কবিরাজির সেকাল এবং একাল। || Kabiraji medicine is true or not?
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
একটা সময় কবিরাজি চিকিৎসার উপর সবার অগাধ বিশ্বাস ছিল, সত্যি বলতে এটাই ছিল চিকিৎসা ব্যাবস্থার মূল স্তম্ভ। কবিরাজি চিকিৎসা বলতে বিভিন্ন গাছ গাছরার তৈরি ঔষধ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক চিকিৎসা মাধ্যমে রোগী সুস্থ করার একটি অনন্য ব্যাবস্থা। এর তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল না এবং মানুষ গভীর বিশ্বাসের সাথে গ্রহন করে বিভিন্ন রোগে সুস্থ হয়ে উঠতো। এভাবে চলে আসছে যুগের পর যুগ।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমি আমার দাদা দাদুর কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক চিকিৎসার কথা শুনেছিলাম এবং সেগুলো পরীক্ষা করে বেশ ভালো ফল পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন তারা বেঁচে নেই এবং আমিও তাদের অনেক কথা মনে রাখতে পারিনি। ঠিক এভাবেই প্রাচীন কাল থেকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য কবিরাজ তাদের গাছ গাছরার ঔষধ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা দিয়ে মানুষকে সুস্থ করলেও তাদের কাজ গুলো কোথাও লিপিবদ্ধ না করাতে ধীরে ধীরে সবকিছু হারিয়ে গেছে। আর সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে কিছু ভন্ড প্রতারক টাইপের কবিরাজ, যারা একমাত্র পয়সা কামানোর ধান্দায় ব্যাবসা করে। কিছু কিছু কবিরাজ তো মানুষের জীবন পর্যন্ত নিয়ে নেয়।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
টাইগার কবিরাজ, গায়েবি করিরাজ, জিনের কবিরাজ, তান্ত্রিক কবিরাজ, তালা বাবা, ন্যাংটা বাবা তাছাড়াও অগনিত ভন্ড কবিরাজ এখন নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে মানুষ ঠকানোর খেলায়। কিছু কিছু কবিরাজ তো চিকিৎসার নামে ধর্ষণ, নির্যাতন এবং বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত হয়ে পরেছে। মানুষ এখন আর সেই সুস্থতার কবিরাজি চিকিৎসা বিশ্বাস করতে চায় না, কারন কিছু অসাধু কবিরাজ মানুষের জীবন আর টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করে দিয়েছে। আজ এই কথাগুলো বলতে বাধ্য হলাম যখন দেখি একজন ভন্ড লোক কিছু ডালপালা আর বোতলের ঔষধ নিয়ে বলে সব রোগের জন্য এক ফাইল যথেষ্ট মাইকে প্রচার করার মাধ্যমে বেশ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আসলে মানুষের মাঝে সচেতনতার এখনো যথেষ্ট অভাব লক্ষ্য করা যায়।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
একটু চিন্তা করুন ছবিতে দেখানো একটি গাছের টুকরো কোমরে বাঁধলে নাকি শরীরের যত রকম বাত ব্যথা এবং অন্যান্য রোগ রয়েছে সব নাকি ভালো হয়ে যাবে 😄 এরা ডাক্তারের ব্যাবসার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে 🤪
যাইহোক কিছুটা সময় নিয়ে ছবি তুললাম আর পর্যবেক্ষণ করলাম তার কাস্টোমারের অভাব নেই।
