব্যাপারগুলো মাথায় রেখো।
আসলে ভাই সবার মন মানসিকতা তো আর একরকম হয় না। হয়তো কিছু বিশ্বাসঘাতক লোকের জন্য মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে ভয় পায়। তবে এখনো বিশ্বস্ত লোক আছে এই জন্যই পৃথিবী টাকে আছে। তবে এই পোষ্টের টাকা ধার দেওয়ার বিষয় নিয়ে যে কথাগুলো লিখেছেন তার সাথে আমি একমত।
একে অপরের প্রতি প্রত্যেকটা মানুষের উচিত বিশ্বাস রাখা। বিশেষ করে বাবা মায়ের প্রতি বিশ্বাস তো আমাদের থাকে। কিন্তু আমরা সেই বিশ্বাসটা বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারি না। বাবা-মায়ের বৃদ্ধ বয়সে খুবই কম সন্তান তাদের পাশে থাকে। বিশ্বাস নিয়ে আপনি যে উদাহরণগুলো দিয়েছেন এগুলো একেবারে সত্যি এবং বাস্তবতার সাথে সম্পূর্ণ মিল। যার কারণে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা। বিশ্বাসের মর্যাদা রাখা সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয়। আর কিছু কিছু মানুষের প্রতি বিশ্বাসটা আছে বলে আসলেই পৃথিবীটা এখনো পর্যন্ত এত সুন্দর রয়েছে।