বেঁচে থাকুক শৈশব খেলাধুলায় || সন্তানকে কতটুকু সময় দিচ্ছেন ❓(Make your child Happy ☺️)
সন্তানকে কতটুকু সময় দিচ্ছেন ❓ |
---|
কাজ কাজ আর কাজ। শহুরে জীবনে এই এক চিরন্তন সত্য জিনিস। কাজ ছাড়া আমরা যেন কিছুই বুঝিনা। মানুষ তো নই রোবট হয়ে গেছি সবাই। এই রোবটিক জীবনে সন্তানদের কতটুকু সময় দিচ্ছি আমরা? ওরা কি আদৌ ভালো ভাবে বেড়ে উঠছে? ঠিক এই বিষয়ে আজ কিছুটা আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি। |
---|
আসলে আজ বেশ কিছু জিনিস নিয়ে কথা বলবো যা আমার সন্তানকে দিয়েই বোঝানোর চেষ্টা করবো। আমি অফিস থেকে আসার পর ঈলমা আমায় বললো বাবা তুমি আর আমায় আগের মত ভালোবাসো না 😔। আমি যেনো আকাশ থেকে পড়লাম। আমি বললাম বাবা তো আসলে অনেক ব্যাস্ত থাকি অফিস নিয়ে তাই তোমায় সময় দিতে পারছি না। শুক্রবারে আমি তোমাকে সময় দেব আর অনেক খেলা করবো। একটু খুশি মনে সে সামনে থেকে চলে যায়। আমি বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমার সন্তানের সাথে আমার অনেক দুরুত্ব তৈরি হয়ে গেছে। |
---|
আসলে সকালে যখন অফিসে যাই ঈলমা তখন হয় ঘুমে না হয় স্কুলে যাচ্ছে আর যখন ফিরে আসি অফিস থেকে তখন প্রায়শই সে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ তাকে একদিন আমি প্রশ্ন করলাম বাবা স্কুলে তোমায় আজ কি শেখালো? সে বললো বাবা তোমায় বলে কি লাভ তোমার তো সময়ই নেই? বললাম বাবা তারপরও বলো দেখি শুনবো বাবা । সে কিছুতেই বলতে রাজি হচ্ছে না। বুঝলাম তার আচরণে পরিবর্তন হচ্ছে। |
---|
একটি জিনিস খেয়াল করলাম সে ইদানিং বেশ হীনমন্যতায় ভোগে। তাকে আমি বললাম বাবা তোমার মন খারাপ থাকে কেন? সে বললো বাবা আমি তো সবার মতো খেলাধুলা করতে পারিনা তাই মন ভালো থাকেনা। আমি বেশ আঘাত পেলাম মনে মনে। |
---|
|
---|
আমি পুরোপুরি বুঝতে পারলাম ঈলমার সাথে আমার বেশ দুরুত্ব সৃষ্টি হচ্ছে, ঈলমার আচরণের পরিবর্তন হচ্ছে আর হীনমন্যতায় ভুগছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারনে স্কুল 🏫 বন্ধ থাকায় সে আরো অস্থির হয়ে উঠেছে। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পুরো পরিবেশটা আসলে পরিবর্তন করতে হবে। আমি চিন্তা করলাম আমার কাজগুলোর সাথে তাকে সংযুক্ত করে নেই তাহলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তার সাথে দুরত্ব কমবে। আমি যতক্ষন সময় বাসায় থাকি ততক্ষণ আমার সব কাজে তাকে সংযুক্ত করি। ধরুন আমি একটি ছবি আঁকছি তখন তাকে খাতা কলম দিয়ে অংকন করতে বলি সে তার ইচ্ছে মতো অংকন করে আর মাঝে মাঝে আমার অংকন নকল করতে চেষ্টা করে। আমি কোন ডাই ইভেন্ট করলে তাঁকেও সব উপকরণ দেয়া হয় সে মনের মাধুরী মিশিয়ে কাগজ কেটে আর আঠা মিশিয়ে একটা কিছু তৈরি করে ফেলে। আরো একটা বিষয় দেখবেন আমি আমার অনেক রেসিপি পোস্টে তার হাতে পরিবেশন করাই, তখন খেয়াল করবেন সে বেশ হাসিখুশি একটা পোজ দেয়। আর মনে হয় সে বেশ কিছুটা আনন্দ পায়। আর আমার ছুটির দিনগুলোতে আমি দিনের অন্তত একটি অংশ তাকে নিয়ে খেলাধুলা করি, আর নিজে উপস্থিত থেকে উন্মুক্ত পরিবেশে খেলতে সহযোগিতা করি। বিশ্বাস করুন তার সাথে আমার দুরুত্ব অনেকটা কেটে গেছে আর খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছি আমরা। |