তবে সত্যিই বলতে আমি মানি গাছের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে তবে সেটা এমন নয় যে একটি গাছ সব রোগ দূর করে দেবে, এক একটি গাছ একেক রকম রোগের জন্য কাজ করে। এই কবিরাজ বাবারা এক গাছ দিয়েই পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের থেকে সাবধান থাকুন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আমাদের এখানে বাজারে এমন একজন কবিরাজ ঔষধ বিক্রি করতে এসেছিলো। আমি বেশ ফটোগ্রাফি করেছিলাম। লোকটি সেদিন ভয় পেয়েছিলো। আর আমাকে ছবি তুলতে দেয় নি। আপনি এসব ছবি কিভাবে তুললেন এটাই ভাবতেছি। একদম ঠিক বলেছেন এখনকার কবিরাজ কে মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। বিভিন্ন ধরণের ভন্ড কবিরাজ বের হয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। একটু ভিন্ন রকম ভাবে লেখার চেষ্টা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
হ্যা লিমন, এদের ছবি তোলা বেশ কঠিন। তবে আমিও নাছোড়বান্দা, ছবি উঠিয়ে ছেড়েছি। যত্তসব ভন্ডামি ব্যাবসা শুরু করেছে এরা।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1716137057532473831?t=sARGBBfQj2DsljM0dK9jNg&s=19
আমি অনেক সময় দেখেছি একটা পাত্রের মধ্যে অনেকগুলো আন্টি নিয়ে কম্পন সৃষ্টি করার মাধ্যমে ভেলকি দেখানো হচ্ছে, মূলত ভাইব্রেশন এর কারণে পাত্রের মধ্যে সেই আংটিগুলো লাফালাফি করছে অথচ মানুষের ভাবছে এটা কতই না দক্ষ কবিরাজ। মানুষের বিশ্বাস নিয়ে তারাই ভাবে খেলা করে।
ভাই রাস্তা ঘাটে এগুলো প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে। ভন্ড কবিরাজরা মানুষকে যে কিভাবে ঠকাচ্ছে সেটা বলার মতো নয়। আমার মাথায় ঢুকে না বর্তমানে মানুষজন কতটা চালাকচতুর,কিন্তু এরকম ভন্ড কবিরাজদের খপ্পরে কিভাবে পড়ে বুঝি না। এটা ঠিক যে বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালির অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। মূলত সেসব গাছগাছালি দিয়ে কবিরাজরা ঔষধ তৈরি করে থাকে। কিন্তু প্রকৃত কবিরাজ এখন পাওয়াটা দুষ্কর। যাইহোক সবাই ভন্ড প্রতারক কবিরাজদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। এমন সতর্কতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একটা সময় ছিল কবিরাজ কে সকল মানুষ মনে প্রাণে দৃঢ় বিশ্বাস করতো। কিন্তু বর্তমানে এই বিশ্বাস টা আর নাই। কেননা বর্তমানে যে কবিরাজ গুলো আছে তার বেশিরভাগই হচ্ছে ভন্ড কবিরাজ, এটা একেবারেই চিরন্তন সত্য কথা।
অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ রয়েছে। যেগুলো মানুষের জন্য উপকারী। কিন্তু ঐ কবিরাজ যে সেটাই দিচ্ছে তার কী নিশ্চয়তা। সে তো ধোকাবাজি করতে পারে। আর পারে কী এখন অধিকাংশই এই ধোকাবাজি। একটা সময় মানুষ কিছু হলেই কবিরাজ এর কাছে ছুটে যেত। কিন্তু এখন আর সেটা নেই। এখন মানুষের বিশ্বাস ক্রমেই উঠে গিয়েছে ঐসবর এর উপর থেকে হা হা।
ধন্যবাদ তোমাকে পোস্টটি পড়ার জন্য।
আসলে একটা সময় মানুষ কবিরাজের কাছে বেশি যেতো কিন্তু এখন আর এদের উপর মানুষের আস্থা নেই।
ভাইয়া বাংলাদেশে যত কবিরাজ আছে বিশ্বে তত ডাক্তারও নেই,হা হা হা। কবিরাজরা এক তাবিজ দিয়ে সব রোগ ভালো করে দেয়। কি ডাক্তারি বিদ্যা তারা শিখছে। তবে কিছু কিছু কবিরাজের ঐষুধ কাজে লাগে। সমস্যা হলো কোনটা ভন্ড কোনটা ভালো সেটাই বুঝা মুশকিল। ধন্যবাদ।