ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন:) পর্ব -৩। || Our tour at Dream world park 🏞️
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে আবারো একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আসলে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হলে বিনোদন প্রয়োজন আর এই বিনোদন আমাদের বেঁচে থাকার আনন্দ যোগায়। আমরা যখন বিভিন্ন ঝামেলা মধ্যে পরে যাই আর ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পরি তখন কিছুটা বিনোদন আমাদের আবারো আমাদের মানসিকতা চাঙ্গা করে তুলতে সহায়তা করে। এখনকার সময়ে আমি কিছুটা ফুসরত পেলেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পরি, বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে।
আমাদের পাশেই রয়েছে ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক সেদিন কিছুটা সময় পেয়ে পরিবার নিয়ে ছুটে গেলাম ওদের একটু আনন্দের জন্য। সবথেকে বড় বিষয় ওরা পুরো সময়টা ভীষণ আনন্দ করেছে। আর ইলমার দুই বান্ধবী সাথে থাকায় ভ্রমনটা বেশি আনন্দের হয়েছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
পার্কের ভেতরে যতটা প্রবেশ করছিলাম, ততটাই নজর কাড়া সৌন্দর্য চোখে পরছিল। চমৎকার দেখতে সাদা পরিটা আমার মেয়ে ইলমা ভীষণ পছন্দ করেছিল।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এই ভাস্কর্যটি অদ্ভুত সুন্দর। মাটির নিচ থেকে কেউ হাত বাড়িয়ে সাহায্য প্রার্থনা করছে। একটু ভয় লাগে আবার মুগ্ধতার চোখে তাকিয়ে রইলাম। আপনাদের কেমন লাগলো এটা আশাকরি জানাবেন।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
কেউ দুহাত তুলে গাছের বরদান দিচ্ছে, মানে প্রকৃতি হয়তো সবুজ বনানী উপহার দিচ্ছে। ছবিটা দেখতে যতটা সহজ মনে হয়, এটার গভীরতা কিন্তু অনেক।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
মাথা মোটা কিংবা বুদ্ধিহীন মানুষ। এরা নিজেই নিজের এবং সমাজের বোঝা। এখানে সেটাই বোঝানো হয়েছে যারা মাথামোটা আর বুদ্ধিহীন তাদের আজীবন এভাবেই ভার বহন করতে হবে। ভাস্কর্যটা জাষ্ট অসাধারণ এবং অনেক বড় কিছু শিক্ষা দেয়।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এটা আরো দারুন একটা ভাস্কর্য যা খুব দারুন টেকনিকে গাছের উপর ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। একজন গাছি গাছে উঠছে এবং খেজুরের রস সংগ্রহ করছে। বলুনতো এই চমৎকার দৃশ্যটি দেখে আপনাদের কেমন লাগছে?
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
মাশরুম বা ব্যাঙের ছাতা। আসলে মানুষ চাইলেই অনেক কিছু তৈরি করতে পারে। এখানে খুব চমৎকার কিছু মাশরুম তৈরি করা হয়েছে, যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ভেতরে অনেক বড় একটা জলাধার রয়েছে যা ভেতরের পরিবেশ ঠান্ডা রেখেছে এবং সৌন্দর্যবর্ধন করেছে। আর খুব চমৎকার একটা কাঠের ব্রিজ রয়েছে। আমি এটার উপর উঠে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম কিন্তু ছবিগুলো সুন্দর না আসায় শেয়ার করলাম না। 😄
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
দুটো সাদা পরি দোলনায় দোল খাচ্ছে। আর তাদের মুখে অনাবিল আনন্দের হাসি ছড়িয়ে পরছে। তাদের এই আনন্দের জন্য আমাদের এতো সব আয়োজন।
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সামনের পর্বটা আরো দারুন হবে, আশাকরি সাথেই থাকবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1810371365805109306?t=ocLQofgAlC0tocwwHCn0VA&s=19
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্কের ভাস্কর্যগুলো অনেক তথ্য আমাদেরকে দেয়। এ পার্কটি অসাধারণ একটি জায়গা। প্রতিটি ভাস্কর্য কোননা কোন অর্থ প্রকাশ করতেছে। আপনি আপনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে দারুন ভাবে বিষয়গুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আজকের পোস্টটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন করতে গিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ভিন্ন ধরনের কিছু ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। প্রতিটি ভাস্কর্য মাঝে বিভিন্ন ধরণের গল্প লুকিয়ে আছে। ঠিক বলেছেন মাথা মোটা এবং বুদ্ধিহীন মানুষ সমাজের বোঝা। সাদা পরিদের দেখতে অনেক কিউট লাগতেছে। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। আমাদের কে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইল।
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন পর্ব -৩ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলছেন ভাই সুস্থ এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হলে বিনোদন প্রয়োজন। আপনি ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক ভ্রমন করেছেন এবং চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। পার্কের ভাস্কর্যগুলো অনেক সুন্দর। বিশেষ করে দুহাত তুলে গাছের বরদান এর ভাস্কর্য ভীষণ ভালো লেগেছে।তাছাড়াও ভ্রমন করে ইলমা দুই বান্ধবীর সাথে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে দেখেও খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভ্রমন অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।