স্বরচিত কবিতা: তোমার বেঁচে থাকার সময়গুলো ।||My poetry: The times you live.
তোমার বেঁচে থাকার দিনগুলোতে কি চাও? 😃
হয়তো প্রশ্নটা হাস্যকর মনে হতে পারে। তুমি হয়তো বলবে হাসি, আনন্দে আর অনেক প্রাপ্তির মাঝে স্বর্গ সুখ লাভ করা আর কষ্টগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাওয়া।
তুমি পৃথিবীকে কি দিতে চাও ? 😄
তুমি যদি প্রশ্নটা নিয়ে কিছুটা সময় নিয়ে ভাবতে বসো, তাহলে তুমি চিন্তার সাগরে হারিয়ে যাবে, আর অনেকটা গোমরা মুখে উত্তর হবে জানি। আমি অতি সামান্য মানুষ কিবা আর দিতে পারি বলুন।
এই দুটো প্রশ্নের মাঝেই আমরা মানুষেরা আসলে কেমন তার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। আমরা শুধুমাত্র পৃথিবীতে ভোগ করতে চাই সবকিছু। কিন্তু কিছু অকৃত্রিম আনন্দ যে ত্যাগের মধ্যে থাকে তা ভুলে যাই। শুধু সারাক্ষণ নিজের অপ্রাপ্তি নিয়ে অংক কষতে বসে যাই।
মায়ের পেট থেকে পরেই কেউ হাঁটতে শেখে না, তাকে কেউ না কেউ খাইয়ে পরিয়ে বড় করে। তিলতিল করে রক্ত পানি করে মানুষ করার চেষ্টা করে কিন্তু তবুও কি আমরা হতে পারি মানুষ?
হা হা 😄 দেখতে মানুষের আদলে হলেও ভেতরটা, থাক নাইবা বললাম।
জীবনের সময় অতি সংক্ষিপ্ত সেটা ভুলে গিয়ে মজ আর মাস্তিতে ডুবে থাকি সারাক্ষণ। আরে তুমি চাও তোমায় সবাই হুজুর হুজুর করুক কিন্তু একদিন বড় হুজুরের সামনে গিয়ে এই অনাচারের জবাব দিতে পারবে তো ?
জন্ম আর মৃত্যুর ফারাক কিন্তু তোমার চোখের পলক ফেলার সময়ের মনে রেখো।
নদীর স্রোতের মতো বয়ে যায়।
কখনোবা স্রোতের অনুকূলে
কখনোবা বিপরীতে জোর টানে।
হঠাৎ কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে দাঁড়িয়ে
একটু বেলা গড়িয়ে ধুম করে
বার্ধক্য জেঁকে বসে যায়, পলকেই।
কি পেয়েছো? আর কিবা দিয়েছো?
একটু হেসে, ওসব ভাবার নেইকো সময়,
মরনের কালে শুধু একটু মাটি দিও।
হবে কোন একদিন, নেবেন তিনিই সমাচার।
জেনে বুঝেও বুক তবুও কাঁপে না
এক ফোঁটা জলের দাবিও ছাড়বে না।
নেশায় ডুবে মেজাজ উঠেছে চরক।
এ নেশা পাপ পিপাসু কল্কি
চোখ নয় যেন বনেছে উল্কি।
চোখের পলকের ভাঁজে হেন।
অহংকার তোমার প্রতি কদমের
মাথা খেয়েছো আজ লাজ শরমের।
বেঁচে থাকো মানুষ হয়ে, সুন্দর ছোট্ট জীবনে।
হাসো সবার খুশিতে, আর কাঁদো তাদের দুঃখে।
বিলিয়ে দাও তোমার স্বত্তা, প্রিয় মানুষের মাঝে।
হে মানুষ ভালোবাসো, ভালোবাসো মানুষকে।
হবে অমর, চিরঞ্জীব শত মানুষের মনেতে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আপনার স্বরচিত কবিতা পড়ে মুগ্ধ হলাম ভাই, "তোমার বেঁচে থাকার সময়গুলো" কবিতার প্রতিটি লাইন জীবনের শুরু হতে শেষ পরিনতি ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে কবিতার পটভূমি এবং আলোকপাত পড়ে বেশি ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটি কবিতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ভাই আপনার কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতার ভাষাগুলো ছিল অসাধারণ। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কবিতার পটভূমিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন। কবিতার প্রত্যেকটা লাইন খুব সুন্দর ছন্দ সাজিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। আসলেই জন্ম মৃত্যুর ফারাক চোখের পলকের সময় মাত্র। প্রত্যেকটা লাইন পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য।
জীবনের হিসেব মেলানো সত্যি অনেক মুশকিল। চলার পথে হয়তো অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। কখনো হিসেব মেলানো হয়ে ওঠেনি। কিংবা মেলানো যাবে না। ভাইয়া আপনার লেখা কবিতার লাইন গুলো সত্যি দারুন ছিল। মনে হচ্ছিল যেন কবিতার লাইন গুলো জীবনের কথা বলছে।
আপনার কবিতা গুলো সব সময় বাস্তবমুখী হয়ে থাকে। তোমার বেঁচে থাকার সময়গুলো কথাটি সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কবিতার পটভূমির লেখা গুলো এক কথায় ছিলো অসাধারন। একদমই ঠিক বলেছেন আমরা সকলেই পৃথিবীকে ভোগ করতে চাই তবে আমরা কিছু দিতে চাই না। আপনার নতুন কবিতার অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
এটা ঠিক আমাদের জীবনে সংক্ষিপ্ত। আর এই সংক্ষিপ্ত জীবনের আমাদের মনের ইচ্ছা মতো সবকিছু করে থাকি। আপনি আজকে তোমার বেঁচে থাকার সময় গুলো নিয়ে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। যাকে বলা হয় বাস্তববাদী কবিতা। অনেক ভালো লেগেছে ভাই ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।