বাঙালি রেসিপি:) কাঁঠালের বিচি এবং বেগুন দিয়ে রুপ চাঁদা শুঁটকি রান্না।|| Food that brings taste. 😋
কাঁঠালের বিচি এবং বেগুন দিয়ে রুপ চাঁদা শুঁটকি রান্না |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আসলে হুট করেই মনটা ভালো নেই কারণ কয়েকদিন ধরেই পারিবারিক এটা সমস্যায় জর্জরিত ছিলাম। যাইহোক সমস্যাটা আজকে বেশ কিছুটা কাটিয়ে উঠেছি এবং কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।
প্রতি সপ্তাহে আমি চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি পোস্ট উপস্থাপন করার, তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আবারো একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমরা বাঙালি তাই বাঙালি খাবারগুলো খেতে একটু বেশি পছন্দ করি।
শুটকি মাছ আমার ভীষণ প্রিয় তাই মাঝে মাঝেই বেগুন এবং আলু দিয়ে শুটকি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করি। রূপচাঁদা শুটকি মাছ তেমন একটা খাওয়া হয়নি। আমার হঠাৎ সেদিন বাজার থেকে বেশ কিছু রূপচাঁদা শুটকি মাছ কিনে এনেছিলাম। আর সেগুলো দিয়েই তৈরি করা হয়েছে চমৎকার এই লোভনীয় খাবারটি। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে তৈরি করলাম।
বেগুন | ৩০০গ্রাম | রুপ চাঁদা শুঁটকি | ২০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
দেশী আলু | ২০০ গ্রাম | কাঁঠালের বিচি | ১০০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ | কাঁচা মরিচ | স্বাদমতো |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
জিরা গুঁড়া | এক চামচ | রসুন বাটা | এক চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই রূপচাঁদা শুটকি মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে উঠিয়ে রাখলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার কাঁঠালের বিচি এবং দেশি আলু গুলো কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম এবং একটি বাটিতে উঠিয়ে রাখলাম। এরপর বেগুন গুলো কেটে প্রয়োজনীয় মাপের টুকরো করে নিলাম।
এবার একটি কড়াই চুলাতে চাপিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি রঙের করে ভেজে নিলাম।
এই ধাপে রূপচাঁদা শুটকি মাছগুলো দিয়ে কিছুটা সময় ভেজে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার কাঁঠালের বিচি এবং আলুর টুকরো গুলো দিয়ে প্রয়োজনীয় মসলা দিয়ে দিলাম। এরপর ৫ থেকে ৭ মিনিট ভালোভাবে মসলাগুলো শুটকির সাথে কষিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার বেগুনের টুকরোগুলো এবং কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম এবং মসলার সাথে কিছুটা সময় কষিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার পরিমাণ মতো জল দিয়ে তরকারিটা ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করলাম। ঝোল অনেকটাই শুকিয়ে মাখামাখা হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের সুস্বাদু তরকারি রান্না হয়ে গেছে এবার পরিবেশন এর পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
তরকারিটা সত্যিই তৃপ্তিদায়ক স্বাদের ছিল। পরিবারের সবাই মিলে বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবারটি উপভোগ করলাম। আশা করি এ ধরনের তরকারি আপনারাও খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
দারুণ একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দিলেন আপনি। কাঁঠালের বিচি এবং বেগুন দিয়ে রুপচাঁদা শুঁটকি রেসিপি অনেক লোভনীয় হয়েছে। রূপচাঁদা শুটকি আমিও অনেক দিন ধরে খাওয়া হয় না। আপনি প্রতিটি ধাপ সমূহ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন ভাই। আশাকরি পরিবার নিয়ে জমিয়ে খেয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন ভাই।
বর্তমান এই সময়ে কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোন রেসিপি তৈরি করলেই সেটা এতে অনেক সুস্বাদু হয়। আসলে কাঁঠালের বিচি মজার একটা সবজিও বলা যেতে পারে। কাঁঠালের বিচি আর বেগুনের সমন্বয়ে মজাদার রূপচাঁদা শুটকি মাছের রেসিপি তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন অনেক লোভনীয় ছিল ভাইয়া শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি খুব সুস্বাদু একটি সবজি। আমি এটি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আর রুপ চাঁদা শুঁটকি দিয়ে এভাবে খেতে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আপনার পারিবারিক সমস্যা ঠিক হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি শেয়ার করার চেষ্টা করেন। আপনার রেসিপি পোস্ট গুলো অনেক ভালো লাগে। পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাঁঠালের বিচি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। রুপচাদা শুঁটকি দিয়ে চমৎকার ভাবে রেসিপি পরিবেশন করে দেখিয়েছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ লিমন।
আসলে এধরনের সমস্যায় নিজেকে ঠিক রাখা অনেক কঠিন। যাইহোক এতকিছুর মধ্যেও পোস্ট করতে পারছি এটা অনেক বড় ব্যাপার। তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রুপচাঁদা মাছের শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভীষণ লোভনীয় একটি রেসিপি ভাইয়া।আপনার রেসিপিটি অনেক চমৎকার সুন্দর হয়েছে। খেতে মজাদার তা তো রন্ধন প্রনালী বলে দিচ্ছে। ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর ভাবে রন্ধন প্রনালী আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে এই সময়টাতে কাঁঠালের বিচি দিয়ে যেকোন তরকারি খেতে অসাধারণ লাগে। আর রুপ চাঁদা শুঁটকি কিন্তু খেতেও দারুন লেগেছে।
রুপ চাঁদা মাছের শুঁটকি এখন পর্যন্ত কোনদিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কাঁঠালের বিচি এবং বেগুন দিয়ে রুপ চাঁদা শুঁটকি রান্না করেছেন। আপনার তৈরি রুপ চাঁদা মাছের শুঁটকি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে।আর আপনি ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আসলে রুপ চাঁদা শুঁটকি আমি খুব কম খেয়েছি, তবে এটা খেতে দারুন লাগে। যাইহোক চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন ভাইয়া।শুঁটকি মাছ আমার ও ভীষণ পছন্দ। বাসায় কেউ পছন্দ না করলেও আমি প্রায় সময় একা একা খেয়ে থাকি।আর মাছ বলেন কিংবা শুঁটকি মাছই বলেন এর সাথে সবজি বেগুন বেশ ভালো লাগে।আর কাঁঠালের বিচি দেয়াতে এর স্বাদ আরো বেশী বৃদ্ধি পেলো।রেসিপিটি খেতে ভীষণ স্বাদের হয়েছিল আশাকরি। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দারুন স্বাদের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
কাঁঠালের বিচি যেকোন তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি করে। আর শুঁটকি মাছ হলে খেতে ভালোই লাগে তরকারিটা।
https://x.com/emranhasan1989/status/1803867060151423275?t=bE7ZBc5YRCX4sn2nZ4QTFw&s=19
কাঁঠালের বিচি এবং বেগুন দিয়ে রুপ চাঁদা শুঁটকি রান্না দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এই গুলো দিয়ে যে রেসিপি তৈরি করেছেন আসলে এ ধরনের রেসিপি আমি অনেকদিন আগে তৈরি করেছিলাম। তাই আপনার ধাপ গুলো ভালোভাবে দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে আবারো তৈরি করব।
আজ আপনি আমাদের মাঝে অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখতে বেশ দারুন হয়েছে। খেতে নিশ্চয় আরও বেশি দারুণ হয়েছিল। শুটকি মাছ আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। শুটকি দিয়ে বেগুন ও কাঁঠালের বিচি রেসিপি দেখে আমার জিভে পানি চলে আসলো। রেসিপির প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য। এধরনের খাবারগুলোকে আমি তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি।