নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। || Keep control over yourself.
আসলে আমাদের নিজের উপরে নিজের নিয়ন্ত্রণ নেই। সত্যি বলতে যদি নিয়ন্ত্রণ থাকতো তবে আমাদের পারিপার্শ্বিক সবকিছু অনেক সুন্দর হয়ে উঠতো।
অনেক সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণহীন কথাবার্তা আচার-আচরণ কিংবা এমন কিছু কর্মকান্ড হয়ে যায় যার ফলশ্রুতিতে সুদূরপ্রসারী বিপত্তি ডেকে আনে। শুধু কি তাই আমাদের কল্পনাশক্তি চিন্তা-চেতনা এমনকি আধ্যাত্মিক অনুভূতির ওপরও আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এই নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে আমরা একরকম চিন্তা করি কিন্তু বারবার অন্যরকম কিছু সামনে প্রতীয়মান হয়।
এভাবে দিনের পর দিন আমাদের শারীরিক এবং মানসিক নিয়ন্ত্রণ হীনতার কারণে আমরা দীর্ঘমেয়াদী জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। না এই রোগ আসলে কোন ডাক্তার চিকিৎসা করতে পারবে না এই রোগ আমাদের নিজেদেরকে সারাতে হবে।
ধরুন আপনার এক সহকর্মী হঠাৎ করেই চাকরিতে প্রমোশন পেয়ে গেছে তার এই পদোন্নতি দেখে আপনার মনের ভেতরে কেমন যেন একটা বিস্ফোরণ ঘটে গেল। ফলস্বরূপ আপনি বিভিন্ন অস্বাভাবিক এবং উগ্র কর্মকাণ্ড ঘটাতে শুরু করলেন। দেখা যায় সেই মানুষটির পদোন্নতির ফলে আপনি সবার সাথে উগ্র আচরণ করা শুরু করলেন। এমনকি নিজের কাজের গতি কমিয়ে দিলেন, দেখা যাবে আপনার এই নিয়ন্ত্রণ হীনতা এবং অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের কারণে আপনি আর কখনোই পদোন্নতি পাবেন না।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনার প্রতিবেশী একটু ভালো রয়েছে কিন্তু তার সেই ভালো থাকা দেখে আপনি আপনার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে বিপদে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেন। তার মানে হলো আপনি আপনার নিয়ন্ত্রণে আর রইলেন না। ঠিক সেই সময়টাতে আপনার রাগ লোভ এবং লালসা আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে।
ধরুন আপনার সন্তান কোন একটি কাজ না বুঝে ভুল করে ফেলেছে। সেই সময়টাতে আপনি আপনার রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে আপনার সন্তানকে কষে চড় মেরে দিলেন। দেখবেন আপনার সেই চরের ব্যথা হয়ত সেরে যাবে কিন্তু আপনার সন্তানটি আজীবন মনে রাখবে আমার পিতা আমাকে অন্যায় ভাবে চড় মেরেছিলেন। দেখা যাবে এই ছোট্ট ঘটনার কারণে আপনার সন্তানের সাথে আপনার দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে।
এরকম অনেক মানুষ আছে তারা যদি গল্প করতে বসে সেই সময়টাতে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে যা বলা উচিত নয় ঠিক সে ধরনের কথাগুলো অনর্গল বলতে থাকে। আসলে সে তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে।
তবে এই নিয়ন্ত্রণ হারানোর মধ্যে মুখের কথার নিয়ন্ত্রণটা ভীষণ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। ধরুন আপনি কাউকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা ছোট করার জন্য বিভিন্ন কথা বলতে থাকলেন। দেখা যাবে সেই মানুষটি আপনার প্রতি তিক্ততা তৈরি হবে এবং সে আর কখনোই আপনাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারবেনা। তাই সব সময়ই চেষ্টা করতে হবে যাতে আপনার কথাবার্তা চালচলন এবং রাগের উপর আপনার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://x.com/emranhasan1989/status/1794804816063152613?t=VndXH27xraq2oxPmibF2JQ&s=19
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনি আজকে পোস্ট করেছেন। আমাদের মধ্যে মুখের কথার নিয়ন্ত্রণটা ভীষণ প্রয়োজন। কেননা বলতে যদি নিয়ন্ত্রণ থাকতো তবে আমাদের পারিপার্শ্বিক সবকিছু অনেক সুন্দর হয়ে উঠতো। সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। তাই আমাদের উচিত নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা। আপনার পোস্ট পড়ে আমি মুগ্ধ হলাম ভাই, আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সত্যি রাগের সময় মানুষ যখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখন তার হুশ থাকে না। আসলে সব কিছু থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
বরাবরের মতো এবারও চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। উপরের কথা গুলো একদমই ঠিক বলেছেন। নিজের প্রতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে আমাদের সকলের জন্য ভালো। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য। আপনার শিক্ষনীয় পোস্ট গুলো থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করছি। আপনার জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
আপনার এই সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি মূলক কথাবার্তাগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আমরা যখন অতিরিক্ত টেনশন করি বা অতিরিক্ত মাথা ঘামায় তখন কিন্তু আমাদের মেধাশক্তির লোপ পায়। তবে যাই হোক বেশ দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো।
এই নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপার টা কিন্তু বেশ কঠিন ভাই বেশ কঠিন। আমি মোটামুটি শান্তশিষ্ট হলেও অনেক সময় অনেক কাজ দেখে আমার মেজাজ এতোটা গরম হয়ে যায় আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এবং তখন অনাকাঙ্খিত অনেক কাজ করে ফেলি। এর জন্য প্রচুর ধৈয্যশীল হওয়া প্রয়োজন। এবং দরকার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার ক্ষমতা। দারুণ লিখেছেন ভাই।