---|
দেখুন আমাদের শৈশব আর কৈশোর যেভাবে কেটেছে আমাদের যান্ত্রিক জীবনে বাচ্চারা তার ছিটেফোঁটাও উপভোগ করতে পারছেনা। প্রথমত আমরা বেশ উন্মুক্ত পরিবেশে আর আদরের সাথে মানুষ হয়েছি। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা বেশ বন্দি এবং কঠিন জীবনের মাঝে বড় হচ্ছে যেখানে মোবাইল ফোন আর গেমস হয়ে উঠেছে সবথেকে বড় বন্ধু। তাই সব পিতা-মাতার প্রতি অনুরোধ তাদের বোঝার চেষ্টা করুন কিছুটা সময় তাদের জন্য বরাদ্দ করুন না হয় এই শহুরে যান্ত্রিক জীবনে আরো কিছু যন্ত্র মানব তৈরি করবেন। বেঁচে থাকুক শৈশব খেলাধুলায় 🙏 |
---|
বিষয়বস্তু | বেঁচে থাকুক শৈশব খেলাধুলায় | ||
---|---|---|---|
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ | ||
ছবির কারিগর | @emranhasan
ছবির অবস্থান | সংযুক্তি | |
যেসব বাবা মা কাজের অজুহাত দিয়ে বাচ্চাদের সময় দেয় না তাদের অনেক কিছু শেখার আছে ভাই আপনার কাছে। আমাদের সমাজের বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে এইজন্যই নষ্ট হচ্ছে কারণ তাদের বাবা মা তাদের সময় দেয় না। এজন্য তারা না রকম গেমস মাদক এসবে জড়িয়ে যাচ্ছে। ঈলমার সাথে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ♥️
আসলে কয়েকদিন ধরে এই পোস্টটি করার মনোকামনা ছিল, আজ করলাম।
সন্তানকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে হলে তার সাথে অবশ্যই বন্ধুর মতো মিশতে হবে কিন্তু আফসোস আমাদের সমাজে খুব কম সংখ্যকই বাবা-মা আছে যারা তাদের সন্তানকে সময় দেন ।তাদের সাথে বন্ধুর মতো মিশেন। কিন্তু আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাইয়া।পরিবারের প্রাণ, রত্ন হলো সন্তান। সুন্দর ভাবে তাদের মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা, ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি সন্তানের সাথে মিশে তাদের মনকে উৎফুল্ল করেছেন আনন্দ দিয়েছেন খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাক পোস্ট দেখে আমি নিজেও শৈশবে ফিরে গেছি সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে আপনি আপনার শৈশবে ফিরে গেছেন শুনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ♥️ আমাদের জন্য দোয়া করবেন আপু 💌
আপনি একদম সঠিক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের সন্তানকে আসলেই সময় দেয়া উচিত। সন্তানের মানসিক বিকাশের জন্য বাবা-মা এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি মনে করি আপনার সন্তান একদিন আপনাকে নিয়ে গর্ব করবে যে সে এমন একজন বাবা পেয়েছে❤️❤️❤️🥰🙏
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আমার ♥️
যখন আপনি পিতা হবেন সেদিন আরো ভালো করে আমার আজকের এই পোস্টটি উপলব্ধি করবেন।
ভবিষ্যতের একজন পিতার জন্য অগ্রিম শুভকামনা রইল ❤️
স্যার আজকে আপনি খুবই চমৎকার একটি শিক্ষানীয় পোস্ট করছেন। আসলে আমরা ছোট বেলায় যেভাবে বড় হয়েছে এখন কার বাচ্চারা সে ভাবে বেড়ে উঠছে না কথাটা ঠিক বলেছেন। স্যার আজকে ঈলমা মামুনির মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে অনেক খুশি হয়েছে আপনার সাথে খেলাধুলা করে। আজকের আপনার এই পোষ্টটি অনেকের কাজে আসবে। ঈলমা মামুনির জন্য দোয়া করি সে ভালো ভাবেই ফেরে উঠুক। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
