সুস্থ থাকাটা জরুরি। ||Staying healthy is important.
সময় বলুন আর আবহাওয়া বলুন, কোনটাই এখন ভালো নয়। প্রতিনিয়ত রোগের প্রকোপ বেড়ে চলেছে, আর তার সাথে বেড়ে চলেছে ঔষধসহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। আমরা অনেক চেষ্টা করেও সুস্থ কিংবা হাসিখুশি থাকতে পারছিনা। মনে হচ্ছে যেন বিপদের কালো ছায়া মাথার উপর সদা বিরাজমান।
এই সময়টাতে সুস্থ থাকাটা অনেক বড় ব্যাপার।
এখন সুস্থতা বলতে আমরা কি বুঝি?
সুস্থতা হলো শারীরিক এমন একটি অবস্থা যখন আপনি সতেজ এবং সবল বোধ করবেন। এই সুস্থতা আবার দু প্রকার শারীরিক এবং মানসিক। শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে আবহাওয়া, খাবারদাবার এবং বার্ধক্য মূলত আলোচ্য বিষয়। তবে দীর্ঘদিন শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভাবনা থাকে। ধরুন আপনি অনেক দীর্ঘদিন থেকে কোন রোগের কারণে বিছানায় পরে আছেন, দেখবেন আপনি মানসিকভাবে ভেঙে পরবেন।
আর মানসিক সুস্থতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক মানুষের আচরণ এবং আর্থিক অক্ষমতার থেকে সৃষ্ট কারন গুলোর উপর নির্ভর করে। দুশ্চিন্তা এমন একটি দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক রোগ যা জটিল থেকে জটিলতর রোগের জন্ম দেয়। যাইহোক এগুলো হয়তো একটু চেষ্টা করলেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়াগত পরিবর্তন কিংবা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করা বেশ কঠিন।
গত কিছুদিন ধরে পত্রপত্রিকা এবং মিডিয়াতে শোনা যাচ্ছে চতুর্দিকে মানুষ জ্বর সর্দি কাশিসহ বিভিন্ন আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু চিকিৎসক এটাকে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বলছেন, যা পরিবারের একজন সদস্যের হলে পুরো পরিবারের সকলের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পুরো পরিবারের সবাই জ্বর সর্দি কাশি এবং গলাব্যথায় ভুগছেন।
এখনকার আবহাওয়া এমন যে আপনি বুঝতেই পারবেন না কখন আপনার গরম লাগছে আর কখন ঠান্ডা লাগছে। ধরুন আপনি রাতে ঘুমানোর সময় সামান্য গরম বোধ করে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে ঘুমিয়ে গেলেন, দেখবেন সকালে সর্দি লেগে গেছে আর সাথে গলা ব্যাথা শুরু হয়েছে। আর বিকেল গড়াতে না গড়াতেই জ্বর এসে গেছে।
কি করবেন আপনি এই পরিস্থিতিতে?
আসলে আমাদের নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে সুস্থ থাকার। প্রচুর ফলমূল এবং শাকসবজি খেতে হবে যাতে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর ঠান্ডা আর বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। গলা ব্যাথা থাকলে গরম পানি খেতে হবে এবং অবশ্যই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
আর পরিবারের একজন অসুস্থ হলে তার সেবা করতে হবে এবং তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে হবে।
ইনশাআল্লাহ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সমস্ত রোগ শোক কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো আমরা।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ঠিকই বলেছেন ভাই।আবহাওয়ার কারনে শারিরীক ভাবে অসুস্থতা, এদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে মানসিক অশান্তি।সব মিলিয়ে জীবন নাজেহাল। ধন্যবাদ ভাইয়া সচেতনতা মূলক পোস্টটি লেখার জন্য।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1764360503890149668?t=yOopkbpH2mbwExZtMUV7hQ&s=19
দিন যত যাচ্ছে আবহওয়ার বিরুপ প্রভাব মানুষকে অসুস্থ করে ফেলছে। যদিও এর জন্য আমরাই দায়ী। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে অসুস্থ সবাই কম বেশি হয়। আমিও কয়েকদিন ঠাণ্ডা জোরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। এখন মোটামুটি সুস্থ। আবার মানসিক টেনশন যেটা শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ করে ফেলে। বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তবুও নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে যতটা সম্ভব অনেক ভালো আলোচনা করেছেন।
সুস্থতা হচ্ছে আল্লাহর দেয়া সেষ্ট নিয়ামত। আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ফলমুল এবং শাকসবজি বেশি বেশি খেতে হবে। এতে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি করবে তেমনি শরীর ও চাঙ্গা থাকবে। আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
সত্যি ই ভাইয়া সুস্থ থাকাটা খুব জরুরী।পরিবারের একজন অসুস্থ হলেও সকলেরই দুশ্চিন্তা দেখা দেয়।নতুন ভাইরাস আরও কতো কি আসবে।সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের সব সময়ের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।তবে যেকোনো কিছুই আসুক না কেন কোন কিছুই আমাদের কাবু করতে পারবে না।
প্রথমেই সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। শারীরিক এবং মানসিক দিক চিন্তা করে বলতে গেলে বেশিরভাগ মানুষ ভালো নেই। তবে আমাদের উচিত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য টাটকা ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি খাওয়া। সুস্থতা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় নেয়ামত। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। ঠিক বলেছেন আবহাওয়া চেন্স হচ্ছে আর বিভিন্ন ধরণের রোগ দেখা দিচ্ছে। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই এখনকার আবহাওয়া বোঝা বড় মুশকিল। দিনের বেলায় গরম লাগে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শীত শুরু হয়ে যায়। সেজন্যই তো মানুষ অসুস্থ বেশি হচ্ছে। আসলে সুস্থতা দুই ধরনের শারীরিক সুস্থতা আর মানসিক সুস্থতা। আমাদের যে কোন একটা দুর্বল হলে জীবনের চলার পথে অনেক বাধা চলে আসে কোন কিছুর করতে ভালো লাগেনা।
হ্যাঁ সুস্থ থাকা বলতে শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক দিয়েই সুস্থ থাকতে হবে তাহলে জীবনটা পরিপূর্ণ মনে হবে। আর হ্যাঁ বর্তমান আবহাওয়ার সাথে নিজেকে সুস্থ রাখা একটু কষ্টই কারণ কখনো হঠাৎ করেই গরম আবার হঠাৎ করেই শীত। তাই ঠান্ডা কাশি সহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক।
আসলেই বর্তমান সময় প্রায় অনেকেই অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে এটা হতে পারে আবহাওয়া জনিত কারণে। তবে পরিবারের এক সদস্যের এরকম কোন সমস্যা হলে অন্যজনেরও এমন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবসময় সতর্ক থাকা উচিত বলে আমি মনে করি আপনি যে সতর্কতা গুলো অবলম্বন করতে বলেছেন আমি মনে করি এগুলো যথেষ্ট। যথেষ্ট পরিমাণ শাকসবজি ফলমূল খাওয়া উচিত সেই সাথে আবহাওয়া বা পরিবেশটা কেমন সেটা ভেবে আমাদের চলা উচিত। দিনশেষ আমাদের সুস্থ থাকাটাই মুখ্য বিষয়। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।