ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন || Our tour at Dream world park 🏞️
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কিছুদিন আগে আমরা ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন করেছিলাম, ইতিমধ্যে এটা নিয়ে বেশ কয়েকটি পর্ব লিখেছি। যাইহোক পার্কটি আমাদের খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে সেখানে যেতে তেমন বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তাছাড়াও জায়গাটা ছিমছাম এবং সুন্দর। বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না ভেতরটা কতটা সুন্দর।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
পার্কের ভেতরে ঢেঁকি থাকতে পারে আমরা ভাবতেই পারিনি। হঠাৎ যেন এক টুকরো গ্রামের ছোঁয়া পেলাম। আমার ছেলে মেয়েরা ঢেঁকি দেখে আনন্দে আত্মহারা অবস্থা। বেশ কিছু সময় তাদের ঢেঁকি দেখার সুযোগ করে দিলাম। এখনতো এগুলো দেখাই যায় না।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর খুব চমৎকার হলুদ রঙের ফুল দেখতে পেলাম। ইলমা বেশ কয়েকটি ফুল ছিঁড়ে হাতে নিয়েছে। যদিও বারন করেছিলাম কিন্তু সে কথা শুনলো না।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এবার তিন বান্ধবী একত্রে ছবি তুলেছে ঠিক পার্কের মাঝ বরাবর একটা জায়গায়। জায়গাটা একেতো ভীষণ সুন্দর আর তিনজনকে একসাথে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছিল।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর লাভ আকৃতির একটা জায়গা দেখতে পেলাম। কেমন যেন ঘাস লতাপাতা দিয়ে এটা ঘিরে রাখা হয়েছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর বাচ্চাদের ছেড়ে দিলাম আনন্দ করার জন্য। একটা গোল চড়কির মতো ছিল। এই জিনিসটাতে চড়ে ওরা বেশ আনন্দ পেয়েছে।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবো।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন এর বেশ কয়েকটা পর্ব আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখা হয়েছে। অনেক দিন পরে আমিও ঢেঁকি দেখলাম। লাভ আকৃতির জায়গাটা ও দেখতে অসাধারন লাগতেছে। সবাই মিলে একসাথে বসে আনন্দ করেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ছোট দের খুশি দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
এই ধরনের পার্ক গুলোতে ঘুরতে এবং সময় কাটাতে বাচ্চারা সবথেকে বেশি পছন্দ করে। আমি মনে করি বাচ্চাদেরকে নিয়ে কয়েক দিন পর পর এইরকম পার্ক গুলোতে যাওয়া ভালো। এর ফলে বাচ্চারা অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারবে, আর তাদের মন মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে। আপনার মেয়ে তো দেখছি সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছে তার বান্ধবীদের সাথে পার্কে। পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
পার্কটাতে তো দেখছি বেশ সুন্দর এবং নিরিবিলি পরিবেশ আছে। বাচ্চারা তো বেশ আনন্দ করেছে। সবাইকে হাসি খুশি দেখাচ্ছে। দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সবুজ প্রকৃতির ছোঁয়া রয়েছে। এখন তো ঢেঁকি দেখা যায় না। বাচ্চারা এই জিনিসটা দেখে বেশ ইনজয় করেছে নিশ্চয়ই। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক দেখতে অনেক সুন্দর এবং নিরিবিলি পরিবেশ। বেশ কিছু পর্ব ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাঝেমধ্যে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গেলে মন মানসিকতা ভালো থাকে, তাছাড়া ইলমা ও তিন বান্ধবী একত্রে আনন্দ করার মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো। পার্কের ভেতরে ঢেঁকি দেখে খুবই ভালো লাগলো, পার্কের ভেতরের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর গেলেছে ভাই। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক টা অনেক সুন্দর নিশ্চয়ই। আমার কাছে তো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেই খুব ভালো লেগেছে। এই পার্কে ভ্রমণ করতে গিয়ে সবাই অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। আপনার মেয়েকে দেখেই অনেক খুশি খুশি মনে হচ্ছে। আসলে বাচ্চারা পার্কে গেলে তো আনন্দিত হবেই। কারণ তারা পার্কে গিয়ে ঘুরতেই বেশী পছন্দ করে। বিশেষ করে নানারকম রাইডে চড়তে একটু বেশি ভালোবাসে।