স্বরচিত কবিতা :) মেহনতি মানুষ। || Own poetry:) hardworking people.
আজ পহেলা মে এবং মে দিবস। অপরদিকে এটাকে শ্রমিক আন্দোলন দিবস হিসেবেও পালন করে থাকে অনেক শ্রমজীবী সংঘটন। আসলে এই মে দিবস স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি আশাকরি সবাই জানেন, সেদিকে না গিয়ে মূল বিষয়ে ফিরে আসি।
আমাদের বাংলাদেশে আমরা শ্রমজীবী মানুষকে আসলে কতটুকু মূল্যায়ন করি? উত্তরটা হয়তো বিভিন্ন রকম হতে পারে, তবে আমি মনে করি তাঁরা তাঁদের যোগ্য মূল্যায়ন পায় না। আমি নিজেও একজন শ্রমজীবী মানুষ কারন ঘাম জড়িয়ে পরিবারের জন্য দুমুঠো খাবারের ব্যাবস্থা করি। যদিও আমার কাজের ধরন আলাদা তবুও শ্রমজীবী মানুষের কাতারে নিজেকে ভাবতে ভালো লাগে।
আমার চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত এমন সব মানুষ দেখি যারা দিনরাত পরিশ্রম করেও ঠিকভাবে পরিবারকে খাবার দিতে পারে না, সেখানে অন্যান্য মৌলিক চাহিদা বিলাসিতা হয়ে যায়।
কিছু পাতি বড়লোক, কিছু বিদ্যা দিয়ে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়ে যখন সুউচ্চ দালান বানায়। তখন এদের চোখ আর মাটিতে পরে না, রঙিন নেশায় ডুবে থাকা এই মানুষগুলো মেহনতি মানুষকে যোগ্য পারিশ্রমিক না দিয়ে আর কষ্টের জ্বালা বাড়িয়ে দেয়। এদের কাছে রক্ত আর ঘামের কোন মূল্য নেই, শুধুমাত্র টাকার লালসায় সবকিছু নিজেরাই ভোগ করতে চায়। হয়তো কোন একদিন এই মানুষগুলোকে বিধাতা উপযুক্ত শাস্তি দেবেন। তবে আমাদের উচিত সবাইকে সম্মান দেয়া এবং যোগ্য পারিশ্রমিকের ব্যাবস্থা করা।
ঘামের গন্ধে দুর দুর করো।
জানো এই ঘামের দাম কতখানি?
তোমার খাবার জোটাতে আমি টানি ঘানি ।
ঘুম ভেঙ্গেছে সে কত আগে।
যেতে হবে সেই বড় দালানের যোগালীর কামে
মিনিট দশেক দেরি হলে বাবু চোখ রাঙাবে।
চলে টিকে থাকার লড়াই।
জীবনের হিসেব বড্ড জটিল
গরিব বলে বড়লোক ডাকে বালাই।
আমি ঘাম আর রক্তে গড়ি,
তোমার অবৈধ টাকার ছড়াছড়ি,
দিয়েছো আমায় কিঞ্চিৎ কানাকড়ি।
গড়েছি আমার হাতে পাইনি সম্মান।
বিদ্যার দৌড় নাম লিখায় ইতি
বই পড়ে তোমরা বাড়িয়েছো সুখ্যাতি।
গায়ের জামা ছিঁড়ে যেন ফানা ফানা।
এসির হাওয়ায় খুঁজে নাও শীতলতা
আমি অধম গরমে তেষ্টায় মনে হয় টিকবো না।
আমার পেটের খিদে কমেনা বাড়ায় যাতনা।
দুমুঠো খাবারের বেড়েছে অনেক দাম
বাড়েনি পারিশ্রমিক ঘাম আর রক্তের আখ্যান।
কবিতাটিতে শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যদি ভালো লাগে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন আশাকরি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1785739108054413739?t=r6AU84BFUNlApdbHd6simg&s=19
মে দিবস উপলক্ষে দারুন একটি কবিতা উপহার দিলেন। শ্রমিকরা তাদের সঠিক পরিশ্রমিক না পাওয়ায় আন্দোলন করে। আমি নিজেও একজন শ্রমিক। সব সময় ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়ার দাবি জানাই। আপনার কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার এই কবিতার মাধ্যমে শ্রমিকের সমস্ত জীবনের কাহিনী তুলে ধরলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ তোমাকে আমার কবিতাটি পড়ার জন্য।
আসলে কবিতা লিখার ক্ষেত্রে আগে অনুভূতি বা চিন্তা শক্তিকে সবথেকে বেশি কাজে লাগাতে হয়।
আসলে এই সমাজে অনেক টাকা ওয়ালা আছে যারা শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে ন্যায্য মূল্য দিতে চাই না। আপনি ঠিক বলেছেন এদের কাছে ঘাম এবং রক্তের কোনো মুল্য নেই। যাই হোক আপনি মে দিবস উপলক্ষে চমৎকার একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কবিতার মাঝে শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ বাস্তব কিছু কথা কবিতার মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকবেন।
তুমি আমার কবিতা পড়েছো দেখে ভালো লাগলো।
নিজের মতো করে কবিতাটি উপস্থাপন করেছি।
কবিতার মাধ্যমে চরম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন হ্যাঁ আমাদের সমাজের মানুষ অনেকটা এরকমই। যারা পরিশ্রম করে তাদেরকে দেখতে পারে না, যারা চুরি করে রাতারাতি বড়লোক হয় তাদেরকে বেশি প্রাধান্য দেয়। লাইনগুলো বেশ ভালো লেগেছে ভাই শুভকামনা রইল।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা গরিব আর খেটে খাওয়া মানুষের মূ্ল্য দিতে জানে না। তারা পয়সা ওয়ালা লোক খোঁজে শুধু।
আপনার কবিতা মানেই হচ্ছে ভিন্ন কিছু আয়োজন। মেহনতি মানুষ নিয়ে লেখা কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমিও একজন শ্রমিক জীবিকার তাগিদে কাজ করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে দিনশেষে আমরা সাধারণ শ্রমিকরা সেভাবে নিজেকে পারিশ্রমিক পাই না। আপনার কবিতার লাইন গুলো হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। চমৎকার একটি কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গতকাল একটা নিউজ দেখেছিলাম। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রমিক দিবস হিসেবে ছুটি নিয়েছে শিক্ষক অধ্যাপক, এরা। অথচ ছুটি পাইনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কর্মচারী শ্রমিক রা। এই তো হলো অবস্থা ভাই। কার জন্য কী বলেন।
কবিতা টা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। সাধারণ শ্রমিক সাধারণ মানুষের কথা এতো সুন্দরভাবে কবিতা তার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন কী বলব। চমৎকার লিখেছেন কবিতা টা ভাই।
বাংলাদেশে সব সম্ভব। এখানে সৃষ্টিকর্তা কখন কোন গজব নাজিল করেন তা বোঝা যাচ্ছে না। কারন মানুষ সীমা লংঘন করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে বরাবরের মতো আমার কবিতার প্রশংসা করার জন্য।
ভালো থেকো।