অনেক ধন্যবাদ লিমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য ♥️
তুমি যখন পিতা হবে সত্যিই সেদিন পোস্টটি আরো ভালো উপলব্ধি করতে পারবে।
অগ্রিম শুভকামনা রইল 🥀
ঠিক বলেছেন স্যার ভবিষ্যতে আমার কাজে লাগবে ধন্যবাদ আপনাকে
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা সবাই কাজে এত ব্যস্ত যে ছেলে মেয়েকে সময় দেওয়ার সময়টুকু বের করতে পারিনা। তাই আস্তে আস্তে ছেলে মেয়েদের সাথে আমাদের অনেক দূরত্ব হয়ে যায়। আসলে সবারই উচিত ছেলেমেয়েকে কিছু সময় দিয়ে ওদের সাথে বন্ধুত্বের মত আচরণ করা। তাহলেই ওরা ভালো ভাবে বেড়ে উঠতে পারে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর কথাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য এবং আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ♥️
আপু আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আসলে ভাইয়া,আপনার লিখাটা আমার খুব ভালো লাগলো।আপনার মত কয়জনই উপলব্ধি করে যে সন্তানের সাথে তার দূরত্ব বেড়ে গেছে।কিছু কিছু মানুষ যদিও বুঝতে পারে যে দূরত্ব বেড়েছে,তারা মনে করে ভালো হয়েছে,বিরক্ত করার কেউ নেই। আমার আশেপাশেই আছে। যাই হোক আমিও চেষ্টা করি, আমার কাজের সময় আমার ছেলেকে পাশে রাখতে।যদিও সে অনেক ছোট,তবুও সে অনেক খুশি হয়।
অনেক ধন্যবাদ আপু ভীষণ ভালো লাগলো শুনে আপনি কাজ করার সময় আপনার ছেলেকে পাশে রাখেন এটি আপনার সন্তানের সাথে আপনার দুরুত্ব অনেকটা কমাবে।
ভালো থাকবেন 💚
তুমি অতীতের কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিলে বন্ধু। অজান্তে সন্তানের সাথে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। তোমার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আমি আমার সন্তানের সাথে এরকম সময় দেওয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ ❣️
তোমার মন্তব্য পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো ♥️
তোমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে 🤗
আপনার পোস্টটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে এখন দেখা যায় যে সন্তানদের কেউ এত বেশি সময় দিতে চায় না। সব মা-বাবারা নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু আসলে এটা করা একদমই উচিত নয়। আমাদের উচিত সকল কাজকর্মের মধ্যেও নিজের সন্তানকে সঠিক সময় দেওয়া। আমাদের সবার সন্তানরা চায় আমরা যাতে তাদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটাই। আপনাকে দেখে বেশ ভালই লাগলো। আর বিশেষ করে ইলমা অনেক বেশি আনন্দ করছিল দেখে মনে হচ্ছে। আপনি ইলমাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আপু সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ♥️
অনেক ধন্যবাদ ভাই সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আপনি জেনে খুশি হবেন আমার ছেলে পক্স থেকে সেরে উঠেছে ☺️