জেনারেল রাইটিং: আত্মিক সম্পর্ক। || spiritual relationship.

জেনারেল রাইটিং: আত্মিক সম্পর্ক

_{^{সংগ্রহশালা}}

আত্মিক সম্পর্ক বলতে বোঝায় কারোর সাথে আত্মার সম্পর্ক। পৃথিবীর সবথেকে গভীর সম্পর্ক হলো আত্মিক সম্পর্ক। এটা হতে পারে পিতা-কন্যার সম্পর্ক, পিতা ছেলের সম্পর্ক, মাতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক কিংবা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আবার মানুষের সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক। সম্পর্কগুলো আছে বলেই আমরা বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা আর সাহস পাই। আমাদের পরিবার আমাদের আগলে রাখে এবং সকল বিপদ থেকে রক্ষা করতে থাকে। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ বিয়ে করার পর অন্য একটি মেয়ের দায়িত্ব নেয় বিশ্বাস এবং ভালোবেসে। কিছুদিন যেতে না যেতেই সেখানে শুরু হয়ে যায় দেনা পাওনার টানাপোড়েন। কিছু কিছু পরিবারের ক্ষেত্রে সম্পর্কের থেকে চাহিদার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পায়, ফলস্রুতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা অহরহ দেখা যায়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সংসার টিকলেও সেখানে অশান্তি বাসা বাঁধে এবং জীবন নরকময় হয়ে ওঠে।

এবার আসি সন্তানদের বিষয়ে আপনি হয়তো শুনে থাকবেন বাবা সন্তানদের এতটাই শিক্ষিত করেছেন যে শেষ বয়সে তাকে আর দেখার কেউ থাকে না। নিজে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর শেষ প্রহর গুনছে, যেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর সন্তান হয়তো তার বাবার লাশটা হয়তো দেখতে পাবে না। অথচ এই সন্তানদের মানুষ করতে কত অবর্ননীয় কষ্ট করেছে তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করে শেষ করা যাবেনা কিন্তু শেষ বয়সে একজন পিতা হিসেবে কি পেলেন। আবার বর্তমান সময়ে ছেলে বিয়ে দেয়ার পর মনে হয় যেন ঘরে একজন প্রতিপক্ষ আনা হয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন ছলচাতুরী করে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে নিজে কিভাবে একা থাকা যায় সেই পায়তারা করতে থাকে। দেখা যায় ছোট খাটো বিষয় নিয়ে শুরু হয়ে যায় সম্পর্কের টানাপোড়েন। একসময় বাধ্য হয়ে পরিবারটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে।

একটি পরিবারের ভাইয়েরা সবাই মিলে সুখি জীবনযাপন করছে, দেখা যায় বড় ভাই সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে পরিবার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ছোটভাই বোনদের নিজে পড়াশোনা না করে তাদের শিক্ষিত করে তুলেছে। একটা সময় ভাইয়েরা এতোটাই শিক্ষিত হয়ে যায় সেই পিতৃতুল্য বড়ভাইকে মূর্খ বলে সম্বোধন করা হয়। একটা সময় কষ্টে গড়া পরিবারের সম্পর্ক চূর্ন বিচূর্ণ হয়ে যায়। মূর্খ বড় ভাই আজীবনের জন্য মূর্খের খেতাব পেয়ে যায়।

একটা সময় ছোটরা দাদা দাদীর পরম যত্নে তাদের শৈশব কাল কাটাতো কিন্তু যুগের আধুনিকতায় এখন আর সম্ভব হয় না কারন সম্পর্ক গুলো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এখন বাচ্চারা মানুষ হয় মোবাইল নামক যন্ত্রের রঙিন দুনিয়ার সাথে। আগের দিনে মানুষের সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক ছিল যা এখনকার যুগে তার ছিটে ফোঁটাও লক্ষ্য করা যায় না। তাহলে কি আমরা সত্যিই সেই আত্মিক সম্পর্ক গুলো হারিয়ে ফেলেছি?

---

---

---

---

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

https://steemitwallet.com/~witnesses

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}