গল্প: নরখাদক আলভিন (পর্ব -০৩) || Story: Alvin the Cannibal (Episode-03)

গল্প: নরখাদক আলভিন (পর্ব -০৩)

_{^{ছবিটি পিক্সাবে থেকে নিয়ে কেনভা দ্বারা তৈরি}}

প্রথম পর্ব এখানে	দ্বিতীয় পর্ব এখানে

আলভিনকে রক্তের নেশায় পেয়েছে। জুলিয়াকে ডাকাতদল মেরে ফেলার পর সে এখন আর মানুষ নেই। সমস্ত ডাকাতদের রক্ত পান করার পর সে কামড়ে মাংস খেতে শুরু করেছে। বেশ কিছুটা সময় পর সে পাগলের মতো জঙ্গলের দিকে ছুটতে থাকে রাতের অন্ধকারে। হঠাৎ করেই তার শরীরের রক্তের গন্ধে একটি কুকুর তাকে তাড়া করতে থাকে, এদিকে সে ছুটতে ছুটতে এক ভাঙ্গা পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অবাক করা ব্যাপার বাড়িটিতে অনেক আসবাবপত্র রয়েছে কিন্তু সবকিছু ময়লা এবং পুরনো। পরিত্যক্ত বাড়িতে প্রবেশ করেই সে দরজা লাগিয়ে দিয়েছে কিন্তু কিভাবে যেন কুকুরটি বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেছে, মনে হয় এ বাড়ির সবকিছু তার চেনা। এবার কুকুরটি ঝাঁপিয়ে পড়েছে তার শরীরের উপর, অবাক করা ব্যাপার না সে কামড়াচ্ছে না। সে আলভিনের শরীরের থাকা রক্ত চেটে পরিস্কার করে দিচ্ছে, হঠাৎ করেই আলভিনের ভালো লাগে কুকুরটিকে।

আলভিনের কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া সবকিছু মনে হতে থাকে সে ভীষণ কষ্টে নিজের মাঝেই কাঁদতে থাকে। কুকুরটি তার পাশেই মাথা নুইয়ে পরে থাকে। কিছুক্ষণ পর পর সে আলভিনের গায়ের সাথে ঘষা দিতে থাকে অনেকটা আদুরে ভঙ্গিতে কিন্তু আলভিনের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে মাথা নুইয়ে বসে থাকে।

এদিকে জনারধন প্রতিদিনের মতো সকালে উঠে আগে মেয়ে জুলিয়াকে ফোন করে খোঁজখবর নেয়ার জন্য। কিন্তু রাতে ডাকাত দল আগেই টেলিফোন সংযোগ কেটে দেয়াতে জনারধন তাকে ফোনে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পরে গেলো। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে ছুটে যায় আলভিনের বাড়িতে। সে বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই দরজা খোলা দেখতে পায় এবং ভেতরে প্রবেশ করেই বলতে থাকে হায় ঈশ্বর। আমি এ কি দেখছি? সে রিতিমত ভয় পেয়ে যায়, ওখানে কি ঘটেছে কিছুই বুঝতে পারে না। মাটিতে চারটা মানুষের ক্ষত বিক্ষত লাশ পরে আছে আর তাদের শরীরের মাংস কেউ খুবলে খেয়েছে মনে হয়। সে পাশ কাটিয়ে জুলিয়ার ঘরের দিকে দৌড়ে যায়। নিজের সন্তানের বিবস্ত্র লাশ হয়ে পরে থাকতে দেখে জনারধনের জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা। তাড়াতাড়ি বিছানার চাদর জড়িয়ে নিয়ে মেয়ের লাশের পাশে আর্তনাদ করতে থাকে। হঠাৎ তার মাথায় এলো হয়তো ডাকাত এখানে আক্রমন করেছে, কিন্তু আলভিন কোথায়? পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও আলভিনকে পাওয়া যায়নি। তখন জনারধন খেয়াল করলো লাশের পাশ থেকে রক্ত মাখা পায়ের ছাপ সদর দরজার কাছে গিয়ে শেষ হয়েছে। তার মানে কি আলভিন এদের এই অবস্থা করেছে?

না এখন তার এগুলো চিন্তা করার সময় নেই কারন আদুরে মেয়ে জুলিয়া লাশ হয়ে পরে রয়েছে। সে সাথে সাথেই তার পুলিশ ফোর্স খবর দেয়। কিছু সময়ের মধ্যেই তারা লাশগুলো মর্গে পাঠিয়ে দেয়। জনারধন পোস্ট মর্টাম রিপোর্ট হাতে পেয়ে রীতিমত আঁতকে উঠেছেন, চারজন ডাকাত পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে তার সন্তানকে। ডাকাতদের রিপোর্ট হাতে পেয়ে তার সবকিছুই পরিষ্কার হতে থাকে তাদের এরকম অবস্থা তাহলে আলভিন করেছে। তাহলে কি আলভিন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নরখাদকে পরিণত হয়েছে? জনারধন বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। সে তার নিজের সন্তানের মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী করতে থাকে কারন সে যদি আলভিনের ভালোর কথা চিন্তা করে, তার সাথে জুলিয়ার বিয়ে না দিতো তাহলে হয়তো আজ তার এই পরিণতি হতো না।

জুলিয়ার লাশের সৎকার করার পর জনারধন এবার নরখাদক আলভিনকে খুঁজতে জঙ্গলের দিকে যেতে থাকে তার পুলিশ ফোর্স নিয়ে।

_{^{"চলবে"}}

---

---

---

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

https://steemitwallet.com/~witnesses

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy