ময়মনসিংহ মিনি চিড়িয়াখানা ভ্রমণ (প্রথম পর্ব) || Mymensingh Mini Zoo Tour with Family.
(প্রথম পর্ব) |
---|
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত কিছুদিন আগে আমি সপরিবারে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম এবং বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে বেড়িয়েছি। আসলে বাচ্চাদের নিয়ে একটু ঘুরে বেড়াতে পারলে আসলে তাদের মানসিক দিকটা প্রফুল্ল থাকে। তাইতো একটু সময় নিয়েই বেড়াতে গেলাম।
আমাদের এখানে একটি মিনি চিড়িয়াখানা রয়েছে, আর সেখানেই গিয়েছিলাম ঈলমাদের নিয়ে।
চিড়িয়াখানাটা একদমই ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। আমরা দুপুরের পর পরই সেখানে চলে গেলাম। এখানে প্রবেশ মূল্য মাত্র পঞ্চাশ টাকা, আমি ঝটপট তিনটি টিকিট কেটে নিলাম এবং ভেতরে প্রবেশ করলাম ওদের নিয়ে।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
প্রথমেই রয়েছে ময়ূরের খাঁচা, ইলমা তো ময়ূর দেখেই খুশিতে আত্মহারা একদম। ওদের কিছু ছবি তুলে নিলাম। এরপর মূলত আমরা ময়ূর দেখতে শুরু করলাম।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
ময়ূর ছিল এখানে মাত্র এক জোড়া। তবে দেখতে অপরুপ সুন্দর। কি সুন্দর পেখম মেলে নেচে বেড়াচ্ছিল। বেশ কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হলো আমাদের।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
ময়ূর নাকি আবার বাদাম খায় 😄 আমি তো রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম। যাইহোক ঘটনাটা পরখ করার জন্য বাদাম কিনলাম কিছু। আমাকে অবাক করে দিয়ে দিব্যি ইলমা আর ওর মায়ের দেয়া বাদাম খেতে শুরু করলো ময়ূরটা। ব্যাপারটা আমার বাচ্চারা ভীষণ উপভোগ করলো। আমরা আরো কিছু বাদাম জমিয়ে রাখলাম বানরকে দেয়ার জন্য। এরপর চলে গেলাম হরিণ দেখতে।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
মোটামুটি ছয় থেকে সাতটা হরিণ রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এবার ইয়ান খুশি হলো এই মিষ্টি দেখতে হরিণ গুলো দেখে। হঠাৎ করেই হরিণগুলো আমাদের কাছাকাছি আসতে শুরু করলো।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
যত কাছাকাছি আসছিলো হরিণগুলো ততটাই আমাদের উদ্দীপনা বেড়ে যাচ্ছিলো। আমি ইয়ানকে কোলে নিয়ে হরিণ দেখাতে শুরু করলাম।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
সবাই একসাথে একটা সেলফি তুলে নিলাম হরিণের সাথে। ইয়ান ছবিতে চোখ কেমন যেন করেছিল। এরপর শুধুই প্রানভরে চমৎকার প্রানীগুলোকে দেখা।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
বেশ খানিকটা সময় আমরা হরিণের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের ছুটাছুটি দেখলাম। সত্যিই প্রানীগুলো ভীষণ সুন্দর, মনে হচ্ছিল সৃষ্টিকর্তা কি নিপুণ হাতে ওদের তৈরি করেছেন। এরপর ধীরে ধীরে অন্য প্রানী গুলো দেখার জন্য এগিয়ে গেলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
পরিবারের সাথে মাঝে মধ্যে এমন সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। ময়ূর নাকি আবার বাদাম খায় বিষয়টি জানতে পেরে ভালো লাগলো। আমিও এই প্রথমবারের মতো জানতে পারলাম। ময়ূর দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগতেছে। হরিন আমার পছন্দের প্রানী। বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে বেড়িয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ইয়ান এবং ইলমা তো ঘুরতে পেয়ে ভীষণ খুশি। পোস্ট ভিজিট করে খুশি হলাম। শুভ কামনা রইল আপনার পরিবারের জন্য ❣️
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1746230422286282786?t=TiUIXWgHbdANkxkDZgl2Mg&s=19
মাঝেমধ্যে পরিবারকে নিয়ে সময় কাটানো উচিত। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে। আপনার ঘোরাঘুরি মুহূর্ত পরে বেশ ভালো লাগলো সেই সাথে বিভিন্ন পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া মিনি চিড়িয়াখানার ভ্রমণের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ভাই একজোড়া ময়ূর ছিল তবে ময়ূর জোড়া দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর লেগেছে। যেহেতু পরিবারের সাথে গিয়েছিলেন তাই প্রতিটা প্রাণী দেখার জন্য অনেকটা সময় দিয়েছিলেন। যাই হোক সুন্দর সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মিনি চিড়িয়াখানাতে আপনারা দারুণ সময় পার করেছেন।ময়ূর যে বাদাম খায় এটা নতুন জানলাম।তাছাড়া ময়ূরটি খুবই সুন্দর ও হরিণগুলোও।বাদাম খেতে আসলেই মজার।আর আপনার মুখ কিন্তু আমরা চিনি😊😊,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আর যাই হোক আপনার মাধ্যমে মিনি চিড়িয়াখানা দেখার সৌভাগ্য হল এতে আমি অনেক খুশি। বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন কিন্তু। নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেলাম আপনার আজকের এই ভ্রমণ পোস্টের মধ্য দিয়ে। অনেকগুলা হরিণ ময়ূর দেখতে পারলাম।