আমাদের গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমন (পর্ব ০৪)|| It's Family time 😍
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে আবারো ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আমরা ভালুকায় বসবাস করছি এবং ঠিক পাশেই চমৎকার একটি পার্ক রয়েছে। যার নাম হচ্ছে গ্রীন অরণ্য পার্ক। ইতিমধ্যে আমি আমাদের ভ্রমনের বেশ কয়েকটি পর্ব আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। আজকে আমি আমাদের ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। সত্যি বলতে গ্রীন অরন্য পার্কের পুরো পরিবেশটা আমার কাছে এককথায় অসাধারণ লেগেছে এবং আমরা দারুন উপভোগ করেছি পুরো পরিবেশটা।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এর আগের পর্বে এটি চমৎকার লতানো গাছের ছবিসহ বিস্তারিত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছিলাম। সেই গাছটি থেকে সামনের দিকে এগিয়ে এসে চমৎকার একটি লাভ সেপের আরো কিছু গাছ দেখতে পেলাম। সেখানে দাঁড়িয়েই আমরা ছবি তোলার জন্য চেষ্টা করলাম। সত্যি বলতে ছবি তোলার জন্য এটা অত্যন্ত আদর্শ একটি জায়গা। আমাদের ইলমা হাত ভাঁজ করে অনেকটা লাভ সেপ আকৃতির করে ছবি তোলার চেষ্টা করেছে। ওর ছবিগুলো সত্যিই এখানে দুর্দান্ত এসেছে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপরে সামনে চমৎকার একটি লেক দেখতে পেলাম যেখানে বিভিন্ন রকম চমৎকার সব মাছের ভাস্কর্য রাখা ছিল। এই জায়গাটা আমার সবথেকে সুন্দর লেগেছিল। মনে হচ্ছিল বেশ কিছু জীবন্ত মাছ চোখের সামনে দেখছি।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আমি এই চমৎকার জায়গায় জায়গাটাতে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না। বেশ কিছু চমৎকার ছবি তোলার চেষ্টা করলাম 😄
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
একটু এগিয়ে গিয়েই সামনে ঝুলন্ত একটি ব্রিজ দেখতে পেলাম। এই ব্রিজটির ঠিক অপর পাশে একটি আবাসিক এলাকা রয়েছে, যেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই আমরা ব্রিজের উপরে উঠেই বেশ কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলাম।
আসলে অরণ্য পার্কের যতই ভেতরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ততোই এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। চোখের সামনে চমৎকার একটি বাড়ি দেখতে পেলাম। সত্যি বলতে এত অসাধারণ সাধারণ সাধারণ একটি সুন্দর বাড়ি আমি মনে হয় এই প্রথম দেখলাম। চমৎকার নিদর্শনটি দেখে সত্যি চোখ ছানা বড় হয়ে গেছে।
ছবির অবস্থান :- গ্রীন অরন্য পার্ক, ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
অসাধারণ সেই বাড়িটির সামনে আমার বাচ্চারা ভীষণ খুনসুটিতে মেতে উঠেছিল। সত্যি বলতে আমি বেশ কিছুটা সময়ের জন্য ওদের একটু ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেই সুযোগে দুজনেই বেশ আচ্ছা তরফের দুষ্টুমি করে নিয়েছে।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন সামনের পর্ব নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1779939263838298419?t=gSpGK3EUmMDvA0Olfa8v5Q&s=19
আসলে পরিবারকে নিয়ে এই ধরনের পার্কে সবাই সুন্দর মুহূর্ত পার করতে চায়। ঈদের ছুটিতে অনেকেই বিভিন্ন পার্কে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছে । আপনিও গ্রিন অরণ্য পার্কে পরিবারকে নিয়ে দারুন সময় কাটালেন। সেখানকার সুন্দর দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করেছেন । যেটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। নিজের পরিবারের সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলেন ভালো লাগলো ভাই। এরকম সুন্দর মুহূর্ত ফিরে আসুক এটাই কামনা করি।
পরিবারদের সাথে নিয়ে অচেনা একটি সুন্দর পার্কে ভ্রমণ করেছেন। আর আপনাদের মাধ্যমে কিন্তু পার্ক সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম। গ্রীন অরণ্য পার্ক দেখতেও বেশ চমৎকার। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনাদের সুন্দর এই অনুভূতি এবং ভ্রমণ বিষয় জেনে। আশা করি খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ফ্যামিলির সাথে।
পরিবার পরিজন নিয়ে কিছু সময় ঘুরতে বের হলে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। বিশেষ করে পিকনিক স্পটে গেলে দৃষ্টিনন্দন অনেক কিছুই দেখা যায়। দেখতে দেখতে আপনি গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমন পর্ব ০৪ নিয়ে হাজির হলেন। এর আগে পর্বগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এই পর্বে লাভ সেপ এবং বাড়ির সামনে তোলা ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়েছে
আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
পরিবার নিয়ে কোথাও ভ্রমন করতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। দেখতে দেখতে নতুন পর্ব চলে আসলো। গ্রীন অরন্য পার্ক দেখতে জাস্ট অসাধারন। কোন একদিন সময় পেলে অবশ্যই যাবো ইনশাআল্লাহ। ইয়ান বাবু এবং ইলমা মামুনী ভীষণ খুশি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মাছের ভাস্কর্য বাহ্ দারুন। ঝুলন্ত ব্রিজ এবং বাড়িটি দেখতে অসাধারন। এধরনের পোস্ট গুলো দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের সবাইকে দেখে খুশি হলাম। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ লিমন।
জায়গাটা সত্যিই সুন্দর। এধরনের বিনোদনের জায়গায় গেলে সত্যি দারুন অনুভুতি হয়।
আপনারা গ্রীন অরন্য পার্ককে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে ভাইয়া এমন সুন্দর পরিবেশে ঘুরলে ফটোগ্রাফি করতে মন এমনিতে চায়। বাচ্চারা বেশ আনন্দ করেছে। পরিবারের সবাই মিলে এভাবে ঘুরার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ আলাদা।
চেষ্টা করেছিলাম ওদের নিয়ে একটু আনন্দ করার।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমণের প্রত্যেকটা পর্বই আমার দেখা হয়েছে। আজকে চতুর্থ পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। ইলমার ছবিগুলো আসলেই খুব সুন্দর এসেছে। পার্কের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। লেকের পাশে বিভিন্ন রকমের ভাস্কর্য গুলো খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা। দারুন লাগছে ভাস্কর্যগুলো দেখতে। ঝুলন্ত ব্রিজ এর এরিয়া টাও খুবই সুন্দর। সবার ছবিগুলো দারুণ এসেছে ব্রিজের ওখানে।
পরিবার সাথে দেখছি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। মাঝেমধ্যে পরিবারকে নিয়ে বাইরে এমন ঘোরাঘুরি করতে যা সকলের প্রয়োজন। এতে বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে যেমন ধারণা পাওয়া যায় তেমন মন ফ্রেশ থাকে। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের পার্ক ঘোরাঘুরি বেশ সুন্দর মুহূর্তটা দেখে। আর আপনার মাধ্যমে একটা সুন্দর পার্ক সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়ে গেলাম।
আসলে পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা । আজকে আপনি সেরকম একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে প্রয়োজন শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। আজকে আপনি এখানে ভ্রমণ করে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